প্রতিষ্ঠাবার্ষিকে চুয়েটের আয়োজন

চুয়েটের ১৮তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামীকালঃ
“বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৮ বছরে পা রাখছে চুয়েট”

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ সীমিত পরিসরে আগামীকাল ০১ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার), ২০২০ খ্রি. ১৮তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হবে।

এ উপলক্ষ্যে আগামীকাল সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

চুয়েটের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।

এবার ১৮তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আনন্দ র‌্যালি, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা প্রভৃতি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে চুয়েটের সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা-গবেষণার একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আত্মপ্রকাশ করে।

এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর “চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ” হিসেবে যাত্রা শুরু করে পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালের ১ জুলাই “বিআইটি, চট্টগ্রাম” হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল।

এক নজরে চুয়েট :

চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক সংলগ্ন প্রায় ১৭১ একর জমির উপর মনোমুগ্ধকর নৈসর্গিক পরিবেশে চুয়েট ক্যাম্পাস অবস্থিত।

বর্তমানে চুয়েটে ৫ টি অনুষদ, ১৮ টি বিভাগ, ৩ টি ইনস্টিটিউট, ৩ টি গবেষণা সেন্টার এবং ৭ টি আবাসিক হল (৫ টি ছাত্র হল ও ২ টি ছাত্রী হল) রয়েছে। চুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৪,৫০০ জন।

এছাড়া ২৮৫ জন শিক্ষক, ১৬০ জন কর্মকর্তা ও ৩৫০ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এখানে প্রতিবছর চারটি অনুষদের অধীনে ১২ টি বিভাগে মোট ৮৯০ আসনের বিপরীতে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করানো হয়।

বিভাগসমূহ হচ্ছে- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।

এছাড়া নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডিজেস্টার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগে পৃথক পোস্ট গ্যাজুয়েট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

অন্যদিকে নন-ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ হচ্ছে- পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত ও মানবিক বিভাগ।

চুয়েটের গবেষণা ইনস্টিটিউটসমূহ হচ্ছে- ইনস্টিটিউট অফ এনার্জি টেকনোলজি, ইনস্টিটিউট অফ আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ, ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি।

গবেষণা সেন্টারসমূহ হচ্ছে- সেন্টার ফর রিভার, হারবার, এন্ড ল্যান্ড-স্লাইড রিসার্চ, সেন্টার ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রবলেম্স রিসার্চ, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ।

পাশাপাশি ব্যুরো অফ রিসার্চ, টেস্টিং এন্ড কনসালটেন্সি (BRTC) নামে পৃথক একটি সেন্টারের মাধ্যমে সারাদেশে বিবিধ শিল্প এবং প্রতিষ্ঠানকে প্রযুক্তি সংক্রান্ত সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

লেখক: পারভেজ আহমেদ