যবিপ্রবি হবে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি)

দেশের অন্যতম পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হতে যাচ্ছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট হল বর্তমানে ২টি। ছাত্রদের জন্য ১টি ও ছাত্রীদের জন্য ১টি হল রয়েছে। এছাড়াও নির্মাণাধীন আছে আরও দুটি আবাসিক হল।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৭টি অনুষদের ২৬ টি বিভাগে অধ্যয়নরত রয়েছেন প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী। সে হিসেবে নির্মাণাধীন দুটি হলের কাজ শেষ হলে পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে যবিপ্রবি।

২০১০ সালে স্থাপিত হয় বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একমাত্র হল ‘শহীদ মসিয়ূর রহমান’ হল। ২১১ কক্ষ বিশিষ্ট পাঁচ তলার এই ছাত্রাবাসটির আসন সংখ্যা ৭৫৬টি। হলটিতে ছাত্রদের জন্য রয়েছে টিভি রুম, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত রিডিং রুম, ক্যান্টিনসহ একটি ব্যায়ামাগার।

ছাত্রীদের একমাত্র হল ‘শেখ হাসিনা হল’ নির্মিত হয় ২০১০ সালে। পাঁচতলা এই হলটির আসন সংখ্যা প্রায় পাঁচ শতাধিক। রিডিং রুম, সাইবার ক্যাফে, টিভি রুম, ক্যান্টিনসহ ব্যায়ামাগার রয়েছে হলটিতে। পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় করতে নির্মাণ করা হচ্ছে আরও দুটি আবাসিক হল- মুনশি মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ হল ও বীরপ্রতিক তারামন বিবি হল ।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি)
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি)

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য ২০১৮ সালে মুনশি মেহেরুল্লাহ হলের ভিত্তিস্তর স্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ১০ তলা এই ভবনে আসন সংখ্যা হবে প্রায় ১২ শতাধিক। হলটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে রিডিং রুম, টিভি রুম, ক্যান্টিন, ব্যায়ামাগার সহ সকল সুযোগ সুবিধা। আর ছাত্রীদের জন্য নির্মিত বীরপ্রতিক তারামন বিবি হলের আসন সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। ১০ তলা বিশিষ্ট এই ভবনে থাকবে চারটি লিফট, রিডিং রুম, ব্যায়ামাগার, টিভি রুম সহ প্রতি ফ্লোরে রান্না করার জায়গা।

নতুন হল দুটিতে থাকছে পিএইচডিসহ বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধা।

এ প্রসঙ্গে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে আমরা নতুন দুটি হল, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারব বলে আশাবাদী।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও বৃষ্টির জন্য নির্মাণ কাজে অনেক বিঘ্ন ঘটেছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে আমরা জমি অধিকরণের কাজ শুরু করব। আমরা আরও ৬৫ একর জমি অধিকরণের চিন্তা করছি।

তিনি আরও বলেন, জমি অধিগ্রহণের কাজ ইতিমধ্যে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। আইননত হল এবং একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজের ৯০ শতাংশ অর্থ ব্যয় না হওয়া পর্যন্ত আমরা নতুন করে জমি বর্ধনের কাজ শুরু করতে পারি না। তাই আমরা চেষ্টা করব, আগামী বছরের মার্চ মাসের আগেই কাজ শেষ করে জমি বর্ধনের কাজ শুরু করার।

আমাদের নির্মিত নতুন দুইটি হলে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা। এছাড়াও পিএইচডি ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা কক্ষ বরাদ্দ থাকবে। হল দুটির কাজ শেষ হলে আমরা পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হব।