বন্ধুত্ব ও এর পরিসীমা

সেদিনও কত্ত সুদিন রবে। সময়ের প্রতি কাটায় অভাবের স্বভাব রইবে না। কয়েনের ঝনঝনানি জমিয়ে চায়ের কাপের দরকার পরবে না। তুই,আমি, তোমরা কেউই থাকবে না। ওইদিন ও কোন ইট পাথুরে ঘরে নিকোটিন পুরিয়ে আলো নিভে যাবে শুধু কোলাহল রবে না। প্রয়োজন আর প্রয়োজন এ সব প্রিয়জন হারিয়ে যাবে, বন্ধুদের শালিকের দলে শুধু শামুকের খোসা রবে। এই শহর আরো নতুন হবে কত্ত পুরান বন্ধুদের হারিয়ে। কোন সব শহরে কত্ত চিল ডানাবিহীন উড়ে বেড়াবে। অযথা হাজারো শব্দ ব্যয় এর অভ্যাস রবে না, আড্ডা হবে না। সেদিন আঠারো পেরিয়ে এক নতুন সীমানায় প্রবেশ করবে শালিকেরা। তারা আর কোনো মন্ত্রণাকে আর কানে নেবেনা। ব্যস্ততার শহরে তারা প্রিয়জনকে মনে রাখার চাইতে প্রয়োজনকে আঁকড়ে ধরতেই বেশী সাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।
তবুও, যেন সামান্য কোলাহলে আবারও ফিরে আসবো আমরা।কারণ, এই শহরের মোড়ে মোড়ে স্মৃতির তাজমহল থেকে যাবে। একদিন সব বন্ধুরাই অনেক বড় হবে, কেউবা হবে না। তবুও সেদিন সেই তাজমহলের পিপাসার আবার সব শালিকের দল ছুটে আসবে। শালিকের কিচির-মিচির শব্দে আবারো মিলিয়ে যাবে আভিজাত্যের সকল ছাপ। জন্ম হবে নতুন প্রত্যাবর্তন এর।