অন্য কলেজে মাইগ্রেট করার দাবী নর্দার্ন মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের

রংপুর মেডিকেল কলেজের সামনে কথিত নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ।

বিএমডিসি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই ভুয়া বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অনুমোদনহীন এই মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

রংপুর নগরীর ধাপ বুড়িরহাট রোড এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি নর্দান মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদ ও মাইগ্রেশনের দাবিতে মঙ্গলবারও (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিনভর রংপুর মেডিকেল কলেজ চত্বরে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিএমডিসি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই ভুয়া বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অনুমোদনহীন এই মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

নর্দান মেডিকেল কলেজে নেপাল থেকে আসা ৪০ জন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য হাসপাতালে নেই কোনো স্থায়ী শিক্ষক। ধার করা রোগী ও শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের শিক্ষা জীবন ধ্বংস করে ফেলেছে। অনেকবার বলেও কোনো প্রতিকার হয়নি।

কর্তৃপক্ষ বার বার আশ্বাস দেবার পরেও কোনো অনুমোদন আনতে পারেনি। যারা শেষ বর্ষ পাশ করেছেন তাদের ইন্টার্নশীপের কোনো ব্যবস্থাও নিতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ।

সে কারণে তাদের অন্য মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশনের সুযোগ দিয়ে লেখাপড়ার সুযোগ দানের দাবি জানিয়ে দু’দিন ধরে রংপুর মেডিকেল কলেজের সামনে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রংপুর মেডিকেল কলেজে অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে যোগদান করে চলে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা তাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ-মানববন্ধন করেন এবং মাইগ্রেশনের দাবি জানান।

এ সময় তিনি ২/১ দিনের মধ্যেই নর্দান মেডিকেল কলেজের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার ঘোষনা দেন। সেই সাথে সেখানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের দেশের বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবার সুযোগ দিতে মাইগ্রেশন করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থীদের একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। আমি দাপ্তরিক কাগজ দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

এ সময় তিনি নর্দান মেডিকেল কলেজটি পুরোপুরি বন্ধ করার ইঙ্গিত দেন।

এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, “নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজটি পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হলে প্রতারণার শিকার শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেশনের মাধ্যমে অন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া করতে পারে।”