ঢাবিতে পরীক্ষা গ্রহণের পক্ষে ছাত্রদল

ছাত্রদল সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটি।

আহ্বায়ক কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিভাবক এবং গার্ডিয়ান মনে করছে।

অভিভাবক হিসেবে সঠিক সিদ্ধান্তটিই নিয়েছেন বলে মনে করে সংগঠনটি।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান এমনটি জানান।

হল বন্ধ রেখে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলো সরব হলেও ছাত্রদল কোন কথা বলছে না কেন এমন প্রশ্নে এসব জানান তিনি।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বন্ধ রেখে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলো।

সংগঠনগুলো বলছে, শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনের গুরুত্ব অনুধাবন ও তাদের শিক্ষা জীবনে সেশনজট না রাখতে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত সাধুবাদ পায়।

তবে হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত একটি অযৌক্তিক, অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। ক্রিয়াশীল এসব ছাত্র সংগঠন হচ্ছে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে এ আলোচনায় নীরব ভূমিকা পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।

শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নীরব থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। শিক্ষার্থীরা বলছে, ছাত্র সংগঠনগুলোর আবশ্যিক কাজ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলা।

কিন্তু বর্তমান ছাত্র রাজনীতির ধারা হয়ে গেছে পদভিত্তিক। ছাত্রনেতারা শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা না বলে নিজেদের পদের জন্য কার্যক্রম চালায়। ছাত্রদলও একই ধরনের কাজ করছে।

এর আগে হল খোলার দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্র ফেডারেশন। গতকাল রবিবার উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন।

এমন পরিস্থিতিতে ছাত্রদল মনে করছে, অভিভাবক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

ছাত্রদের জন্য হল খোলার বিষয় ‘অনেক ছোট’ বিষয় হিসেবে দেখছে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান।

তিনি বলেন, দেশে অনেক বড় বড় ইস্যু আছে, সেগুলো নিয়ে কথা না বলে হল খোলা নিয়ে কোন কথা বলতে চাচ্ছি না। এটাতো অনেক ছোট একটা বিষয়। এমনিতে কেউ জিজ্ঞেস করলে (গণমাধ্যমের কর্মীরা) তবে আমরা কথা বলছি।

প্রশাসনের উপর আস্থা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আছেন, তারা যেভাবে ভালো মনে করেন সেভাবেই তারা করবেন। তারাতো শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, গার্ডিয়ান।

গার্ডিয়ানরা যেভাবে চায় সেভাবেই হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য যা ভালো মনে হবে তা তারা করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস আছে।

হল খোলা নিয়ে ছাত্রদল রাজনীতি করতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, সবাই যেরকম রাজনীতি করছে আমরা সেটা নিয়ে রাজনীতি করতে চাইনা।

ছাত্রদের জন্য প্রশাসন কোন অসুবিধা মনে না করলেও ছাত্রীদের থাকার বিষয়টি অনেকটা অসুবিধার সৃষ্টি করবে। ছাত্রীদের জন্য চাইলে হল খোলা যায়।