দেশে Covid 19 এর জিনোম আবিষ্কার করলো CHRF

 

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ মে) চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন এ তথ্য জানিয়েছে। তারাই সর্বপ্রথম এ জিনোম সিকোয়েন্স করেছে। ডা সেজুতি সাহার নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি দল এ গবেষণা সম্পন্ন করেন।

তার বাবা ডা সমীর কুমার সাহা প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক।

CHRF Notice
CHRF Notice

এ জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে ভাইরাসটির গতি প্রকৃতি নির্ণয় করতে পারবেন গবেষকরা।
ডিসেম্বরে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে বেশিরভাগ দেশই ভাইরাসটিতে তেমন পাত্তা দেয়নি। অনেক দেশই ধারণা করেছিল, এটি চীনা ভাইরাস এবং এর সংক্রমণ হয়তো ইউরোপ-আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়বে না। এজন্য সেখানকার দেশগুলো তেমন কোনো পদক্ষেপও নেয়নি।

ফলও দিতে হচ্ছে তাদের। কারণ সংক্রমণ সংখ্যার দিক থেকে প্রথম দেশগুলোর তালিকার মাঝেই নেই চীন।

এখন পর্যন্ত Covid 19 এর ১৬৪৫১ টি জোনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করা হয়েছে।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।

ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে। পঞ্চম দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। তার আগেই আরেক দফা ছুটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়। চলমান এ ছুটি আরেক দফা বাড়িয়ে ঈদ পর্যন্ত নেয়া হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার (১২ মে) পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩২ জন। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৪০ জনের শরীরে।

আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৪৮৭ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৪ লাখ ৪১ হাজার ১২১ জন। এদের মধ্যে ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ১৮৫ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৪৬ হাজার ৯৩৬ জনের অবস্থা গুরুতর।

 

Dr Samir Kumar Saha and Dr Sejuti Saha

বাংলাদেশে করোনার জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারক দুই অনুজীব বিজ্ঞানী বাবা-মেয়ে জুটি ড. সমীর কুমার সাহা ও ড. সেজুঁতি সাহা।

বাবা-মেয়েকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও অনাগত আগামীর জন্য নিরন্তর শুভ কামনা।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য এর আগেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই দুই বিজ্ঞানীর বেশ সুখ্যাতি রয়েছে, অর্জনের খাতায় আছে আন্তর্জাতিক অনেক পুরষ্কার।