লিডিং ইউনিভার্সিটিতে ড. মাইমুল আহসান খানের যোগদান

সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খান যোগদান করেছেন। লিডিং ইউনিভার্সিটিতে যোগদানের পূর্বে ড. মো. মাইমুল আহসান খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আইন বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। ড. খান বাংলাদেশের আইনের জগতে এমন এক ব্যক্তি যিনি একই সঙ্গে সোভিয়েত রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী ও ফুলব্রাইট স্কলার, গবেষক ও অধ্যাপক হিসেবে বহি:বিশ্বে সমাদৃত শিক্ষাবিদ।

বিশিষ্ট এ শিক্ষাবিদ এবং আইন বিশেষজ্ঞ ড. খানকে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ হতে লিডিং ইউনিভার্সিটির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা।

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে ড. খানকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী। এসময় উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই, সচিব মেজর (অব.) শায়েখুল হক চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোস্তাক আহমাদ দীন, রেজিস্ট্রার মেজর (অব.) মো শাহ আলম, পিএসসি, আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. রাশেদুল ইসলাম, ইনচার্য (অর্থ ও হিসাব) রজত কান্তি চক্রবর্তী, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. কাওসার হাওলাদার, আইন বিভাগের শিক্ষক মো. রেজাউল করিম ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের গবেষণা সহকারী জসিম আল ফাহিম প্রমুখ।

প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, ড. খান বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। লিডিং ইউনিভার্সিটিতে তাঁকে পেয়ে আমরা আনন্দিত এবং গর্বিত। তাঁর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমৃদ্ধ হবেন এবং তাঁর একাডেমিক শিক্ষা ও গবেষণালব্ধ জ্ঞান লিডিং ইউনিভার্সিটিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান সৃষ্টি, বিতরণ এবং মানুষের সকল সৃজনশীল কর্মযজ্ঞের সূতিকাগার উল্লেখ করে প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খান বলেন, শিক্ষক ও ছাত্র সমাজ একে অপরের পরিপূরক। সুশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে আমাদের যতœশীল ও নিষ্ঠাবান ভূমিকা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে অচিরেই একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে রুপান্তরিত করবে। তিনি বলেন, গ্রামীণ মনোরম পরিবেশে বৃহত্তর সিলেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ লিডিং ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা ড. সৈয়দ রাগীব আলীর অনন্য আধুনিক শিক্ষা বিপ্লবকেই নির্দেশ করে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে সগৌরবে দাঁড়িয়ে থাকা ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবাহী সুবৃহৎ শহিদমিনার বাঙ্গালি জাতির অপরাজেয় স্বকীয়তাকেই প্রদর্শন করছে। লিডিং ইউনিভার্সিটি পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি আনন্দিত। আমার দায়িত্বপালনে বোর্ড অব ট্রাস্টি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করছি।

প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খান ১৯৮১ সালে মস্কোর পিপল্স বিশ্ববিদ্যালয় ও তাশখান্দ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার তাশখান্দ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জুরিসপ্রডেন্স (আইন বিজ্ঞান) এর উপর পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন যা সোভিয়েত বিজ্ঞান একাডেমী কর্র্তৃক অর্পিত। ২০০৫ সালে ড. খান আধুনিক বিশ্বের বানিজ্যিক আইনের উপর ক্যালিফোর্নিয়া ডেভিস ও ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় থেকে পুনরায় আরো একটি মাস্টার ডিগ্রী সম্পন্ন করে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে চীন ও ভারতের আইন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং মুসলিম বিশ্বে মানবাধিকার শীর্ষক দুই বিষয়ে পাঠদান শুরু করেন যা ২০০৬ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। বাংলাদেশ এবং যুক্তরষ্ট্র ছাড়াও তিনি ইরান, তুরস্ক এবং মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে পাঠদান করেন।

আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক তাঁর ২৫টি বই ইংরেজি, বাংলা ও রুশ ভাষায় বিভিন্ন দেশের নামকরা একাডেমিক প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তাঁর অসংখ্য গবেষণাকর্ম বহুল প্রচারিত জার্নালে দেশী-বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়। তিনি দেশ এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন কনফারেন্স ও সেমিনারে প্রায়ই অংশগ্রহন করেন।