তীরে ভেসে আসা জাহাজ সদৃশ এই বস্তুটির নাম বার্জ

জাহাজ বার্জ

ছেঁড়াদিয়ায় ভেসে আসা এই বস্তুটি জাহাজ না। এটাকে বলে বার্জ। নরমালি এটার উপরে খোলা, সাইডে রেলিং দেয়া। ভেতরে ছোটখাটো স্টেডিয়ামের মতো মনে হবে দেখতে। বিভিন্নরকম কার্গো এটাতে লোড করা যায়৷

২. এটা জনশূন্য কারণ এটাতে কোনো মানুষ থাকে না। এটাতে মানুষ থাকার কোনো কেবিন নেই।

৩. এটাকে সামনে থেকে মোটা রশি দিয়ে টেনে নিয়ে যায় একটা ছোট জাহাজ। সেটাকে বলে টাগ। পুরো ব্যাপারটাকে বলে টোয়িং। ছোট জাহাজটাও কাইন্ড অফ সাপোর্টিং জাহাজ৷ সাইজে ছোট হলেও সেটার ইঞ্জিনের পাওয়ার অনেক বেশি৷

এত বড় বার্জটাকে ইজিলি টেনে নিয়ে যেতে পারে। তবে ঝড়ের সাথে সেটা হয়তো টিকে থাকতে পারেনি এটা সহ৷ রশি ছিঁড়ে কন্ট্রোলের বাইরে চলে এসেছে। অন্য কোনো ইস্যুও হতে পারে৷ ইভেন ছোট জাহাজটার কোনো এক্সিডেন্টও হতে পারে।

৪. বাংলাদেশের অসংখ্য নদীতে আপনি এই বার্জটার ছোট সাইজের অনেক বার্জ দেখবেন৷ ইভেন আমি আশুলিয়াতেও দেখেছি৷ পণ্য পরিবহনের চেয়ে আমাদের দেশে রিভার কন্সট্রাকশনে এটার ব্যবহার বেশি।

৫. যে পরিমাণ মালামাল এটাতে বোঝাই করা যায় সে পরিমাণ মালামাল বোঝাই করা যাবে এমন একটা জাহাজের চেয়ে এটার দাম অনেক অনেক কম।

শর্ট ডিসটেন্সে পণ্য পরিবহনে এটা বেশ ফ্ল্যাক্সিবল। ফর এক্সাম্পল, ইন্দোনেশিয়া- মালায়েশিয়া- সিংগাপুর কাছাকাছি দেশ হওয়ায় সেখানে এটার ব্যবহার অনেক বেশি৷

৬. এটা কোন দেশি বা কার বার্জ সেটার খোঁজ বের হয়ে যাবে দ্রুত আই হোপ৷ যার মাল সে-ই খুঁজে বের করবে। যদি না করে তাহলেও সেটা ভূতুড়ে কিছু না। না খুঁজে বের করলেই বরং ওউনারের লাভ বেশি। জাহাজ ব্যবসা মাফিয়া ব্যবসা ভাই। অনেক টাকার খেলা৷ অনেক ব্যাপার স্যাপার আছে৷ ইন্সুরেন্সের ইস্যু আছে।

৭. এটাকে ঘিরে কল্পকাহিনী বানানো, রোমাঞ্চিত হওয়া সম্ভবত উচিত না৷ এভাবে খবর বানিয়ে প্যানিক সৃষ্টি করাও ঠিক না। খুব স্বাভাবিক সাধারণ একটা ঘটনা।

জাহাজে চাকরি করে খাই বলে টুকটাক কিছুটা জানি তাই লিখলাম। জাহাজে চাকরি না করলে হয়তো বা কিছুই জানতাম না। লিখতেও পারতাম না।

– তানভীর মেহেদী
মেরিনার