ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত হলো ‘পিঠা উৎসব – ২০২৪’

থরে থরে সাজানো নানা ধরনের পিঠা। যা শীতের সময়ে আবহমান বাংলার পল্লীতে সচরাচর দেখা যায়। কিন্তু ইট-পাথরের কৃত্রিম নগরেই শোভা পাচ্ছে তা। নগরজীবনে বেড়ে ওঠা অনেকেই পরিচিত নন এগুলোর সঙ্গে। কোনোটি খেজুরের গুড়ের রসে তৈরি। আবার কোনোটি নারকেলসহ অন্য মিষ্টান্নতে।

বাংলার বিভিন্ন পিঠাপুলির সঙ্গে পরিচিত করানোর জন্যই ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (ডব্লিউইউবি) কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগে গত (১৫-১৬) ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ – দুই দিন ব্যাপী পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসবটি গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে ।

‘(ডব্লিউইউবি) শিক্ষার্থীদের তৈরীকৃত পিঠা নিয়ে স্টলে শিক্ষার্থীরা’

বাহারি নাম ও দেশীয় সাজসজ্জার হরেক রকমের পিঠাপুলি ছিল উৎসবের প্রতিটি স্টলে। বশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিঠা নিয়ে স্টলগুলোতে হাজির হন। তাঁদের বৈচিত্র্যময় সব উপস্থাপনায় দুই দিনই কোলাহলমুখর হয়েছিল উৎসবস্থল।

 

বৃহস্পতিবার সকালে পিঠা উৎসব উদ্বোধনের পর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কালচারাল ক্লাবের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধান অতিথি জনাব জি এস

এম জাফরউল্লাহ, এনডিসি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১ সচিব), বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, আইসিটি ডিভিশন অব বাংলাদেশ।

‘প্রধান অতিথির কেক কেটে পিঠা উৎসবের শুভ উদ্বোধন’

প্রধান অতিথি জি.এস.এম. জাফরুল্লাহ – এর ভাষ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষাজীবনের এক ঐশ্বর্যের ভান্ডার হিসাবে বর্ণনা করে সাংস্কৃতিক যৌক্তিকতার ভূমিকা তুলে ধরেন তিনি।

অংশগ্রহণকারীদের তাদের নন্দনতত্বের অনবদ্য প্রদর্শনের প্রশংসা করে, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্ভাবনী অফারগুলি অন্বেষণ করার জন্য উপস্থিত সকলকে আমন্ত্রণ জানান।

‘মাননীয় উপাচার্যের প্রধান অতিথিকে ক্রেস্ট প্রদান’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ – এর সম্মানিত উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী। অনুষ্ঠানের সার্বিক সফলতা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, উপ-উপাচার্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

তিনি সামগ্রিক শিক্ষার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকারের উপর জোর দিয়ে এই ধরনের সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্র নেতৃত্ব ও দেশপ্রেমের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।

‘(ডব্লিউইউবি) কালচারাল ক্লাবের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা’

উপরন্তু, অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাতজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানানোর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন, জাতীয় বীরদের সম্মানে প্রতিষ্ঠানটির উৎসর্গের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

‘কোষাধ্যক্ষ মোর্শেদা চৌধুরী কর্তৃক প্রধান অতিথির ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ’

কোষাধ্যক্ষ মোর্শেদা চৌধুরীর উষ্ণ স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর অনুষ্ঠানের অতিথিরা পিঠার স্টল পরিদর্শন করেন এবং পিঠার স্বাদ নেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও ক্যাম্পাসের আশেপাশের সাধারণ মানুষ এ উৎসব উপভোগ করেন।

‘পিঠা উৎসব – ২০২৪ পুরস্কার বিতরণী পর্ব ও শিক্ষার্থীদের একাংশ’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই কালচারাল ক্লাব নিয়মিতভাবে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে আসছে। দু’দিনব্যাপী এই উৎসবের সমাপনী দিন ছিল শুক্রবার।

উৎসবে অংশগ্রহণকারী ১৩টি ডিপার্টমেন্টের ২৯টি স্টলের মধ্যে যথাক্রমে মেকাট্রনিক্স, আর্কিটেকচার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইংরেজি ডিপার্টমেন্ট – ১ম, ২য় এবং ৩য় স্থান দখল করে।