খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অসচ্ছতার অভিযোগ

Khulna University Gate KU

“খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসহ PhD ডিগ্রীধারী সকলেই বাদ!!”।

গত ০৬-০৯-২০২০ তারিখে বায়োটোকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ টি শূন্য পদের বিপরীতে দরখাস্ত আহবান করা হয়।

এই দরখাস্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২১।১২।২০২০ তারিখে প্রার্থীদেরকে লিখিত/ মৌখিক পরীক্ষার জন্য ইমেইল এবং ডাক যোগে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়।

দুটি গুরুত্বপূর্ণ কারনে উক্ত নিয়োগ পরীক্ষা ত্রুটিপূর্ণ বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রথমত, লিখিত পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা ছাড়া প্রার্থীদের নামমাত্র লিখিত পরীক্ষা নিয়ে ২৫ জন প্রার্থীর থেকে ২০ জনকে বাদ দিয়ে ৫ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০ জন বাদ যাওয়া প্রার্থীর মধ্যে কয়েকজন অস্ট্রেলিয়া এবং মালেশিয়ার মত দেশের World ranking এ থাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকতা ও গবেষণার অভিজ্ঞতাসহ PhD ডিগ্রীধারী প্রার্থীরা ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন UGC এর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিন্ন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালাতে (কমিশনের ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠীত ১৪৮ তম পূর্ণাঙ্গ সভায় আংশিক সংশধিত) সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে MPhil বা PhD ডিগ্রী প্রার্থীর অতিরিক্ত যোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে।

UGC নীতিমালাতে পরিষ্কার উল্লেখ থাকার পরও বিজিই ডিসিপ্লিনের শিক্ষক নিয়োগে একের অধিক শিক্ষকতা ও গবেষনার অভিজ্ঞতাসহ PhD ডিগ্রীধারীকে মৌখিক পরীক্ষা ছাড়া শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমো বাদ দিয়ে দেয়াকে UGC নীতিমালার লংঘন বলে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন।

উল্লেখ্য, UGC নীতিমালা অনুসারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা একটি প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া, কোন আরোপিত নীতি নয়।

দ্বিতীয়ত, উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় রেজিস্ট্রার অফিস থেকে ইস্যুকৃত ”স্মারক নং খুবি/প্রশা-৯৬/৯১-১৩৭১ (১-২৫)” ইন্টাভিউ লেটারে ২৫ জন প্রার্থীর কথা উল্লেখ থাকলেও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৬ ক্রমিক নং প্রার্থীর উপস্থিতি পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষকতা ও গবেষণার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন PhD প্রার্থীরা বাদ পড়ে এবং শিক্ষকতায় অনভিজ্ঞ অনার্স/মাস্টার্স প্রার্থী মনোনীত হয়, সেটাকে অনেকে যোগ্য প্রার্থী বাছাই নয় বরং যোগ্য প্রার্থী ছাঁটাই প্রক্রিয়া বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন এবং এই নিয়োগের স্বচ্ছতার অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার ‌অনুরোধ করেছে।