দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করতে হবে: নাজমুল আলম

সিদ্দিকি নাজমুল আলম

দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন সিদ্দিকি নাজমুল আলম। তার ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ দাবি জানান। তিনি লেখেন-

জাতির জনকের অবমাননার প্রতিবাদটুকুও আমরা কেউ করছিনা কারন আমাদের ক্লিন ইমেজ যদি নষ্ট হয়ে যায় এটা ভেবে নাকি ভয় পেয়ে? নাকি খামোখা কোন ভেজালে নিজেকে জড়াতে চাচ্ছিনা?

কতো বড় বড় গুন্ডার কাল্পনিক গপ্প শোনা যায় কতো হাজার ত্যাগের তথাকথিত বানোয়াট মিথ্যা গপ্প ফেসবুকে ভেসে বেড়ায় , কতোজনের মিথ্যা বাদ পড়ার গপ্পে চেতনা জেগে উঠে কতোজনের বহুযুগ পরে মূল্যায়িত হবার খবরও শুনি আজকে এরা সবাই কোথায় ?

কোথাও যেনো কেউ নেই ………………….

স্যুটেট বুটেটরা এই প্রতিবাদ করবেনা কোনদিন করেওনি তারা ফেসবুকে শুধু সুন্দর সুন্দর বক্তব্য প্রসব করবে আর ড্রইং রুম পলিটিকসে রসদ যোগাবে বাগিয়ে নিবে পদ পদবী ব্যবসা ।

ছাত্রলীগের সাবেক একজন কর্মী হিসবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানাচ্ছি শুধু ধোলায়খালে না সমগ্র বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মান করতে হবে।

শুধু তাই নয় সারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলার প্রবেশদ্বারে জাতির জনকের ভাস্কর্য নির্মান করতে হবে ।

কোন ভয় নেই কারন
এদেশ কোন বলৎকারকারীর না
এদেশ কোন ভন্ড পীরের না
এদেশ কোন ইয়াতীমের হক ভক্ষনকারীর না
এদেশ কোন ধর্ম ব্যবসায়ীর বা প দাদার না
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার নামে মানুষের ধর্মীয় অনভূতিকে কাজে লাগিয়ে চাঁদাবাজি করা কোন চাদাবাজদের এই দেশ না
এই দেশ কোন উগ্র জঙ্গীর দেশ না

এই বাংলাদেশ আমাদের
এই দেশে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বাংলাদেশ

ওহে ভন্ড অশিক্ষিত গণ তোমাদের জন্য পবিত্র কোরআনের একটি বাক্যই যথেষ্ট
“ লাকুম দ্বীনওকুম ওয়াল ইয়াদদ্বীন “

লেখক: সিদ্দিকী নাজমুল আলম,

সাবেক সাধারণ সম্পাদক,

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। লেখাটি তার ফেসবুক আইডি থেকে নেয়া।

উল্লেখ্য, এর আগে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের পরিবর্তে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় আল্লাহর ৯৯ নাম অঙ্কিত স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের দাবিতে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা ধুপখোলা মাঠে গণসমাবেশ করেছিলো তৌহিদি জনতা ঐক্য পরিষদ।

মূর্তিবিরোধী এ গণসমাবেশে তৌহিদি জনতা ঐক্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন রুখে দিবো।

এরপরদিন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ব্যানারে বেশ কয়েকজন রাজু ভাস্কর্যের পাদ দেশে এর প্রতিবাদে ৭ দফা দাবীতে মানববন্ধন করে।