আমার ঢাবি সার্টিফিকেট উত্তোলন অভিজ্ঞতা

ওয়াহিদা জামান সিথী
ওয়াহিদা জামান সিথী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট উত্তোলন প্রক্রিয়া অনলাইনভিত্তিক হয়েছে। তো এই অনলাইন ভিত্তিক হওয়ার ফলে পুরো প্রক্রিয়াটা কী দাঁড়িয়েছে?

ধাপ ১- প্রথমে অনলাইনে (https://service.du.ac.bd)  সমস্ত বিস্তারিতসহ একটা আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। সকল তথ্য নিশ্চিত করে সাবমিট করলে তারা একটি পে স্লিপ দিবে।

ধাপ ২- পে স্লিপটি ডাউনলোড করে নিকটস্থ প্রিন্টের দোকান থেকে প্রিন্ট করান।

ধাপ ৩- অগ্রণী ব্যাংকের নিকটস্থ যেকোন শাখায় উল্লেখিত সার্টিফিকেট ফি জমা দিন। জমা দেওয়ার পর তারা সেটা সিস্টেমে আপডেট করে দিবে।

ধাপ ৪- পুনরায় ওয়েবসাইটে যান। ৩টা ফর্ম পাবেন এবার। সেই ৩টা ফর্ম ডাউনলোড করুন।

ধাপ ৫- আবার নিকটস্থ প্রিন্টের দোকানে গিয়ে সেই ফর্ম প্রিন্ট করান। প্রবেশপত্র/মার্কশিট, আইডি কার্ডও ফটোকপি করে নিবেন এই ধাপে।

ধাপ ৬- প্রবেশপত্র/মার্কশিট, আইডি কার্ডের ফটোকপিসহ এই ফর্মগুলো আপনার হলে নিয়ে যান সাইনের জন্য।

ধাপ ৭- হল এবার আপনাকে একটা ব্যাংক রশিদ দিবে। কার্জন হল শাখার অগ্রণী ব্যাংকে গিয়ে ২০০ টাকা জমা দিন সেই রশিদের উপর। (আমার হলে এই নিয়ম। অন্যান্য হলে এরকম কিনা তা আমার জানা নাই)

ধাপ ৮- পুনরায় সেই রশিদের বাকি অংশ নিয়ে হলে ফেরত আসুন। কিন্তু আপনি আসতে আসতে প্রভোস্ট অফিস ত্যাগ করে গেছেন। অর্থাৎ আজ কাগজ স্বাক্ষর হবে না। আপনাকে বলবে পরের দিন সকালে আসুন।

ধাপ ৯- পরের দিন সকালে গিয়ে আপনি শুনবেন প্রভোস্ট এখনো আসেননি। ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষা করুন।

ধাপ ১০- ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষা করে আবার অফিস রুমে গেলে সেখানে আপনাকে বলবে প্রভোস্ট আজকে আসবেই না। পরের দিন আবার আসতে বলবে। অথচ এই ধাপ পর্যন্ত আপনার ইতোমধ্যে প্রায় ৪০০ টাকা খরচ হয়ে গেছে রিক্সাভাড়া বাবদ।

ধাপ ১১- পরের দিন আবার রিক্সাভাড়া খরচ করে গিয়ে এবার ভাগ্যক্রমে স্বাক্ষরিত কাগজ নিয়ে রেজিস্টার বিল্ডিং এ জমা দিতে হবে।

ধাপ ১২- এখান থেকে শুরু হবে রেজিস্টার বিল্ডিং এর পর্ব। আমি এখনো ধাপ ১০ এ আটকে আছি বলে পরবর্তী ধাপসমূহ এখানে উল্লেখ করতে পারছি না। পরবর্তী ধাপসমূহ পার করা মাত্র পোস্টটি আপডেট করা হবে।

লেখকঃ সাবেক শিক্ষার্থী,
মাস কমিউনিকেশন এন্ড জার্নালিজম বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়