নোবিপ্রবিতে নিয়োগ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন

নোবিপ্রবিতে নিয়োগ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন

নোবিপ্রবিতে নিয়োগ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বববিদ্যালয় ( নোবিপ্রবি) তে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও অস্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২০ সেপ্টেম্বর ( রবিবার) বিশ্বববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে সামনে বিশ্বববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক মজনুর রহমান,সহ সভাপতি ড. আনিসুজ্জামান রিমন,সাবেক স্পীকার আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, ফিসারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন,সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন পলাশসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারীর নেতৃবৃন্দসহ আরো অনেকে।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজনু রহমানের সঞ্চচালনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, এগ্রিকালচার বিভাগের প্রভাষক রায়হান আহমেদ রিমন ও এপ্ল্যায়েড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক সাদিয়া আফরোজ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন পলাশ, কর্মচারীদের পক্ষ থেকে টিটুদাস।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন , করোনা মহামারীর সময়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা, কর্মচারী নিরালস ভাবে জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ না হওয়ায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। অস্থায়ী শিক্ষকদের নিয়োগের ১ বছর পর স্থায়ী শিক্ষকদের নিয়োগ হলেও তাদের প্রমোশন হচ্ছে কিন্তু অস্থায়ী শিক্ষকদের প্রমোশন হচ্ছে না। এছাড়া অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ না হওয়ার ফলে তাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য ভালো ভালো স্কলারশিপ পেলেও তারা যেতে পারছেন না।

এসময়ে তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণের কথা চিন্তা করে আমরা এতোদিন কোন কঠোর আন্দোলনে যাইনি। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।