ফরিদপুরে কওমি মাদরাসা সমর্থকদের বিরুদ্ধে একটি মাদরাসা ভাঙচুরের অভিযোগ

ফরিদপুরে একটি মাদরাসা ভাঙচুরের অভিযোগ। ছবি- ডেইলি স্টার

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় একটি আহলে হাদিস মাদরাসা ভাঙার অভিযোগ ওঠেছে কওমি মাদরাসার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের কামদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

তবে কওমি মাদরাসার সমর্থকরা এ হামলার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছেন।

এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ জানিয়েছেন, মাদরাসাটি ভেঙে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে বলে স্থানীয় কওমি মাদরাসার পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার এলাকায় মাইকিং করা হয়েছিল।

এতে আহলে হাদিস সমর্থকরা ভীত হয়ে সালথা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি জানান।

ইউএনও তাদেরকে ও কওমি মাদরাসার নেতাদের গতকাল তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন, বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদে দুই পক্ষকে নিয়ে সভা করে বিরোধ মিটিয়ে দেবেন।

ওই সময় পর্যন্ত ইউএনও দুই পক্ষকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার পরামর্শ দেন। রাতে ওই আহলে হাদিস মাদরাসায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

আহলে হাদিস মাদরাসার পরিচালক ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দুই/তিনশ লোক আহলে হাদিস মাদরাসায় হামলা চালায়।

ওই সময় মাদরাসার ৩৫ জন শিক্ষার্থী ও চার শিক্ষক ছিলেন। হামলাকারীদের ভয়ে তারা মাদরাসা ছেড়ে পালিয়ে যান।

হামলাকারীরা মাদরাসার দুটি ঘর ভেঙে ফেলে। হামলাকারীরা ১৪টি সিলিং ফ্যান, একটি সৌর বিদ্যুতের প্যানেলসহ নিবাসীদের যাবতীয় মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এর ফলে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামলাকারীদের তুলনায় পুলিশের সংখ্যা কম থাকায় পুলিশ চেষ্টা করেও হামলাকারীদের প্রতিহত করতে পারেনি। পরে পুলিশের সামনেই এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।’

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘কাওমি মাদরাসার শিক্ষক ও আহলে হাদিস শিক্ষকের নিয়ে এলাকায় বিরোধ চলছিল। এ বিরোধ নিরসনে আজ সকাল ১০টায় দুই পক্ষকে নিয়ে উপজেলা পরিষদে আলোচনার কথা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

সালথা উপজেলার ইউএনও মোহাম্মদ হাসিব সরকার বলেন, ‘হামলার ঘটনা শোনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

ওই মাদরাসার ৩৫ শিক্ষার্থীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’

এ ব্যাপারে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।