নিজের অপরাধ লুকাতেই সিনহাকে হত্যা করে প্রদীপঃ র‍্যাবের চার্জশীট

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান ছবি: সংগৃহীত

ইয়াবা পাচারের সঙ্গে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমারের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের চার মাস পর আদালতে আজ এ মামলার চার্জশিট বা অভিযোগ পত্র জমা দেন র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা।

হত্যার আগে ‘গোপন বৈঠকে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার তাকে হত্যার মূল পরিকল্পনা করে’ বলেও তদন্তে উঠে এসেছে বলে জানায় র‌্যাব।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ তথ্য জানান।

লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘ইয়াবা পাচারের সঙ্গে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমারের বক্তব্য নিতে গেলে সিনহা মো. রাশেদ খানকে হুমকি দেয়া হয়।

টেকনাফ ছেড়ে না গেলে সিনহাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। সিনহাকে হত্যার পরে বাহারছড়া ক্যাম্পের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ বাকি আসামিদের নিয়ে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজান ওসি প্রদীপ।’

গত ৩১শে জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।
গত ৩১শে জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

এর আগে মেরিন ড্রাইভের বাহারছরা এবিপিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে জমা দেয়া হয়।

ওসি প্রদীপসহ ১৫জনকে অভিযুক্ত করে রবিবার কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন র‌্যাব-১৫ এর কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার(এএসপি) মো. খায়রুল আলম।

অভিযুক্তদের মাঝে ১৪ জন কারান্তরীণ এবং একজন পলাতক।

এদের মধ্যে রয়েছেন টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার, বাহারছড়া ক্যাম্পের বরখাস্তকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, টেকনাফ থানার কয়েক জন পুলিশ সদস্য, আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের তিন সদস্য, স্থানীয় তিন বাসিন্দা, এবং বাকি একজন পলাতক। তিনি টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমারের দেহরক্ষী সাগর দেব।

কারাগারে থাকা ১৪ জনের মধ্যে ১২ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।

গত ৩ জুলাই ‘জাস্ট গো’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ট্রাভেলস শো ডকুমেন্টারির শুটিংয়ের জন্য তিনজন সহযোগীসহ কক্সবাজারের নীলিমা রিসোর্টে ওঠেন মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ।

মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান ও ওসি প্রদীপ
মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান ও ওসি প্রদীপ

এই খবর পৌঁছায় টেকনাফের তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমারের কাছে। তখন থেকেই ওসি প্রদীপ অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘ভিডিও পার্টিকে এখান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে, যেকোনো মূল্যে।’

এরপর থেকেই সিনহাকে নজরদারিতে রাখেন পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত।

৩১ জুলাই সকালে একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘বৃক্ষরোপণ’ অনুষ্ঠান শেষে ওসি প্রদীপকে জানানো হয়, মেজর সিনহা রাশেদ প্রাইভেটকার নিয়ে টেকনাফের শামলাপুর পাহাড়ে গেছেন।

এ সময় সোর্সের মাধ্যমে বাহারছড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী সিনহার প্রতি নজর রাখতে থাকেন।

ওইদিন (৩১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের দিকে আসার পথে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে তল্লাশির নামে গাড়ি থেকে নামিয়ে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

পাঁচই অগাস্ট এই ঘটনায় নয়জন পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন মেজর (অব) সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার। এই মামলা ও পুলিশের মামলা দুইটির তদন্তভার র‍্যাবকে দেয়া হয়।

এর পরের দিন অর্থাৎ ৬ই অগাস্ট ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ ৭ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

চার্জশিটে কী আছে?

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ পত্রের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

মামলা দায়ের করা শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে আসছেন সিনহা রাশেদের বোন
মামলা দায়ের করা শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে আসছেন সিনহা রাশেদের বোন

তিনি বলেন, মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় সব মিলিয়ে মোটি ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের নির্দেশনায় সব গুলো মামলার তদন্ত করে র‍্যাব।

এর মধ্যে একটি মামলা টেকনাফ থানায় মাদক সংক্রান্ত যা শহীদুল ইসলাম সিফাতকে আসামী করা হয়, পুলিশ ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মেজর সিনহা এবং সিফাতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আরেকটি মামলা রামু থানায় শিপ্রা দেবনাথকে আসামী করে দায়ের করা হয়।

এই মামলা তিনটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দেয়া হয়েছে। সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এবং মামলার স্বপক্ষে কোন সাক্ষী প্রমাণ না থাকায় তাদের দায়মুক্তি দেয়ার জন্য চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

চার নম্বর মামলাটি সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন টেকনাফ আদালতে দায়ের করেন যা র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এই হত্যাকাণ্ডের মামলা র‍্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম তদন্ত করেন। চার মাস ১০ দিন সময় নিয়ে এই মামলার তদন্ত করে এরইমধ্যে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।

এতে সর্বমোট ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জন টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্য, ০৩ জন এপিবি এর সদস্য এবং ০৩ জন বেসামরিক ব্যক্তি।

কনস্টেবল সাগর দেব নামে একজন পলাতক রয়েছেন। এছাড়া দুজনকে নাম-ঠিকানা সঠিক না থাকার কারণে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১২ জন নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে।

ওসি প্রদীপ এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা আদালতে জবানবন্দি দেননি।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ৮৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন। বিভিন্ন ধরণের আলামত ও ডিজিটাল কন্টেন্ট আমলে এনে হত্যাকাণ্ডের মামলায় অভিযোগপত্র প্রদান করেছে।

কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন., বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন সাক্ষী, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষী, আলামত, জবানবন্দি নিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

এর মূল পরিকল্পনাকারী টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাস। তিনি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বিষয়গুলোকে ধামাচাপা ও ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করেছেন।

এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা কবের এবং কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, পরিকল্পনাটি মধ্য জুলাইয়ের।

সিনহা মো. রাশেদ বন্ধুবৎসল ছিলেন। টেকনাফে তাঁর ইউটিউব চ্যানেল চালুর অংশ হিসেবে গিয়েছিলেন। দ্রুতই তাঁর সঙ্গে এলাকাবাসীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।

তিনি টেকনাফের মানুষের ওপর প্রদীপ কুমার দাশের নির্যাতন–নিপীড়নের কথা জানতে পারেন। ইয়াবা বড়ি কেনাবেচায় সম্পৃক্ততারও প্রমাণ পান।

এমন কিছু তথ্য তিনি সংগ্রহ করেছিলেন, যেগুলো প্রকাশ পেলে প্রদীপ কুমার দাশ অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যেতে পারতেন।

এসবের ভিত্তিতে তিনি টেকনাফ থানায় প্রদীপ কুমার দাশের সাক্ষাৎকার নিতে যান। এ সময় প্রদীপ কুমার দাশ তাঁদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার কথা বলেন এবং সরাসরি হুমকি দেন। কিন্তু সিনহা তাঁর কাজ চালিয়ে চান।

পরে প্রদীপ থানাতেই উপপরিদর্শক লিয়াকত ও তিন তথ্যদাতার সঙ্গে বৈঠক করেন। হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতেও প্রদীপই নির্দেশ দেন।

র‍্যাব বলছে, গত ৩১ জুলাই রাত ৯টা ২৫ মিনিটে সিনহা মো. রাশেদ খান গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনাস্থলে আসেন এবং সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

হাসপাতালে নেন দায়সারাভাবে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য আসামি পুরো হত্যাকাণ্ডটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নাটক মঞ্চস্থ করেন।

সিনহা মো. রাশেদ খানের ডিজিটাল ডিভাইসে ঠিক কী কী তথ্য ছিল? তদন্ত কর্মকর্তা এগুলো পরীক্ষা করে দেখেছেন কি না, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আশিক বিল্লাহ বলেন, এগুলো পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়েনি।

সিনহা মো. রাশেদ তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে যে থানায় গিয়েছিলেন, সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ আছে কি না, সে সম্পর্কে আশিক বিল্লাহ বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে টেকনাফ থানার কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি।

তৎকালীন পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেনের ভূমিকা সম্পর্কে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, ঘটনা ঘটার পরও ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া ছিল অপেশাদারী আয়োজন। এ বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি।

টেকনাফে কী তাহলে পুলিশ এভাবেই সাজানো বন্দুকযুদ্ধ ঘটিয়েছেন, এমন প্রশ্নে আশিক বিল্লাহ বলেন, প্রতিটি ঘটনাই আলাদা।

তাঁরা নির্দিষ্ট একটি ফৌজদারি মামলার তদন্ত করেছেন।

এর আগে টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক র‍্যাবের গুলিতে নিহত হন বলে জানান তাঁর স্ত্রী।

এ সম্পর্কিত তথ্য–প্রমাণ তিনি সংবাদ সম্মেলনে হাজির করেন। ওই মামলার তদন্ত র‍্যাব করেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আশিক বিল্লাহ একই জবাব দেন। তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনটি সিনহা হত্যা নিয়ে।

পুলিশ। ফাইল ছবি
সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় পুলিশের ভাষ্য নিয়ে সন্দেহ তৈরি হবার পর মামলার তদন্তভার র‌্যাবকে দেয়া হয়।

ঘটনাপ্রবাহ কী ছিল?

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জুলাই মাসের ৭ তারিখে সিনহা মো. রাশেদ খান, শিপ্রা দেবনাথ, সিফাত ও রুফতি নীলিমা রিসোর্টে অবস্থান করে।

সেসময় ইউটিউবে একটি ভিডিও চ্যানেল নিয়ে কাজ করার সময় আঞ্চলিক বাসিন্দাদের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।

কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সেখানে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গিয়ে তাদের জিম্মি হওয়া, অত্যাচারের ঘটনা সম্পর্কে তিনি জানতে পারেন যা মেজর সিনহাকে পীড়িত করে।

অভিযোগ পত্রে বলা হয়, কক্সবাজারের টেকনাফ ওসি প্রদীপের অভয়ারণ্য ছিল। কথিত রাজ্য ছিল। মূলত এই স্বেচ্ছাচারিতা, আইন অমান্য করে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি, এবং তার ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য সিনহা ও তার সঙ্গীরা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

ওসি প্রদীপ সরকারি অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করেছেন এবং ইয়াবা কেন্দ্রিক বাণিজ্যের সাথে যুক্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।

এসব বিষয়ে ওসি প্রদীপের কাছে জানার জন্য ক্যামেরা ও ডিভাইসসহ তারা তিনজন (সিনহা, শিপ্রা ও সিফাত) যখন থানায় যায়।

র‌্যাবের অভিযোগপত্রে বলা হয়, থানায় তাদেরকে অনতিবিলম্বে টেকনাফ বা কক্সবাজার ছেড়ে যেতে বলা হয়। তা না হলে “তোমাদের আমি ধ্বংস করে দেবো” বলে হুমকি দেয়া হয়।

শিপ্রা ও সিফাতের বক্তব্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ল্যাপটপে স্পর্শকাতর কিছু ছিল। তবে সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

তবে ওসি প্রদীপের হুমকি উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কারণেই ষড়যন্ত্র করে মেজর সিনহাকে হত্যা করা হয়েছে বলে বলছে র‌্যাব।

৩১শে জুলাই রাতে হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরেই প্রদীপ কুমার দাশ যখন ঘটনাস্থলে যান, তখনো মেজর সিনহা জীবিত ছিলেন।

র‌্যাব বলছে, ওসি প্রদীপ তখন তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে লোক দেখানো ভাবে তাকে একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই রাতেই তার মাকে ফোন করা হয়।