ভারতে এখন টিকটকের বিকল্প অ্যাপ রোপোসো

ভারতে চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার পর হুট করে ভারতীয় অ্যাপের চাহিদা বেড়েছে। টিকটকের মতো একই ধারার সেবা দেয়, এরকম এক ভারতীয় অ্যাপের ব্যবহারকারী সংখ্যা ৪৮ ঘণ্টায় বেড়েছে দুই কোটি ২০ লাখ

অথচ  ২০১৪ সাল থেকেই ভারতে রয়েছে রোপোসো নামের ওই ভিডিও অ্যাপটি। কিন্তু অ্যাপটি এত সংখ্যক ব্যবহারকারী বাড়তে দেখছে এতোদিনে।

রোপোসো’র প্রতিষ্ঠাতা মায়াঙ্ক ভাঙ্গারিয়া বলেছেন, “গত কয়েক দিনে আমি মাত্র পাঁচ ঘণ্টা ঘুমিয়েছে, এবং শুধু আমি নই, আমার পুরো টিমের একই অবস্থা। চাপ এতো বেশি যে আমরা শুধু মসৃণ অভিজ্ঞতা যতটা সম্ভব ততোটা নিশ্চিত করছি”।

গুগল প্লে স্টোর থেকে রোপোসো’র ডাউনলোড এখন আট কোটি ছাড়িয়েছে। অথচ চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার আগে রোপোসো’র মোট অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ডাউনলোড ছিল পাঁচ কোটি।

বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান কর্মী সংখ্যা দুইশ’। তবে, আগামী দুই বছরে দশ হাজার কর্মী নিয়োগ এবং নিজেদের অ্যাপকে বৈশ্বিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ভাঙ্গারিয়া।

ভারতে সম্প্রীতি চীনা ৫৯টি নিষিদ্ধ অ্যাপের মধ্যে টিকটক একটি।

রোপোসো’র চাহিদা কতোটা বেড়েছে, তা একটা উদাহরণ দিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিক অংশগ্রহণমূলক ওয়েবসাইট ‘মাইগভ’ পর্যন্ত রোপোসো অ্যাকাউন্ট খুলেছে। তবে, অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে গত মাসে, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে।

সরকারি এক মন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমাদের নিজস্ব ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি দেশ এ কাজ করেছে, এটি আমাদের ‘আত্ম-নির্ভর কর্মসূচী’।”

অনেক প্রতিষ্ঠান আবার এ সময়কে কাজে লাগাতে চাইছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে ‘হিপি’ নামে নতুন অ্যাপ নিয়ে আসতে কাজ করছে জি৫। হিপি মূলত বিজ্ঞাপন সমর্থিত স্বল্প দৈর্ঘ্য ভিডিও প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নাম লেখাচ্ছে।

জি৫ ডিজিটাল ইউনিটের পণ্য প্রধান রাজনিল কুমার আশা করছেন, “টিকটক ব্যবহারকারীরা হিপিতে আশ্রয় খুঁজে নেবে এবং আগের মতো কনটেন্ট উপভোগ চালিয়ে যাবে”।

সোর্স:-[•]বিডিনিউজ২৪। ছবি-উইকিপিডিয়া,টেকক্রান্চ