কক্সবাজার কাস্টমস অফিসে ঘুষের মহোৎসবের দায়ে সুশান্ত পালকে বান্দরবানে বদলি

সুশান্ত পাল

কক্সবাজার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাটের ডেপুটি কমিশনার সুশান্ত পালকে সদর দপ্তরে ও অতি: দায়িত্ব বান্দরবান বিভাগে বদলি করা হয়ছে।

সূত্রঃ চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন স্বাক্ষরিত আদেশে পত্র নথি নং-০৮.০১.২০০০.২০২.৪৩.২০২১।

উল্লেখ্য যে, গত ২০ ডিসেম্বর পরবর্তীতে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে “কক্সবাজার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসে ঘুষের মহোৎসব” সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব” শিরোনাম এবং “মাসিক চুক্তির কারণে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব ” শীর্ষক বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। সিন্ডিকেট প্রধান সুশান্ত পাল বদলি হলেও অন্যান্যরা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।

জানা যায়, ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্থা ঘুষ-দুর্নীতি ও সরকারের রাজস্ব লুটপাট হওয়ার বিষয়টি তদন্তের জন্য মাঠে নেমেছে।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, সুশান্ত পালের সিন্ডিকেটের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি কি পরিমাণ হয়েছে তা দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

এদিকে ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কক্সবাজার কাস্টমস এক্সাসাইজ ও ভ্যাট অফিসে কর্মরত কর্মকর্তাদের অত্যাচার ও হুমকি-ধমকির কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কর্তারা যা বলেন তা জ্বী স্যার বা হুজুর বলে করে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

তাদের কথার উপর দ্বিমত পোষণ করলে বিভিন্ন ধরনের হয়রানিসহ প্রতিষ্ঠানের ডকুমেন্ট, পিসি জব্দ করে নিয়ে এসে লাখ লাখ টাকায় তাদের সাথে দফারফা করে ছাড়িয়ে আনতে হয়।

ব্যবসায়ীরা আরও বলছেন , আমরা আছি এক মহাযন্ত্রণায়। এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে পারে সরকার, অর্থ মন্ত্রণালয়, এনবিআর ও দুদকের হস্তক্ষেপের ফলে। তখনি ব্যবসায়ীরা তাদের মতো সিন্ডিকেট ঘুষখোরদের লাঞ্ছনা ও বঞ্চনা থেকে রেহাই পাবে।

আরও জানা যায়, কক্সবাজার বিভাগের ডেপুটি কমিশনার সুশান্ত পাল ও রাজস্ব কর্মকর্তা সব্যসাচী সিকদার, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা যথাক্রমে: মো. সালাহ্ উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, আনিসুল করিম, সৈয়দ মো. আবু রাসেল,আবছার উদ্দিন, তৌফিক আহমেদের যোগসাজসে অফিসটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। ফলে সরকার হারাচ্ছিল কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

পড়ুনঃ মাসিক চুক্তির কারণে কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার