উপাচার্য পদের কলঙ্ক মোচন হোক

আব্দুস সোবহান উপাচার্য রাবি

ড. এমএলআর সরকারঃ বেশ কিছুদিন ধরে পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মুখরোচক নানাবিধ খবর।

এসব খবরের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে নিয়োগ কেলেঙ্কারি, ভিসির মেয়ে-জামাতা নিয়োগ, আদালতের আদেশ অমান্য করে শিক্ষক নিয়োগ, অনিয়ম করে কর্মকর্তা নিয়োগ অথবা নিয়োগ চেষ্টা, ইউজিসির তদন্ত কমিটি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা, ভিসির মেয়ে-জামাতার নিয়োগ কেন বাতিল হবে না তার ব্যাখা চাওয়া এবং রেজিস্ট্রার অপসারণের নির্দেশ ইত্যাদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব খবর এবং অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্যে সয়লাব।

পড়ুনঃ

মন্তব্য পড়লে মনে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, বিশেষ করে ভিসিরা হচ্ছেন দেশের সবচেয়ে নীতিহীন এবং খারাপ মানুষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় অনেকে সরাসরি আমাকেও জিজ্ঞাসা করছেন আপনাদের ভিসি কি সত্যিই খারাপ মানুষ? শিক্ষক বা ভিসিরা খারাপ মানুষ কিনা তার জবাব আমার কাছে নেই।

তবে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারী সবাই সরকারের লোক বলেই দাবিদার। ক্ষমতা এবং স্বার্থের দ্বন্দ্বে নিজেরাই কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। প্রধান উদ্দেশ্যে- এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করা এবং ভিসির অপসারণের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতার পথ পরিষ্কার করা।

এ রকম ঘটনা প্রায়ই ঘটছে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও। অনেক ক্ষেত্রে এভাবেই বিদায় নিচ্ছেন একজন ভিসি এবং নিয়োগ পাচ্ছেন নতুন আর একজন।

আব্দুস সোবহান উপাচার্য রাবি
আব্দুস সোবহান, উপাচার্য, রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ নিঃসন্দেহে গুরুতর। এ কারণে তাকে অপসারিত করা হবে কিনা তা অবশ্যই উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো যদি প্রমাণিত হয়ে থাকে, তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করাই হবে সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শ্রেয়।

অভিযোগ ভিত্তিহীন হলে বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

অতীতে একজন ভিসির বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ কেউ সহসা করত না এবং গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠলে ভিসি নিজেই পদত্যাগ করতেন। কিন্তু সেই অবস্থা আজ আর নেই।

ক্ষমতা এবং স্বার্থের মোহে আজ আমরা বিবেকহীন। ফলে তুচ্ছ কারণেও সম্মানিত এ শিক্ষকরা দ্বারস্থ হচ্ছেন সরকারের এবং তাদের বিবেকহীন কর্মকাণ্ডের দায়-দায়িত্ব নিতে হচ্ছে সরকারকে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার একটি পবিত্র স্থান। ভিসির পদ একটি সম্মানজনক পদ। জ্ঞানে, গুণে, সততা এবং সহনশীলতায় ভিসিদের হওয়া উচিত অতুলনীয়। কিন্তু নানা কারণে প্রকৃত যোগ্য লোকদের এ পদে আমরা পাচ্ছি না। ফলে সামান্য হলেও হচ্ছে অনিয়ম। বিতর্কিত হচ্ছেন সম্মানিত ভিসিরা।

শুধু অভিযুক্ত একজন ভিসিকে অপসারণ করলেই এ অনিয়মের এবং কলঙ্কের অবসান হবে এমনটি ভাবার কোনো অবকাশ নেই। প্রয়োজন হচ্ছে অনিয়ম করার সুযোগ বন্ধ করা।

পড়ুনঃ শিক্ষিকাকে পদোন্নতিতে রাবি ভিসির তোড়জোড়, আইইআর পরিচালকের পদত্যাগ!

বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম করার ক্ষেত্র অত্যন্ত সীমিত। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- নিয়োগ, টেন্ডার এবং রাজনীতি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমস্যার মূল কারণটি হচ্ছে নিয়োগ।

এ নিয়োগ দিতে গিয়েই অনেক ভিসিই নিয়োগ-বাণিজ্য বা নিয়োগ-রাজনীতি বা নিয়োগ-আত্মীয়তার জালে ফেঁসে যান। কিছু ভেজাল শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে সমগ্র জাতির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ধূলিসাৎ করেন এবং নিজের পদটিকে করেন কলঙ্কিত।

ভিসি হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্মতি ছাড়া একজন অযোগ্য প্রার্থীর শিক্ষক হওয়া অসম্ভব। সঙ্গত কারণেই নিয়োগে অনিয়ম হলেই শিক্ষকরা প্রতিবাদ করেন এবং ভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

নানাবিধ কলা-কৌশল এবং প্রতিপক্ষের সঙ্গে আপসরফা করে অনেক ভিসি পার পেয়ে যান। আবার ভাগ্য খারাপ হলে এ নিয়োগ চোরাবালিতে অনেকেই সম্মান এবং পদ হারান।

প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া কি খুবই অস্বচ্ছ? আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা আছে প্রায় শতভাগ, যা অন্যান্য সেক্টরে প্রায় বিরল।

এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সর্বজনগ্রাহ্য নীতিমালা হচ্ছে- ‘যারা ভালো ফলাফলের অধিকারী তারাই হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক’। ফলে যখনই প্রথম স্থান অধিকারীকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নিয়োগ প্রদান করা হয়, তখন সবাই বুঝতে পারে নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে।

পরিষ্কার সাদা কাগজ বা কাপড়ের ওপর কালো দাগ পড়লে যেমন সবাই দেখতে পারে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম হলে সবাই বুঝতে পারে।

সরকারের অন্যান্য সেক্টরের নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এসব চাকরিতে নিয়োগের সর্বজনীন মাপকাঠি হচ্ছে লিখিত-মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে চাকরি প্রদান। নিয়োগ হওয়ার পর সবই শেষ।

কে নিয়োগ পেল? কেন নিয়োগ পেল? কোনো স্বজনপ্রীতি-অনিয়ম হল কিনা- কিছুই জানার বা বোঝার উপায় নেই। একবার চিন্তা করে দেখুন তো বিসিএস পরীক্ষার কথা। আমরা কি জানি বা প্রশ্ন করি কেন একজন ৩.৫ গ্রেডপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থী চাকরি পেল না বা কেন ৩.০ গ্রেডপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থীকে নিয়োগ দেয়া হল?

আমরা আসলে কিছুই জানি না। আমাদের জানার অধিকার নেই এবং এসব বিষয়ে উচ্চবাচ্য করারও কোনো অবকাশ নেই।

হ্যাঁ, একটি স্বচ্ছ নিয়োগবিধি থাকা সত্ত্বেও আইনের ফাঁক দিয়ে কিছু অনিয়ম হচ্ছে। এজন্য কিছুদিন আগে ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা’সহ নানারূপ অদ্ভুত শর্তসংবলিত নতুন নীতিমালা তৈরির চেষ্টাও করেছিল।

কিন্তু নীতিমালা ছিল বাস্তবতাবিহীন। শিক্ষকদের অভিমত হচ্ছে, এরকম নীতিমালা তৈরির উদ্দেশ্য হল:

ক. শিক্ষক নিয়োগের স্বচ্ছ প্রক্রিয়াটিকে আলকাতরা লাগিয়ে অস্বচ্ছ ম্যাজিকের কালো-বাক্স তৈরি করা,

খ. অতঃপর লিখিত পরীক্ষার নামে এ কালো বাক্স থেকে ভিসির-নিয়োগ কমিটির যাকে ইচ্ছা তাকে নিয়োগ দেয়ার পথ সুগম করা, এবং

গ. যারা এতদিন অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-সমালোচনা করত, তাদের মুখ চিরতরে বন্ধের সুবন্দোবস্ত করা।

দেশ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সর্বোপরি ভিসিদের মর্যাদা রক্ষার্থে শিক্ষক নিয়োগের একটি সর্বজনীন এবং কঠোর নীতিমালা প্রয়োজন।

দীর্ঘ ৫ বছরের (অনার্স ও মাস্টার্স) ৪০ থেকে ৪৫টি কোর্সের লিখিত এবং মৌখিক-ব্যবহারিক পরীক্ষায় যে ছাত্র-ছাত্রীটি প্রথম হল, তাকে নিয়োগ কমিটির সাজানো একটি সাক্ষাৎকার বা পরীক্ষার মাধ্যমে বাদ দেয়ার চমৎকার ব্যবস্থা বন্ধ হওয়া দরকার।

নীতিমালা এমনভাবে করতে হবে, যাতে করে প্রথম স্থান অধিকারী ছাত্র-ছাত্রীটিকে:

ক. শিক্ষক হওয়ার জন্য দলীয় শিক্ষকদের পেছনে পেছনে ঘুরতে না হয়,

খ. দল করবে বা দলীয় মিটিংয়ে আসবে এ রকম প্রতিশ্রুতি দিতে না হয়,

গ. কোনো প্রভাবশালী শিক্ষকের ছেলেমেয়েকে বিবাহ করার প্রতিশ্রুতি দিতে না হয় এবং

ঘ. নিয়োগ-বাণিজ্য বা নিয়োগ আত্মীয়তার ফাঁদে পড়তে না হয়।

অনেকেই ভাবতে পারেন, এরকম নীতিমালা কি আসলেই করা সম্ভব?

হ্যাঁ, ইচ্ছা থাকলেই এটি করা সম্ভব। এজন্য ‘জুতা আবিষ্কারের কাহিনী’ প্রয়োজন নেই। বিদেশি সব নিয়ম-কানুন বিবেচনা করে হঠাৎ করেই প্রকাশনা, পিএইচডি ও পোস্ট-ডক ইত্যাদি শর্তেরও প্রয়োজন নেই।

আমাদের শুধু প্রয়োজন হচ্ছে শিক্ষক হিসেবে ভালো ছাত্রছাত্রীদের নিয়োগের যে অলিখিত প্রথাটি আছে তার সঙ্গে ইংরেজি ভাষার দক্ষতার বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করে একটি লিখিত সময়োপযোগী শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করা।

শিক্ষাগত যোগত্যা, ইংরেজি ভাষার ওপর দক্ষতা এবং উপস্থাপনার ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রভাষক নিয়োগের জন্য একটি মেধা তালিকা হতে পারে এরূপ :

১. অনার্স পরীক্ষার ফলাফল এবং মেধা তালিকায় অবস্থান ৫০ শতাংশ,

২. মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল ১৫ শতাংশ,

৩. ITLTS/TOEFL-এর ফলাফল ১৫ শতাংশ,

৪. এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফল ১০ শতাংশ এবং

৫. উপস্থাপনা ১০ শতাংশ (যদি প্রয়োজন হয়)। এখানে উল্লেখ্য, আবেদনকারীরা যদি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে থাকে তবে অনার্স এবং মাস্টার্সে প্রাপ্ত নম্বরের স্কেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ প্রস্তাবনায় প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রকাশনার গুরুত্ব দেয়া হয়নি, কারণ এ পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের প্রকাশনার গুণগত মান নির্ধারণ করা হবে খুবই কঠিন এবং বিতর্কিত।

নানাবিধ কারণে মেধা তালিকা প্রণয়নে মাস্টার্স পরীক্ষার চেয়ে অনার্স পরীক্ষার ফলাফল এবং মেধা তালিকাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষক নিয়োগের এ মাপকাঠিগুলোর প্রত্যেকটিই গুরুত্বপূর্ণ।

আমার বিশ্বাস, আমাদের অভিজ্ঞ এবং শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকমণ্ডলীর মতামতের ভিত্তিতে প্রত্যেকটির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব।

এ রকম একটি মেধা তালিকা তৈরি করে নিরপেক্ষভাবে শিক্ষক নিয়োগ করতে চাইলে বর্তমান নিয়োগ নীতিমালায় কিছু সংশোধনী প্রয়োজন:

ক. শিক্ষক নিয়োগ কমিটিতে ভিসি থাকবেন না।

তবে ভিসি নিয়োগ অনুমোদন করবেন এবং কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তার ব্যাখা চাইবেন,

খ. নিয়োগ কমিটিতে থাকবেন ডিন, সভাপতি, বিশেষজ্ঞ এবং প্লানিং কমিটির সদস্যরা,

গ. নিয়োগ কমিটি ১-৪নং মাপকাঠি ভিত্তিতে একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করবে,

ঘ. বাছাইকৃত আবেদনকারীদের উপস্থাপনা মূল্যায়ন করবেন কমিটির সদস্য এবং বিভাগের শিক্ষকরা এবং

ঙ. নিয়োগ কমিটি মেধা তালিকায় সর্বোচ্চ স্কোরপ্রাপ্তকে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রয়োজনীয় অনুমোদনের জন্য ভিসির কাছে পাঠাবেন।

বর্তমানে অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রী চাকরি পাওয়ার আগেই বিদেশি ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ও পোস্ট-ডক ডিগ্রি অর্জন করছে।

যোগ্যতাসম্পন্ন এসব প্রার্থীকে সরাসরি সহকারী প্রফেসর পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করা সমীচীন। এ ক্ষেত্রেও নিয়োগের মূল মাপকাঠিগুলো প্রযোজ্য থাকবে, তবে ৪নং মাপকাঠিতে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের পরিবর্তে প্রকাশনার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।

বাংলাদেশি যেসব নাগরিক শিক্ষক হিসেবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন, প্রয়োজনে তাদের আলোচনা সাপেক্ষে যোগ্যপদে নিয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এ নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রভাষক নিয়োগের শর্তগুলো প্রযোজ্য হবে না।

আমি আবারও উল্লেখ করতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ। এ স্বচ্ছতায় কোনোরূপ কালিমা পড়তে দেয়া যাবে না। সামান্য অজুহাতে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষকতা পেশা থেকে বঞ্চিত করা হবে মহাপাপ।

এ মহাপাপে আস্তে আস্তে ধ্বংস হবে বিশ্ববিদ্যালয়, জাতি এবং দেশ। এ পাপ থেকে যাতে আমরা নিজেকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করতে পারি তার জন্যই আমার এ প্রয়াস।

আমাদের অভিজ্ঞ ও শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকমণ্ডলীর একটু চেষ্টা করলে এবং সরকার উদ্যোগী হলে এ প্রস্তাবনা থেকে একটি পরিমার্জিত এবং যুগোপযোগী নীতিমালা করা সম্ভবপর।

সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় যদি কোনোদিন কোনোভাবে আমরা এরকম একটি নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়িত করতে পারি, তাহলে আমাদের সবার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বলেই আমার বিশ্বাস।

সরকার এবং শ্রদ্ধাভাজন সব শিক্ষকের কাছে বিনীত অনুরোধ, আসুন সবাই মিলে একটি সুন্দর নীতিমালা তৈরি করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ কেলেঙ্কারির কলঙ্ক চিরতরে বন্ধ করি। শ্রদ্ধাভাজন ভিসিদের সম্মান অটুট রাখি।

লেখকঃ ড. এমএলআর সরকার : প্রফেসর, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]