মনুষ্যত্ব।।প্রতিনিয়ত মন্দির মসজিদ ভাংচুর এর নিউজ দেখি।যখন মন্দির ভাংচুর হয় তখন দায়ী থাকে মুসলমানদের। আর যখন মসজিদ ভাংচুর হয় তখন নাম আসে হিন্দুদের। কিন্তু এমন কেন?আগে মানুষ ধর্ম নিজের মধ্যে সৃষ্টি করাকে কি অধিক ভালো মনে করেন না?
একদল লোক এসে আপনার ঘর ভাংচুর করে গেল। এর দোষ কাকে দেবেন?অসাধু লোক,চোর,ডাকাত,আপনার চড়ম শত্রু এগুলোর একটা বলবেন নাকি বলে উঠবেন পুরো গ্রামবাসী আপনার ঘর ভাংচুর করেছে।
যদি এটা বলে থাকেন তবে আপনি কিন্তু সমাজ থেকে তাড়িত হবেন। তেমনি যদি একটা মন্দির বা মসজিদে ভাংচুর এর দায় যদি পুরো একটা ধর্ম জাতীকে দেওয়া হয় তাহলে কাজ টা কি ঠিক করছেন?পুরো একটা ধর্মজাতি কখনো এরকম কাজ করতে পারে না।
ধর্মের উদ্দেশ্য শান্তি প্রতিস্থাপন করা।সত্যি বলতে যারা এসব কাজ করে তাদের নিজ ধর্ম তো দূরের কথা,তাদের মনুষ্য ধর্মটাই নেই।তারা এক কথায় অমানুষ। এসব ভাংচুর এর দায় দিতে চাইলেই বলে উঠবেন না এটা মুসলিম করেছে বা এটা হিন্দুরা করেছে।তাদের যদি পরিচয় দিতে হয় তবে অমানুষ বলেই পরিচয় টা দিন।
কিছু অমানুষদের জন্য কেন একটা ধর্মজাতিকে তাচ্ছিল্য করবেন!এতে লাভ কিছু হবে না বরং অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা উঠে গিয়ে ঘৃণা সৃষ্টি হবে।আগে নিজেই মনুষ্যত্ব কে তৈরি করুন তারপর নিজ নিজ ধর্ম পালনে এগিয়ে থাকুন।
আমি প্রায়শই দেখি যে হিন্দু যারা আছে তাদের কমবেশি কোনো একটি হিন্দু পেজ এর সাথে যুক্ত থাকে । আর মুসলমান রাও কোনো মুসলিম পেজ এর সাথে যুক্ত থাকে। আর ওইসব পেজ এ কোনো মন্দির বা মসজিদ ভাংচুর এর পোস্ট থাকবেই,থাকা স্বাভাবিক।
তবে ওই পোস্ট এর হেডিং এ উল্লেখ করা থাকে যে এই কাজ অমুক ধর্মের। মাঝেমাঝে লেখা থাকে যে অমুক ধর্মের নির্যাতনের শিকার,মাঝে মাঝে এমনও দেখি যে অমুক ধর্মের মেয়ে অমুক ধর্মের দ্বারা নির্যাতিত। আর সাধারন মানুষের মনের মধ্যে একটা হিংসা ভাব সৃষ্টি হয়ে পরে।মানে একটা মেয়ে একটা ধর্মের দ্বারা নির্যাতনের শিকার।।
তাই দয়া করে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না।যারা এসব কাজ করে তাদের অমানুষ বলে সমাজ থেকে তাড়িত করা দরকার।আর নিজের মনুষ্যত্ব কে আগে বিকশিত করে তুলুন।
রাহুল বিশ্বাস
রাবিপ্রবি প্রতিনিধি