শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় পরিবর্তন আনার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্তের পর বেকায়দায় পড়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
মন্ত্রণালয়ের ১২ চিঠি। রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি এবং সহ–উপাচার্যসহ পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কৈফিয়ত তলব। সব নিয়োগ স্থগিত। উপাচার্য অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দোতলা বাড়ি দখলে রেখে ৫ লাখ ৬১ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি করেছেন। এই টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে বলা হয়েছে।
গত ১০ ডিসেম্বর থেকে এই বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একের পর এক চিঠি আসছে উপাচার্য তথা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর।
নীতিমালা শিথিল করে এবং অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়ে ও জামাতাকে।
এ জন্য তাঁদের নিয়োগ কেন বাতিল করা হবে না, সে জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এতে সাত কার্যদিবসের মধ্যে উপাচার্যকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া অসদাচরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি এবং নিয়োগে জড়িত থাকা সহ–উপাচার্যসহ পাঁচজন শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় ১০ ও ১৩ ডিসেম্বর পৃথক ১২টি নোটিশে এসব নির্দেশনা দিয়েছে। এর মধ্যে একটি চিঠিতে উপাচার্য এম আবদুস সোবহান অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দোতলা বাড়ি দখলে রেখে ৫ লাখ ৬১ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি করেছেন উল্লেখ করে তা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতেও বলা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন ঊধ্ব৴তন কর্মকর্তা এসব চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তে উপাচার্য ও তাঁর প্রশাসনের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় এসব ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে এই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে চাননি। এ বিষয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীও কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
অধ্যাপক আবদুস সোবহান ২০১৭ সালের মে থেকে দ্বিতীয় মেয়াদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রথম মেয়াদেও (২০০৯-২০১৩) তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। মাঝে এক মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন।
দ্বিতীয়বার উপাচার্য হওয়ার পর আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে কাগজপত্রসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের একাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠান।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নির্দেশে তদন্তে নামে ইউজিসি। তদন্তে উপাচার্যসহ তাঁর নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ওঠা বেশির ভাগ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন গত অক্টোবরে সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়।
শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার বিধি পরিবর্তন করে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের মেয়ে ও জামাতাকে দেওয়া নিয়োগ কেন অবৈধ ও বাতিল হবে না তা জানতে চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকায় উপ-উপাচার্যসহ ছয় শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তার কাছে কৈফিয়ত তলব করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তদলকে অসহযোগিতার অভিযোগ প্রতিবেদনে থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারীকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর এই তদন্ত চলাকালেও বিশ্ববিদ্যালয়ে তড়িঘড়ি করে বেশ কিছু নিয়োগের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এমতাবস্থায় উক্ত নিয়োগ কেন বাতিল করা হবে না তার ব্যাখ্যা আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ০৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তথ্য-উপাত্তসহ ৩০০ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ।
যার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি।
তদন্ত কার্যক্রম শেষে কয়েকটি সুপারিশসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ইউজিসি। ওই প্রতিবেদনে উপাচার্যের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাবিতে সকল প্রকার নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশও দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগের আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা ছিল সনাতন পদ্ধতিতে এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত চারটি স্তরেই প্রথম শ্রেণি বা গ্রেড পদ্ধতিতে এসএসসি ও এইচএসসিতে ন্যূনতম জিপিএ-৪.৫০, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তরে ন্যূনতম সিজিপিএ-৩.৫০।
এ ছাড়া স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তরে সংশ্লিষ্ট বিভাগের মেধাক্রম প্রথম থেকে সপ্তমের মধ্যে থাকতে হবে। পরিবর্তিত নীতিমালায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ মোটা দাগে ৩.২৫-এ নামিয়ে আনা হয় এবং মেধাক্রমে থাকার শর্ত তুলে দেওয়া হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, যোগ্যতা কমানোর একটাই উদ্দেশ্য, ২০১৭ সালের আগে যাঁদের আবেদন করার যোগ্যতা ছিল না, তাঁদের নিয়োগের পথ উন্মুক্ত করা। এই সুযোগেই উপাচার্যের মেয়ে ও জামাতা নিয়োগ পান। আগের নীতিমালা অনুযায়ী তাঁদের আবেদন করারই যোগ্যতা ছিল না।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫ সালে সংশোধিত নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০১৭ সালে ফের পরিবর্তন করে বেশ কয়েকটি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ ওঠায় তার তদন্ত করে ইউজিসি।
তদন্ত দল এর সত্যতা পাওয়ায় এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ন হওয়ার অভিযোগ তুলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়াসহ সাত শিক্ষকের কাছে এর কৈফিয়ত তলব করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তাদের প্রত্যেকের নামে পৃথকভাবে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়ে চিঠি প্রাপ্তির সাত কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কৈফিয়তের মুখে পড়া বাকি বাকি ছয় শিক্ষক হলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এম মুজিবুর রহমান, আইন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গাজী তৈহিদুর রহমান, আইন বিভাগের শিক্ষক শিবলী ইসলাম এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার সাখাওয়াত হোসেন টুটুল।
শিবলি ইসলাম হচ্ছেন সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা ও সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস’র বোনের ছেলে।
অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস বর্তমান প্রশাসন দায়িত্বগ্রহণের পর প্রথম দিকে ছাত্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যাপক এম মুজিবুর রহমান আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্য। এছাড়া জামায়াতপন্থী শিক্ষক আব্দুল হান্নান আইন বিভাগের সভাপতি।
রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতির নির্দেশ
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এসব অনিয়ম তদন্ত করার বিষয়ে ইউজিসির তদন্ত কমিটিকে বিভিন্ন পর্যায়ে অসহযোগিতা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুল বারী, যা অসদাচরণের শামিল।
এ জন্য তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে উপাচার্যকে বলা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন এবং শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে তাঁকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কৈফিয়ত তলব করেছে মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে অধ্যাপক আবদুল বারীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে কল করলে তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সদস্য হিসেবে কৈফিয়তের চিঠি তো পেয়েছেনই একইসঙ্গে তাকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
রাবি রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নীতিমালা ২০১৫ শিথিল করে পরিবর্তিত নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ওই নীতিমালা পরিবর্তন এবং শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য ইউসিজি কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তবে সেই কমিটির তদন্ত কাজে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী বিভিন্ন পর্যায়ে অসহযোগিতা করেছেন, যা অসদাচরণের শামিল।
তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তাকে রেজিস্ট্রারের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সহ–উপাচার্য ও চার শিক্ষককে কৈফিয়ত তলব
শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা শিথিল এবং শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার সঙ্গে সহ–উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়াও জড়িত ছিলেন।
এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়েও সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাঁকে কৈফিয়ত দিতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগেও নিয়মের ব্যত্যয় পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
অনুষদে প্রথম হওয়া, প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক পাওয়া, এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত প্রথম বিভাগ বা শ্রেণি থাকা আবেদনকারীকে বাদ দিয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এর মধ্যে একজন পরে সহ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার মেয়েকে বিয়ে করেন। তদন্ত কমিটির মূল্যায়ন ‘টার্গেট করেই’ এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চৌধুরী জাকারিয়ার মুঠোফোনে গতকাল রাত আটটার দিকে যোগাযোগ করলে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান। কিন্তু পরে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি আর ফোন ধরেননি।
এ ছাড়া পরিবর্তিত নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এম মজিবুর রহমান, আইন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিবলী ইসলাম, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গাজী তৌহিদুর রহমান এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তাঁদেরও সাত কার্যদিবসের মধ্যে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।
বাতিল করতে হবে নিয়োগ নীতিমালা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বর্তমান উপাচার্যের সময়ে করা ২০১৭ সালের নিয়োগ নীতিমালা বাতিল করতে বলা হয়। একই সঙ্গে ১৯৭৩ সালের আদেশ অনুযায়ী পরিচালিত ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতিমালা করতে বলেছে।
এর আগে ইউজিসির তদন্তে বলা হয়েছিল, নীতিমালা পরিবর্তনের মাধ্যমে চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা এখন সর্বনিম্ন।
ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশ্যই সুশাসন থাকতে হবে এবং অনিয়মমুক্ত হতে হবে। এ জন্য সরকারসহ দায়িত্বশীল সবারই যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।