ফারদিন হত্যাঃ ২৫ বছরের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার

ফারদিন নূর পরশের (২৪)

নিখোঁজ হওয়ার রাতেই শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র ফারদিন নুর পরশকে।

হত্যার পর সিদ্ধিরগঞ্জের লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদীতে তার লাশ ফেলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ২৫ বছরের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে ফারদিনের পরিবারের।

ফারদিনের লাশের সঙ্গে তার মোবাইল, ব্লুটুথ, মানিব্যাগ, ঘড়ি মেলায় এটি নিছক কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা ছিল না, বরং পরিকল্পিতভাবেই ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

তবে তাকে ঘটনাস্থলে কৌশলে নিয়ে আসা হয়েছিল নাকি অপহরণ করা হয়েছিল সেই নেপথ্যের কারণ ও খুনির সন্ধানে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিহত ফারদিনের মাথার পুরো অংশে ও বুকে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা। তারা নিশ্চিত করেছেন, ৩ দিন আগেই অর্থাৎ শুক্রবার রাতেই হত্যা করা হয়েছিল ফারদিনকে।

পুলিশ বলছে, যত স্মার্ট কিংবা চালাক প্রকৃতির হোক না কেন খুনিদের শনাক্তে বিশেষ কিছু দিক বিবেচনায় তদন্ত দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। কিছুটা দেরি হলেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এ ঘটনায় বুশরা ও শীর্ষ সংশপ্ত নামে তার দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। বান্ধবী বুশরা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে জট খুলতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। বিভিন্ন পয়েন্ট ধরে কাজ চলছে। হয়তো খুনি ভেবেছে নদীতে ফেলে দিলে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হবে না।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, এটা যদি হত্যাকাণ্ডই হয় তাহলে নিহতের প্রতিপক্ষ কেউ তা করেছে। আর সেটি হয়তো তার পরিচিত কেউ।

এক্ষেত্রে খুনি টেকনোলজিক্যালি খুবই স্মার্ট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে কীভাবে খুঁজে বের করতে পারে সেসব বিষয়গুলো খুনি এড়িয়ে চলবে এবং চলছে। এছাড়া নিহত ফারদিনের শরীর থেকে কোনো কিছু খুনি নেয়নি।

শতাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ-

রাজধানীর রামপুরা, ধানমন্ডি, পুরান ঢাকা, জুরাইন, ডেমরা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ও ঢাকার বাইরেসহ বেশ কিছু এলাকার শতাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও এলিট ফোর্স র‍্যাব। এসব এলাকায় রিকশায় চড়তে ও হাঁটতে দেখা গেছে ফারদিনকে। প্রয়োজনে আরও এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করার কথা জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী-

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, ফারদিন বাসা থেকে বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে বের হলেও সেখানে যাননি। ৪ নভেম্বর বিকেলে বাসা থেকে বের হওয়ার পর তিনি ধানমন্ডি, টিএসসি ও পুরান ঢাকায় ঘোরাফেরা করেন।

সর্বশেষ পুরান ঢাকার জনসন রোড এরপর জুরাইন এলাকায় অবস্থান করেছিলেন তিনি। জুরাইন থেকে বুড়িগঙ্গা কাছাকাছি হলেও তার মরদেহ মিলেছে শীতলক্ষ্যা নদীতে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন, তার মরদেহ কীভাবে শীতলক্ষ্যায় গেল।

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। পরের দিনের পরীক্ষার জন্য ৪ নভেম্বর ফারদিনের হলে থাকার কথা ছিল। কিন্তু তিনি হলে কেন গেলেন না?

ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসক বলছেন ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে-

গত মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শেখ ফরহাদ বলেন, ময়নাতদন্তে আমরা দেখতে পেয়েছি, ফারদিনের মাথায় এবং বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে সেই আঘাত কোনো ধারালো অস্ত্রের নয়।

আঘাতের চিহ্ন দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি হত্যাকাণ্ড। পুলিশের চাহিদা ও অধিকতর তথ্যের জন্য তথ্য-উপাত্ত ও আলামত মহাখালী ভিসিআরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিবেদন পেলে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে ফারদিনকে কীভাবে খুন করা হয়েছে।

ডিসেম্বরে স্পেনে যাওয়া হলো না ফারদিনের-

গণমাধ্যমের সামনে ফারদিনের পিতা নুর উদ্দিন রানা আর্তনাদ জানিয়ে বলেন, আগামী মাসেই (ডিসেম্বরে) ওয়ার্ল্ড ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল ফারদিনের। ডিবেটিংয়ে ফারদিন খুব ভালো ছিল।

তার পাসপোর্ট রেডি হয়েছে, স্পেন যাওয়ার কথা ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, শত্রুতার কারণে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। ওর লাশের সঙ্গে মানিব্যাগ, ব্লুটুথ, অকেজো মোবাইল, ঘড়ি সবই পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

তিনিও সন্তানের মা, তিনি বোঝেন, সন্তান হারালে কীভাবে একটা পরিবারের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। মেধাবী ছাত্রদের এভাবে মেরে ফেললে দেশের ভবিষ্যৎ কি দাঁড়াবে? ২৫ বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে তোলা স্বপ্ন আমার, আজ হত্যাকাণ্ডের শিকার।

ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন

ফারদিন নূর পরশ(২৪)
ফারদিন নূর পরশ(২৪)

বিজনেস পত্রিকা ‘দ্য রিভারাইন’-এর সম্পাদক ও প্রকাশক। ফারদিনের মা ফারহানা ইয়াসমিন গৃহিণী।

 

তাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার নয়ামাটি এলাকায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন ফারদিন। তার মেজো ভাই আবদুল্লাহ নূর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। ছোট ভাই তামিম নূর এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। নিহত ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন রানা ঘটনার বিবরণ জানিয়ে বলেন, শনিবার বুয়েটে ফারদিনের পরীক্ষা ছিল।

শুক্রবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে সে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাসায় অথবা বুয়েটের হলে গিয়ে থাকার কথা ছিল তার। কিন্তু রাত সোয়া ১১টার পর থেকেই তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। শনিবার ফারদিন পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় এবং মোবাইল বন্ধ থাকায় তার সহপাঠী, শিক্ষকরা বুঝতে পারেন ফারদিন নিখোঁজ। আমরাও ফারদিনকে খোঁজা শুরু করি।

এক পর্যায়ে ফারদিনের মোবাইলের শেষ অবস্থান দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় রামপুরা এলাকার একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা মিলে ফারদিনের। তাকে শেষবার দেখা যায় রামপুরা (ব্রিজের পাশে, ট্রাফিক পুলিশ বক্সের একটু আগে), শুক্রবার রাত ১০.৪৫ থেকে ১১.০০ টার মধ্যে।

সেখানে ফারদিন তার সঙ্গে থাকা এক বান্ধবীকে নামিয়ে দেয়ার কয়েক মিনিট পর থেকেই তার মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর রামপুরা থানায় এ ব্যাপারে ছেলে নিখোঁজের জিডি দায়ের করি।

রানা আরও জানান, সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। সে বুয়েটে ভর্তি হলেও আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কারণে সে হলে থাকতে চাইতো না। বাসাতেই থেকে ক্লাস করতো।

ফারদিন ডিবেটিং ক্লাব সহ নানা ধরনের সোশ্যাল ওয়ার্কের (সমাজ সেবা) সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তবে সে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী ছিল না। ফারদিন টিউশনি করতো, বাসায় সে তার ভাইদের পড়ালেখায় সহযোগিতা করতো। তার মতো প্রাণবন্ত ছেলের চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছিনা।

ফারদিনের বাবা

আমি আমার সন্তানকে ফিরে পাব না। বিচার হোক, এটি আমরা চাই। মেধাবীদের ধরে ধরে হত্যা করা হচ্ছে, এটা বন্ধ হোক। এদিকে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শেখ ফরহাদ, ডা. মফিজউদ্দিন নিপুন ও ডা. গোলাম মোস্তফার সমন্বিত বোর্ড ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। দুপুর ১২টায় বোর্ডের প্রধান ও হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. ফরহাদ গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে আসে। তার মাথায় এবং বুকে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে সেই আঘাত কোনো ধারালো অস্ত্রের নয়। তিনদিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আঘাতের চিহ্ন দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি হত্যাকাণ্ড। পুলিশের চাহিদা ও অধিকতর তথ্যের জন্য ভিসেরা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
সেখান থেকে প্রতিবেদন পেলে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে তাকে কিভাবে মারা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জমান বলেন, গতকাল খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এটি জোয়ারে ভেসে এসেছে। লাশটি ২-৩ দিন আগের হওয়ায় তা পচে ফুলে গিয়েছিল।

আমরা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে দিয়েছি। অপরদিকে ফারদিনের নিখোঁজ হওয়ার সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্তকারী রামপুরা থানার এসআই জিহান জানান, আমরা জিডি তদন্ত করেই সিসিটিভির ফুটেজ পেয়েছিলাম। তবে তার মোবাইল লোকেশন কোথায় কোথায় ছিল, শেষ কোথায় ছিল এসব পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

তিনি জানান, বিষয়টি এখন মামলায় রূপান্তর হবে এবং আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা হবে। এদিকে নিহত ফারদিন নুর পরশের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে তার প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বুয়েটে। সেখানে ফারদিনের সহপাঠী, শিক্ষার্থী, শিক্ষকরা জানাজায় অংশ নেন এবং হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায়। ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন রানা জানান, ফারদিন এই এলাকাতেই বড় হয়েছে, স্কুলে পড়েছে। তাই এখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি জানান, মঙ্গলবার বাদমাগরিব পৈতৃক বাড়ি ফতুল্লার দেলপাড়ার নয়ামাটি এলাকায় শেষ জানাজার পর তাকে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশ গত শুক্রবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে ডেমরা থানার কোনাপাড়া বাসা থেকে বুয়েটে তার আবাসিক হলের উদ্দেশে বের হন।

পরের দিন শনিবার সকালে তার পরীক্ষা ছিল। তবে তিনি পরীক্ষায় অংশ নেননি। ওই দিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন। সোমবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপির গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রাজিব আল মাসুদ বলেন, ফারদিন খুনের ঘটনায় ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। শিগগির এর রহস্য উন্মোচিত হবে।

মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ফারদিনের মোবাইল ফোনের লোকেশন চেক করে দেখা গেছে, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিচরণ ছিল তার। তবে তা ফারদিনসহ নাকি তার মোবাইল অন্য কেউ বহন করেছে, তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। কিছু সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে কাজ চলছে।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে র‍্যাবের একাধিক টিম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি প্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে- এটি হত্যাকাণ্ড। তবে এমন মেধাবী শিক্ষার্থীকে কে বা কারা, কী কারণে হত্যা করলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আসামিকে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে গোয়েন্দা টিম।

এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দুদিন আগে তার এক আত্মীয় আমাদের থানায় এসে রিপোর্ট করেছেন, তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে তার লোকেশন দেখলাম তার এক বান্ধবীর বাড়ির কাছে। পরে তার মরদেহ পাওয়া গেল। এটা আমাদের ইনকোয়ারিতে আছে। সঠিক তথ্য পেলেই আপনাদের জানাবো।