আজারবাইজানে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন

আজারবাইজানে প্রথমবারের মতো ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছেন।

আজারবাইজান টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির বৈঠকখানায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় কেক কাটার মধ্য দিয়ে সভায় উপস্থিত শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানানো হয়।

করোনা মহামারীরর কারণে সীমিত পরিসরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

একই দিনে দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র শাশ্বত রায়কে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজারবাইজান টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তরের সাধারণ ব্যবস্থাপক ইলাহা কুরবানোভা।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এই আয়োজনে আমরা খুবই আনন্দিত। ২০২০ সালটা আমাদের জন্য একটা স্মরণীয় সাল।

এ বছর আমরা আমাদের নাগোরনো-কারাবাখ প্রদেশটি ভিনদেশীদের দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করতে পেরেছি। আমরা আশা করি ধীরে ধীরে আজারবাইজান ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে।’

শাশ্বত রায় তার বক্তব্যে বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারীতে আজারবাইজান সরকার জনসমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় সীমিত পরিসরে দিবসটি উদযাপন করতে হল। আমরা বৃহৎ কলেবরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করব।’

অস্থায়ী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাহুল হাসান বলেন, ‘অন্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণকারী অনেক শিক্ষার্থীই পড়াশোনা করছেন আজারবাইজানে।

কিন্তু সাংগঠনিক কার্যক্রমের অভাবে এই পর্যন্ত তারা একতাবদ্ধ হতে পারেননি। আশা করি, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সমর্থনে আমরা আজারবাইজান ছাত্রলীগ শাখা কমিটি গঠন পূর্বক এখানে অফিশিয়াল কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’

লকডাউনের কারণে যেসব কর্মী সভায় উপস্থিত হতে পারেননি, তারা জুম অ্যাপের মাধ্যমে সভায় অংশ নেন।

পরে অস্থায়ী কমিটির অপর যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপদেষ্টা মো. হেদায়েতুর রহমান লিমনের তত্ত্বাবধানে গানজা এবং বাকু শহরের বিভিন্ন এলাকায় পথচারীদের হাতে উপহার হিসেবে এন-৯৫ মাস্ক তুলে দেওয়া হয়।