ঝিনাইদহতে সাংবাদিকের বিরদ্ধে খুবি ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ

খুবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত খাইরুল ইসলাম নিরব (৩০) দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) ভুক্তভোগী নিজেই বাদি হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ডিসিপ্লিন থেকে একাডেমিক উদ্দেশ্যে নিজ নিজ জেলার স্থানীয় সংবাদপত্রের কিছু তথ্য ইদের ছুটি শেষে প্রথম ক্লাসে উপস্থাপন করতে বলা হয়।

সে উদ্দেশ্যে ওই ছাত্রী ঝিনাইদহের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামের বিপরীত পাশে ‘সাংবাদিক অফিস’ লেখা একটি সাইনবোর্ড থেকে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে খুবি শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন সম্পর্কে জানালে ওই সাংবাদিক তার অফিসে যেতে বলেন।

পরের দিন (১০ মে) অফিসে গেলে এসাইনমেন্টের বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে পোস্ট অফিস মোড় থেকে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকা নিয়ে আসতে বলেন। পত্রিকা নিয়ে ফিরে আসলে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলে অফিসে বসে থাকতে বাধ্য হন। তখন আসামী নিরব তার পরিবারের বিষয়ে এবং তিনি একাই অফিসে এসেছেন কি না তা জানতে চান।

এর এক পর্যায়ে  কথা বলতে বলতে আসামী নিরব তার চেয়ার থেকে উঠে এসে ছাত্রীর বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে  জড়িয়ে ধরে । এ সময় প্রতিহত করতে গেলে অভিযুক্ত তাকে জোরপূবর্ক বারংবার তার বুকের সাথে চেপে ধরে। এক পর্যায়ে অভিযুক্তের মোবাইলে কল আসলে তাকে ছেড়ে দেয় এবং ধমক দিয়ে বিষয়টি সবার কাছে গোপন রাখতে বলেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি এমন ঘৃণ্য কর্মকান্ডের যথাযথ তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা জানান, বিষয়টি নিয়ে আপোস মীমাংসার জন্য  বিভিন্ন ব্যক্তিদের মাধ্যমে গভীর  রাত পর্যন্ত সমাধানের চেষ্টা এবং ঘটনাটি ধাপাচাপা দিতে ঘটনাটি ভিন্নভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে তাদের পরিবারকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার পায়তারা করছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঐ  অভিযুক্তের  বিচার দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত  নিরবের ব্যবহৃত নাম্বারে অনেকবার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায় নি। নাম্বারটি বন্ধ আছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মাদ সোহেল রানা বাণিজ্য প্রতিদিনকে  বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে আমরা তদন্ত করছি এবং আসামীকে আটকের চেষ্টা চলছে।

You cannot copy content of this page