বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় (BSMRMU) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২১-২২

bsmrmmu 2021-22

Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Maritime University, Bangladesh ভর্তি সার্কুলার প্রকাশিত।

গুরুত্বপূর্ণ তারিখ সমূহ:

◆অনলাইনে আবেদনের সময়সীমা: ০১ এপ্রিল – ২৫ এপ্রিল ২০২২
◆ উপযুক্ত পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ: ১০ মে ২০২২
◆Admit Card উত্তোলনের সময়সীমা: ১৫ মে – ২৬ মে ২০২২
◆ ভর্তি পরীক্ষা: ২৭ – ২৮ মে ২০২২
◆ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২২
◆ ভর্তি: ১৭ জুলাই – ২৫ আগস্ট
◆ ক্লাস শুরু – ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়’ (BSMRMU) পরিচিতিঃ

◆ধরন: পাবলিক/সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
◆প্রতিষ্ঠাকাল: ২০১৩
◆ক্যাটাগরি: বিশেষায়িত
◆ক্যাম্পাস: আপাতত ঢাকার মিরপুর ১২-তে। তবে নির্মাণাধীন মূল ক্যাম্পাস চট্টগ্রামে (১০৬.৬ একর) তবে এবারের সার্কুলার অনুযায়ী ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্লাস হবে।

◆বিশেষ দিক: বাংলাদেশের প্রথম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বের ১২তম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়

সেকেন্ড টাইম: চালু

✳️ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়’, বাংলাদেশের ৩৭তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি সমুদ্র বিষয়ক বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ঢাকার মিরপুর ১২-তে (পল্লবী) অবস্থিত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে। চট্রগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে ১০৬.৬ একর জমির উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের আনুষ্ঠানিক নির্মাণ কাজ চলছে।

⭕️বর্তমানে ৫টি (এবছর ৬-৭টি প্রস্তাবিত) স্নাতক (অনার্স) এবং বেশ কয়েকটি স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) প্রোগ্রামই চলমান। বর্তমানে স্নাতক পর্যায়ে মোট ৫টি ডিপার্টমেন্টে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। প্রোগ্রাম ৫টি হলো:

☑️BSc (Hons) in Oceanography
☑️BSc (Hons) in Marine Fisheries
☑️BSc (Engg) in Naval Architecture
and Offshore Engineering
☑️BBA (Hons) in Port Management ️and Logistics

☑️ LLB (Hons) in Maritime Law

⭕️Pros
১. দেশের একমাত্র পাবলিক মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে সমুদ্র ও নৌ বিষয়ক সেক্টরে কাজের সুযোগ!
২. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত দেশের সর্বোচ্চ! গড়ে প্রতি ৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন শিক্ষক।

৩. পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রফেসর। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হলেও শিক্ষার্থী অনুপাতে রয়েছে পর্যাপ্ত প্রফেসর!

৪. ক্লিন ক্যাম্পাস। এরকম ঝকঝকে ক্যাম্পাস সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর। আর, ক্লাসরুম ও লাইব্রেরিও দৃষ্টিনন্দন।

৫. সেশন জটবিহীন বিশ্ববিদ্যালয়য়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জটের কথা কারো অজানা নয়। তবে এখানে একদিনের জন্যও সেশন জট নেই। ফলে নিশ্চিতে ৪ বছরে পড়াশোনা শেষ করে বের হওয়া যাবে।

৬. সম্পূর্ণ রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস। দেশের তৃতীয় রাজনীতিমুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।

৭. ছেলে ও মেয়ের জন্য অত্যাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন ২টি হল রয়েছে মিরপুর ডিওএইচএস-এ।

৮. সকলের জন্য পর্যাপ্ত বাসের সুবিধা রয়েছে।

৯. র‍্যাগিং নেই। এটা প্রোক্টরিয়াল বডি থেকে ভালভাবে খেয়াল রাখা হয়।

১০. ভালো ল্যাব সুবিধা।

১১. ভালো কথা, শিক্ষার্থী প্রতি সরকারের ব্যয়ের দিক দিয়ে এটি দেশের সর্বোচ্চ! শিক্ষার্থী প্রতি চার বছরে সরকার প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করে। তাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধাও বেশি।

⭕️Cons

১. ঢাকার অস্থায়ী ক্যাম্পাস বেশ ছোট। ফলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সম্পূর্ণ সুবিধা মিস করতে হবে। তবে মূল ক্যাম্পাস দেশের অন্যতম আধুনিক ক্যাম্পাস হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি আয়তনও যথেষ্ট (১০৬.৬ একর)।
২. রাজনীতি করার সুযোগ নেই। তাই যাদের রাজনীতি করার আগ্রহ, তাদের জন্য সেই সুযোগ হবে না।

⭕️ভর্তি পরীক্ষা
পরীক্ষা ১০০ নম্বর ও জিপিএ ১০০ নম্বর। সময় ৯০ মিনিট। পরীক্ষার মধ্যে ৪০ নম্বর লিখিত ও ৬০ নম্বর এমসিকিউ।

⭕️ভর্তি পরীক্ষা হবে যেসব বিষয়ের উপর

১. FEOS (BSc in Oceanography, Marine Fisheries): উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং ইংরেজি (প্রতিটি ২০ নম্বর করে)।
২. FET (BSc in Naval Architecture and Offshore Engineering): উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং ইংরেজি (প্রতিটি ২০ নম্বর করে)।

৩. FMGP (LLB in Maritime Law): বাংলা, ইংরেজি, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং সাধারণ জ্ঞান (প্রতিটি ২০ নম্বর করে)।

৪. FSA (BBA in Port Management and Logistics): বাংলা, ইংরেজি, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং সাধারণ জ্ঞান (প্রতিটি ২০ নম্বর করে)।

⭕️ভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন পরীক্ষার্থীদের দিয়ে দেয়া হয় না। ফলে কোন প্রশ্নব্যাংক নেই। ভর্তি পরীক্ষার জন্য আইডিয়া নিতে মেরিটাইমনলেজ বইটি পড়তে পারো। তবে সেখানেও প্রশ্নব্যাংক পাবে না।

FEOS ও FET-এর প্রস্তুতি নিতে হলে ঢাবি, রাবির মত প্রস্তুতিই যথেষ্ট। আর, যেহেতু ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যায়, সেহেতু লিখিত অংশের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং প্রশ্নব্যাংক বেশ সহায়ক হবে। অন্যদিকে, FMGP ও FSA-এর প্রস্তুতির জন্য ঢাবি আইবিএ-র মত প্রস্তুতি নিলেই হবে। লিখিত অংশে খুব বড় উত্তরের প্রশ্ন দেয়া হয় না।