শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনীত হলেন বাংলাদেশী ডা. রুহুল আবিদ

শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনীত হলেন বাংলাদেশী ডা. রুহুল আবিদ

ডা. রুহুল আবিদ এবং তার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান Health and Education for All (HAEFA) নোবেল শান্তি পুরষ্কার ২০২০ এর জন্য মনোনীত হয়েছে।

ডা. আবিদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন (MD) সম্পন্ন করে, জাপান এর নাগয়া ইউনিভার্সিটি থেকে মলিকুলার বায়োলজি এবং বায়োকেমিস্ট্রি বিষয়ে পিএইচডি করেন।

পরবর্তীতে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে ফেলোশিপ গ্রহন করেন।

ডা. রুহুল আবিদ ২০০২ সালে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে ইন্সট্রাকটর হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ২০০৬ সালে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হন। তিনি ব্রাউন গ্লোবাল হেলথ ইনিশিয়েটিভ এর একজন ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে আছেন।

ডা. রুহল আবিদ ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়ারেন আলপার্ট মেডিকেল স্কুল এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপশি রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ সেন্টারে প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর হিসেবে কাজ করছেন।

তার সংগঠন HAEFA বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছে। সর্বশেষ তিন বছরে ত্রিশ হাজার এর অধিক গার্মেন্টস ওয়ার্কার এবং সুবিধাবঞ্চিত নারীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার পাশাপাশি সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম করেছে।

কক্সবাজারে সাধারন জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি দেড় লক্ষের অধিক রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়েছে।

বর্তমানে কোভিড-১৯ এর বিস্তার প্রতিরোধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই অলাভজনক সংগঠন থেকে ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে।

২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধ্বসের পরে সারা বাংলাদেশে রেডি মেইড গার্মেন্টস ওয়ার্কারদের স্বাস্থ্য সেবা দিয়েছে এবং তাদের মূল ফোকাস ছিল ঢাকা, গাজীপুর, শ্রীপুর এর গার্মেন্টস কর্মীরা।

ডা. আবিদ ও তার সংগঠন ২০১৮ সালে কানাডায় ‘স্টারস ইন গ্লোবাল হেলথ’ অ্যাওয়ার্ড গ্রহন করেন।

তিনি ‘নিরোগ’ নামে একটি সফটওয়্যার ডিজাইন ও ডেভলপ করেছে। সহজে বহন করা যায় ও সৌরশক্তিতে চালিত এই সিস্টেম এর মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন জায়গায় ইন্টারনেট ছাড়াই ক্রোনিক ডিজিজ ও অন্যান্য রোগীদের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষন করা করে সংশ্লিষ্ট অথরিটিকে ব্যবস্থা গ্রহন এর জন্য তাৎক্ষনিক ভাবে অবহিত করা যায়।

২০১৭ সাল থেকে চলে আসা ডিজিটাল হেলথ কার্ড সিস্টেম ‘নিরোগ’ প্রজেক্ট বর্তমানে অত্যন্ত সফল।
অর্গানাইজেশন এর ওয়েব সাইটঃ http://haefa.org/

অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা ডা. রুহুল আবিদ স্যারকে। এই মানুষ গুলোর জন্য আমরা আশায় বুক বাধতেই পারি। শুভ কামনা!

ডা. নিলয় শুভ
২০১১-১২, ফমেক