তোমরা যারা সাকিবের সাফাই গাচ্ছো…
নিচে যে ছবিটি দেখছেন এটি সুন্দরবনের নিকটে আমার এলাকায় সাকিবের কাঁকড়ার প্রকল্পের ফটকের ছবি।
প্রথমে যে সময়ে সাকিব সেখানে এই উদ্যোগ নেয় তখন আমার এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের কর্মসংস্থানের সূচনা হবে এমন ইতিবাচক কিছু ভেবছিলাম। আমার এলাকার মানুষও সানন্দে সেখানে জমি লিচ দিয়েছিলো।
কিন্তু কী হলো? বছরের পর বছর জমির মালিকরা জমির টাকা পেলো না, শ্রমিকরা মজুরি পেলো না।
সে প্রজেক্টে কাঁকড়া সরবরাহ করা আমার এলাকার বড় ভাই গুরুদাস দাদা, দাদা কয়েকবছর একেরপর এক মাল সরবরাহ করে গেছে(আমাদের এলাকায় কাঁকড়াকে মাল বলে)
কয়েকবছরের লেনদেনে একসময় সাকিবের কাছে বকেয়া পড়ে ৩৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৫৬ টাকা।
এজন্য নানা সময়ে সাকিবের কাছে ধরণা দিতে হয়েছে তাকে, বারবার ঢাকায় গিয়ে দেখা করেছে সাকিবের সাথে। টাকা দেয়ার সর্বশেষ তারিখ দিয়েছিলো পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দুইদিন পরে। কিন্তু সেই টাকাও পাওয়া হয়নি গুরুদাসের। একদিকে জেলেদের নিকট থেকে নেয়া কাঁকড়ার টাকা দিতে হবে অন্যদিকে পাওনা টাকা পরিশোধে সাকিবের টালবাহানা, নানা চাপে স্টোক করে মৃত্যুবরণ করেন গুরুদাস দাদা।
গুরুদাসের সব হিসাব দেখভাল করতো আমার বাল্য বন্ধু গোপাল। তাই বিস্তারিত সবকিছু জানি আমি।
তোমরা যারা হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড়া করে ফেলো তারাও কেউ গুরুদাসের ব্যাপারে কথা বলোনি কখনো।
সাকিব আল হাসানকে টাকা দিতেই হবে, গুরুদাস দাদার অসহায় পরিবারের জন্য হলেও দিতে হবে। সাকিবের কাছে পাওনা টাকার সকল ডকুমেন্টস আছে।
তোমরা সাকিব বন্দনা করতে থাকো
লেখাঃ Faisal Alam


