ঢাবির মৎসবিজ্ঞান বিভাগের এই ভবন নির্মিত হয়েছে শিক্ষকের জমানো টাকায়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎসবিজ্ঞান বিভাগের একটি ভবন

এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎসবিজ্ঞান বিভাগের একটি ভবন। এই সুন্দর ভবনটি কোনো সরকারি টাকায় নির্মিত হয় নি। হয়েছে একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ শফির সারা জীবনের সঞ্চয়ের টাকায়!

বিশ্বাস হচ্ছে না? একজন শিক্ষক, যিনি সমাজের অন্যান্য শ্রেণী-পেশার মানুষ থেকে আয়-উপার্জনে অনেক পিছিয়ে আছেন, তিনি কি না তার বেতন ও পেনশনের সমুদয় টাকা ভালোবাসার বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দান করে ফেললেন— এমন খবর এই অন্ধকারে জোনাকি পোকা ছাড়া কী হতে পারে?

১০০ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অজস্র কোটিপতি তৈরি করেছে। অসংখ্য প্রভাবশালী রাজনীতিক, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, মন্ত্রী, সাংসদ, প্রবাসী, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তারা যদি অন্তত সামান্য হাত নিয়ে এই অধ্যাপক মোহাম্মদ শফির মতো এগিয়ে আসতেন, তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েরা কয়েক বছরেই একটি অসাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় পেতো।

শুধু যে টাকা দিতে হবে এমন নয়। নানাভাবে সাবেক ছাত্ররা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন। সরকারের সাথে দেন-দরবার করাটাও একটি বড় ভূমিকা হতে পারে।

অধ্যাপক শফিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এ ভবন শতো শতো বছর ধরে বয়ে বেড়াবে আপনার নাম। চারপাশের কুৎসিত খবরের ভীড়ে এ যেন ডিসেম্বরে বৃষ্টি।