শ্রাবণের একাধিকবার ধর্ষণে দুইবার গর্ভবতী হয়ে পড়ে রাবির সেই ছাত্রী

ফেরদৌস মোহাম্মদ শ্রাবণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী।

বিয়ের প্রলোভনে ‘ধর্ষণ’ করা হয়েছে এমন অভিযোগে গত ১৪ নভেম্বর রাতে নগরীর মতিহার থানায় এ মামলা রেকর্ড করা হয়।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস মোহাম্মদ শ্রাবণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং রাবি ছাত্রলীগের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক।

ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, ২০১৯ সালের আগস্টে শ্রাবণের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই মাসের এক সন্ধ্যায় শ্রাবণ জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।

বিষয়টি প্রশাসনকে জানাতে চাইলে শ্রাবণ তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে।

বর্তমানে তিনি ওয়ান স্টপ ক্রাসিস সেন্টারে (ওসিসি) আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এরপরও শ্রাবণ জোরপূর্বক দুইবার আমাকে ধর্ষণ করে। এর মধ্যে ২০২০ সালের মার্চে আমি গর্ভধারণ করি।

তখন সে অ্যাবরশন (গর্ভপাত) করাতে আমাকে বাধ্য করে। সর্বশেষ গত অক্টোবরে আমি আবারও গর্ভধারণ করি। এরপর থেকে সে আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাচ্ছে না, বিয়েও করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

তবে অভিযোগের অধিকাংশই মিথ্যা বলে দাবি করছেন ছাত্রলীগ নেতা শ্রাবণ। তিনি বলেন, তার সঙ্গে আমার আগে সম্পর্ক ছিলো। ইদানিং জানতে পারি তাঁর একাধিক ছেলের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক আছে। সেজন্যই আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।

সম্পর্ক নষ্ট হওয়াতে সে আমার সঙ্গে এমনটা করছে। তার অভিযোগের অনেক কিছুই মিথ্যা। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আশা করি তারা এটার সুষ্ঠু তদন্ত করবে।’

এ বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, শুনেছি মেয়েটা মামলা করেছে। যতদূর জানি তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্পর্কটা ব্রেকআপ হওয়ায় এমনটা অভিযোগ তুলেছে। এরপরেও অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

আরো পড়ুনঃ রাবি ছাত্রলীগকে নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা