যোগ্যতা অর্জনের চেয়ে এর সমলোচনাই শ্রেয়

মানুষের একটি বড় গুণ অন্যের সমলোচনা। গুণই বটে! কারণ এতটা স্মুথলি মানুষজন একে অন্যের সমলোচনা করে সেই একই ফ্রিকুয়েন্স এ যদি সে নিজের দিকে একটু ফোকাস করতো তাহলে একদিন অন্যকেউ হয়তো তার সমলোচনা করতো ।

কি দরকার, অন্যের সমলোচনার পাত্র হওয়ার! তার চেয়ে এই গুণটাকে একটি পরিমার্জিত করে নিজের মত করে অন্যকে হেয় করে সাময়িক সুখই শ্রেয়। একজন রিক্সা চালক পার্শ্ববর্তী দেশের শিক্ষাব্যবস্থা প্রশ্ন তুলতে তুলতে হয়রান। কিন্তু তার জ্ঞানভান্ডারে এটা নাই, সে দেশ থেকে সুন্দর পিচাই বা পরাগ আগারওয়াল এর মত ব্যাক্তি তরুণ বয়স থেকেই টেক দুনিয়াতে রাজত্ব করে আসছে।

ইন্টার পাশ করা এক ছেলে স্টিফেন হকিং কে সার্টিফিকেট দেয় সে আসলে বিজ্ঞানী কিনা। সামান্য প্রাসের ম্যাথ সলভ করা বাচ্চা ছেলেটাও জাফর ইকবাল স্যারের মত বরেণ্য ব্যাক্তিকে ট্রল করে। কয়েকবছর ধরে নিজের ট্যাগ ধরে রাখা এক শিক্ষিত বেকার ইলন মাস্কের পেজে গিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে আসে।

ঝামেলা থেকে একশহাত দূরে থাকা পাবলিক জ্ঞ্যান দেয় কিভাবে ইউক্রেন রাশিয়াকে আরামচে হ্যান্ডেল করতে পারতো। আসলেই, যোগ্যতার কয়েকফুট তলানিতে অবস্থান করেও যোগ্যদের নিয়ে মন্তব্য আসলেই একটা গুণ। সংক্ষেপে যাকে হিপোক্রেসি বলা যায়!
আসলে, দুনিয়াটা হিপোক্রেটদের দখলে!