কওমি মাদ্রাসায় সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে চায় ছাত্রলীগ

ছাত্রলীগ

কওমি মাদ্রাসায় বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন কার্যক্রম পরিচালনা করলেও সেখানে অনুপস্থিত প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতি।

আর সে কারণে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে আগ্রহী হয়েছে ছাত্রলীগ। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতিশীলতার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এসব মাদ্রাসায় কমিটি গঠনের পরিকল্পনা করছে তারা।

গত ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, থানা পর্যায়ের প্রত্যেক মাদ্রাসায় ছাত্রলীগের কমিটি দিতে হবে।

এর মাধ্যমে মাদ্রাসায় টাকা কোথা থেকে আসে তা দেখতে চান তিনি। জঙ্গি মামুনুল হকদের পাকিস্তানি টাকার উৎস বের করতে সরকারকে ব্যবস্থা নিতেও বলেন নিক্সন।

ছাত্রলীগ নেতারা অভিযোগ করছেন, ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন কওমী মাদ্রাসায় কার্যক্রম চালানোর সুযোগ পেলেও ছাত্রলীগসহ কোন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনকে সে সুযোগ দেওয়া হয় না।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামিম গণমাধ্যমকে বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বা পরিচালনায় যারা থাকেন তারা সব সময় চান সেখানে কোন ছাত্র সংগঠন বা প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের অস্তিত্ব যেন না হয়।

কিন্তু গোপনে গোপনে ঠিকই ইসলামী শাসনতন্ত্র, ছাত্র আন্দোলন, হেফাজতের ছাত্র সংগঠন এমন বিভিন্ন নামে-বেনামে তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছেন।

কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির দাবি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আরিফুজ্জামান ইমরান গণমাধ্যমকে বলেন, কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক ছাত্রলীগের কার্যক্রম নিয়ে আমাদের পরবর্তী সভাতে জানাবো।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চা ‍যদি মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্রে হয় তাহলে সেখানে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের সুত্রপাত হবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহসভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় গণমাধ্যমকে বলেন, কওমী মাদ্রাসায় যারা আছে তারাও কিন্তু শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

যেকোন জায়গায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হতে পারে। আমরা চাই প্রগতিশীল যে ছাত্র রাজনীতি চর্চা সেটা কওমী মাদ্রাসায় থাকুক।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে শিশুধর্ষণসহ সব ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার কথা জানায় ছাত্রলীগ।