খুবির ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী কাজলের আত্মহত্যা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ওই শিক্ষার্থীর নাম কাজল মন্ডল। রবিবার (৫ জুন) দুপুর আড়াই টায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কাজল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যয়নরত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই হলরোডের এক মেসে থাকতেন। তার বাড়ি যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায়। হরিণটানা থানার ওসি এমদাদুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় কাজলের নিকট বন্ধুরা ধারনা করছেন যে, এক তরুনীর সাথে প্রেম ঘটিত বিষয়ে পরিবারের সাথে বেশ কয়দিন যাবৎ তার মনমালিন্য চলছিলো। এরই জের ধরে আজ কাজল গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে মনে করছেন তারা।

উদ্ধার করে হাসপাতাল নেয়া হচ্ছে।

কাজলের বন্ধুরা বলেন, আজকে কাজলের পরীক্ষা থাকা সত্যেও সে পরীক্ষা দিতে যায়নি। তাই পরীক্ষা শেষে তার খোঁজ নিতে আসলে দরজা ভেতর থেকে লক করা অবস্থায় পাওয়া যায়। বার বার নক করেও কোনো সাড়া না মিললে বেলা ১টা ১০মিনিটের দিকে দরজার ছিদ্র দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়।

পাশের রুমে থাকা তারই বন্ধু আতিকুল ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ‘আজকে আমাদের এগ্রিকালচার ইকোনমিক্স পরীক্ষা ছিলো। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় বেশ কয়েক বার ডাকার পরও কোনো সাড়া শব্দ পাইনি। পরীক্ষার সময় হওয়ায় আমি পরীক্ষা দিতে হলে চলে যাই।’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. শরীফ হাসান লিমন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম একটি ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত, আমি শোকসন্তুপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে হরিণটানা থানার ওসি এমদাদুল হক ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমরা এসে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ কি সেটা জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খুমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

তবে গত কয়েকদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর আত্নহত্যার নিউজে (যমুনা টিভি) তার একটি মন্তব্য পাওয়া যায়, যেটি ছিলো, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কোটি কোটি টাকার বাজেট পাশ না করলেও আমাদের বিনামূল্যে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। দুই বেলা খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা থাকলে হয়তো বা আমাদের এতো ভেঙ্গে পড়া লাগে না।”