৬/৭ই জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ উত্তেজনার সময় এই বিজিবি অফিসারকে মিডিয়া ফেস করতে আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন। কিন্তু অনেকেই হয়ত তাকে চিনে উঠতে পারেননি।
এই বিজিবি অফিসারের নাম ইমরান ইবনে রউফ। তিনি চৌকা সীমান্তের ওই সেক্টরে বিজিবির সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বরত।
কিন্তু কে এই ইমরান ইবনে রউফ.?
ইমরান ইবনে রউফ বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি- বিএমএ ২৯ লং কোর্সের কমিশন্ড অফিসার। ২০০৯ সালে পিলখানা হ ত্যা কাণ্ডের সময় তিনি ৪৬তম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ব্রিগেডে সার্ভিস দিয়েছেন। সেসময় থেকেই তিনি হাসিনার ল্যাস্পেন্সার ইউনিটের অন্যতম খলনায়ক জেনারেল মাহবুবের Trustworthy Person হিসেবে আবির্ভুত হন।
পিলখানা হ ত্যা কাণ্ড পরবর্তী সময়ে কর্নেল ইমরান র্যাবে জয়েন করেন। সেখানে খু নি জিয়াউল আহসান কতৃক তিনি তার হার্টলেস এন্ড ব্রুটাল বিহ্যাভকে প্রপার্লি ইউটিলাইজ করেন।
এরপর বাংলাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এ সার্ভিস দেওয়া শুরু করেন। ডিজিএফআই-এ থাকাকালীন তারেক সিদ্দিকী, জিয়াউল আহসান লবির হয়ে সবচেয়ে জঘন্যতম কিছু কাজ করেন। ডিজিএফআই-এ কর্নেল ইমরান ইবনে রউফ অপোনেন্ট পলিটিক্যাল পার্টিকে অপ্রেস করার জন্য হাইলি স্পেশালাইজড হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যার সবচেয়ে এক্সপ্লিসিট এক্সাম্পল বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী।
ইলিয়াস আলী কিডন্যাপিং এন্ড কিলিং স্কোয়াডের অন্যতম ব্যক্তি কর্নেল ইমরান ইবনে রউফ।
এছাড়া ডিজিএফআই এর টর্চার সেল আয়নাঘরে নিয়ে পিলখানা হ ত্যা কাণ্ডের অন্যতম সাক্ষ্মী ৪৬ ব্রিগেডের ইউনিট কমান্ডার মেজর সুমনকে যে দুজন ভারতীয় অফিসার সহ পাঁচ জন ইলেকট্রনিক শক দিয়েছিল তাদের একজন কর্নেল ইবনে রউফ
এছাড়া হেফাজতের শাপলা ট্রাজেডিতেও তার কন্ট্রিবিউশন আছে। সেসময় তার নেতৃত্বে RAB-10 দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল হয়ে মতিঝিলে অপারেশন পরিচালনা করে।
হাসিনার পতনের পর তাকে সেনাবাহিনী / ডিজিএফআই থেকে সরিয়ে বিজিবিতে ট্রান্সফার করা হয়েছে।
বাংগালী খুবই আলাভোলা জাতি। সীমান্ত উত্তেজনার ফ্লেক্স নিতে গিয়ে একজন খু নি কে চিনতে পারলো না।
মনে রাখবেন- “A hero is not hero for ever. A villain is not villain for ever.”
– শাফিন রহমান


