ভাস্কর্যবিরোধীদের আর সুযোগ দেওয়া হবে না: শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার মতো অপরাজনীতিকারীদের আর কোনও সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে এ কথা জানান তিনি।

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ভাস্কর্য ই্যসুটি সামনে এনে সুযোগ নিতে চাচ্ছে—তাদের আর কোনও সুযোগ দেওয়া হবে না। যে গোষ্ঠী বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রকদের একটি অংশ রাজনৈতিকভাবে বিষয়টি (ভাস্কর্য) সামনে এনেছে।

একটি অপরাজনৈতিক শক্তি তাদের ব্যবহার করছে। প্রকাশ্য রাজনীতি থেকে বিতাড়িত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আশ্রয় নিয়েছে। তাদের আর সুযোগ দেওয়া হবে না।’

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার বিষয় নিয়ে দেশের শিক্ষাবিদদের উদ্দেশে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রকদের একটি অংশ রাজনৈতিকভাবে ধর্মান্ধ মৌলবাদী একটি গোষ্ঠীকে ব্যবহার করতে বিষয়টি সামনে এনেছে।

সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি—জাতীয় পাঠ্যক্রমের অধীনে কওমি মাদ্রাসাগুলো পরিচালিত নয়।

হেফাজতের নিয়ন্ত্রণাধীন যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তার সঙ্গে জাতীয় পাঠ্যক্রম সম্পৃক্ত নয়। সুতাং অবশ্যই এই বিষয়টি আমাদের তুলে ধরা প্রয়োজন।’

‘কওমি মাদ্রাসাকে মূল ধরায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে’ উল্লেখ করে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের মূল ধারায় আনতে চাই। আমরা স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সম্পর্কে তাদের জানাতে চাই।

কিন্তু একটি অপরাজনৈতিক শক্তি তাদের ব্যবহার করছে। এখানে অনেক অনাথ শিশু রয়েছে। সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে কীভাবে মূল ধরায় আনতে পারবো সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তাদের (কওমি শিক্ষার্থী) বাদ দিয়ে নয়, তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে মূলধরায় ফিরিয়ে আনা যায় সে চেষ্টা করছি। ’

ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুর কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, জাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচর্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, সংসদ সদস্য সমাজসেবী অ্যারমা দত্ত, এসডিজি সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো আমিনুল ইসলাম খান।

You cannot copy content of this page