খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের সময় কিভাবে মেয়েদের পোশাক কে প্রাধান্য দেয়া হতো, তার দু একটা উদাহরণ দেই। ভাবতে অবাক লাগতে পারে আপনাদের অনেকের কাছে।
ছেলেদের খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি আর নামাজ পড়লেই শিবির তকমা দেয়া হতো এটা অনেকের জানা। তো এই কারণে অনেকে যারা শিক্ষক হবার তালিকায় থাকতেন তারা এই বিষয়ে সচেষ্ট থাকতেন যেন লেবেল না লেগে যায়!
আমার পছন্দের একজন শিক্ষক (ম্যাডাম) ছিলেন, ওনাকে দেখেছিলাম শিক্ষক নিয়োগের পর হিজাব শুরু করেছিলেন, আগে করতে পারেননি ভয়ে। হ্যা সিম্পলি ভয়ে।
আর একজন ছিলেন হিজাব শুধু না নিকাব করতেন স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায়, কিন্তু শিক্ষক নিয়োগের আগে ভাগে সব কিছু ছেড়ে আধুনিক বনে গিয়েছিলেন শিক্ষক হবার আশায়। শিক্ষক হয়েছিলেন ও উনি, যদিও আগের লেবাসে আর ফিরতে পারেননি বা ফেরেন নি। সেটা একান্তই তার ডিসিশন এন্ড আই রেস্পেক্ট দ্যাট।
ইন্টারভিউ দিতে যাবার আগে আমাকে কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছিলেন যেন বোরখা না পরে যাই, হিজাব আর শাড়ী পরে যেতে। বাট আই ডিডন্ট লিসেন দেম। এন্ড আই ডিডিন্ট হ্যাভ এনি রিগ্রেট ফর দ্যাট।
জি, ৯০ ভাগ মুসলিমের দেশে হিজাবী নিকাবী মেয়েরা সংখ্যালঘু ছিল চাকরি বাজারে। আপনি মানেন আর নাই মানেন।
ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ দেখার অপেক্ষায়।
ইতি,
সিরাজুম মুনিরা রুমি
হিজাবী বাংলাদেশী কানাডিয়ান এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
ছবি: প্রিয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আমার প্রিয় বন্ধু তুলির তুলে দেয়া


