খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে রক্ত দিতে গেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আল আমিন মৃধা’ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার আনুমানিক রাত ৩টার দিকে খুমেকের প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, একজন মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দেওয়ার উদ্দেশ্যে দুজন ডোনারসহ মোট ৬ জন শিক্ষার্থী রাত ৩টার দিকে খুমেক হাসপাতালে যান।
রক্তের ব্যাগ কেনার জন্য হাসপাতালের বিপরীতে একটি ফার্মেসীতে অবস্থানরত সময়ে একটি প্রাইভেট কার দ্রুত শিক্ষার্থীদের পা ঘেঁষে চলে যায়।
অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে চালককে প্রতিবাদ জানাতে গেলে গাড়ির ভেতর থেকে দুজন বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণাত্মক হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং জামার কলার টেনে ধরে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানতে পেরে আরো চড়াও হয়ে পার্শ্ববর্তী গলিতে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে শারীরিক নির্যাতন করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা খুমেকের ইন্টার্ন হোস্টেলের ভেতরে আত্মগোপন করে।
এরপরে নিরাপদে ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে।
একপর্যায়ে বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল অ্যাম্বুলেন্স পাঠালে তারা ভোর ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর শরীফ হাসান লিমন জানান, শিক্ষার্থীরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য আল আমিন মৃধা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীরাই প্রথমে গালাগালি করে। তবে আমি তাদের মারধর করিনি। অন্যরা করতে পারে।
©Khulna University Canpus