বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে যেমন

টিএসসি

আমি যখনই কোনো নতুন দেশে গিয়েছি, সবার আগে ওই দেশটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ঘুরে দেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয়টিই আমাকে জানিয়ে দিয়েছে, কেমন চলছে দেশটি, কেমন তার রাজনীতি ও অর্থনীতি।

একটি দেশ কারা চালাচ্ছে, দেশটির মানুষেরা কতোখানি স্বাধীনতা ভোগ করছে, কতোটুকো পিষ্ট হচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্র দ্বারা, কতোটা নিরাপদ তার পথঘাট, কী তার ভবিষ্যৎ, তা অনায়াসে জেনে গেছি বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি ছোট্ট মাঠের দিকে তাকিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়টি হাসতে হাসতে বলে দিয়েছে— আমার দেশের প্রধানমন্ত্রীটি দূরদর্শী, রাষ্ট্রপতিটি ভবিষ্যৎমুখী, পাবলিক সার্ভেন্টরা সৎ ও করিৎকর্মা, ছাত্ররা পড়াশুনো করছে, শিক্ষকেরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্লাশ ও গবেষণায়, রাজনীতিকেরা রাজনীতি করছেন জনগণের অধিকার সমুন্নত রাখতে, নারীরা যাপন করছে নিরুপদ্রব স্বাধীন জীবন, নাগরিকেরা ভোগ করছে তাদের প্রাপ্য রাষ্ট্রীয় সুবিধা, সমাজে বিরাজ করছে বৈষম্যহীন জলবায়ু। একটি দেশ সম্পর্কে এরকম অসংখ্য দরকারি তথ্য আমি ছবির মতো পাই ওই দেশটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে।

এশিয়ার ছোট্ট দেশ তাইওয়ানের কথাই ধরা যাক। দেশটিতে আমি প্রথম যাই ২০১৪ বা ১৫ সালে, এবং গিয়েই সবার আগে ঘুরে দেখি দেশটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাশনাল তাইওয়ান ইউনিভার্সিটি। ওখানে পিএইচডি করছে আমার স্ত্রী।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পা রেখেই বুঝে যাই নদীর ধারে একটি সবুজ গ্রামে আমি পৌঁছে গেছি। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ছোট ছোট হ্রদ, হ্রদের সুন্দর জলে সাতার কাটছে রাজহাঁস, ডাহুকের ছানা। কোথাও উঁচু পাথরের ঢিবির উপর চোখে শ্যেন দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে শাদা বক। পানির নিচে মাছের হল্লা, পাড়ে রোদ পোহাচ্ছে কচ্ছপ।

কেউ মাছ ধরতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে না জাল নিয়ে, ঢিল ছুঁড়ে বিরক্ত করছে না পাখিদের। ডাহুক ঘুরে বেড়াচ্ছে ছানা নিয়ে, কোনো বালক ও বুড়ো তাকে উত্যক্ত করছে না। হাঁস আর মাছের তুমুল হৈ-চৈতেও পানি ঘোলা হচ্ছে না। প্রতিটি হ্রদে প্রকৌশল বিভাগের ছাত্ররা, নিজেদের উদ্ভাবিত একপ্রকার বিদ্যুৎচালিত পানি-শোধন ব্যবস্থা স্থাপন করে দিয়েছে।

কোথাও কোনো ব্যানার, দেয়াল-লিখন, জমির ভাইয়ের মুক্তি চাই দেখা গেলো না। কোনো জটলা নেই ভীতিকর কোনো ষন্ডাকে ঘিরে।

কোনো হর্নের শব্দ কানে এলো না। সবাই পায়ে হেঁটে চলছে, কেউ কেউ সাইকেলে। প্রচুর সাইকেল- ছেলেরা, মেয়েরা অনায়াসে সাইকেল চালিয়ে চলে যাচ্ছে এক ভবন থেকে আরেক ভবনে। কোনো ট্রাক-ভ্যান-বাস-হোন্ডা-পাজেরো-গোঁ-গোঁ নেই। মাঝে মাঝে পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে শিক্ষকদের নিঃশব্দ গাড়ি।

আচমকা কোনো মন্ত্রী এসে মতবিনিময়ের নামে বিরক্ত করছে না ছাত্রদের, শিক্ষকদের। শিক্ষকেরা দৌড়োচ্ছে না কোনো মন্ত্রীর দপ্তরে, রাষ্ট্রপ্রধান ফোন করে সময় নষ্ট করছে না উপাচার্যের।

কোনো সমিতি নেই, সংঘ নেই, ভোটাভুটি নেই। প্রত্যেক অধ্যাপকেরই আছে পর্যাপ্ত তহবিলসহ নিজস্ব গবেষণাগার, তিনি গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন; তার তত্বাবধানে গবেষণা করছে কমপক্ষে এক থেকে পাঁচজন পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো, এবং পাঁচ থেকে তিরিশজন পিএইচডি ফেলো। তিনি গবেষণার নামে তছরুপ করছেন না সরকারি ও বেসরকারি স্পন্সরদের তহবিল। ভুঁইফোঁড় প্রকল্প খুলে ঘাও করে দিচ্ছেন না মোটা অংকের টাকা। নৈতিক ও আর্থিক সততার ব্যাপারটি তিনি নিশ্চিত করছেন সতর্কতার সাথে।

অধ্যাপকেরা যাপন করছেন শ্রেষ্ঠ জীবন। নির্বিঘ্ন চর্চা করছেন জ্ঞানের, মত্ত হচ্ছেন না দালালিতে, দালালির কোনো প্রয়োজনই পড়ে না ওখানে। নেই যোগ্য-অযোগ্যদের গোপন লড়াই, অযোগ্য কেউ নেই-ই ওখানে। ফাঁস হয় না একটি প্রশ্নও একশো বছরে।

স্নাতক সম্পন্ন করেই কেউ ঢুকে পড়ছে না শিক্ষকতায়, স্নাতকে প্রথম স্থান অর্জন করেই ফ্যাকাল্টি বনে যাওয়ার কোনো সুযোগ ওখানে নেই। একটি পিএইচডি, কয়েকটি পোস্ট ডক্টরাল অভিজ্ঞতা, ও অনেকগুলো সৎ ও উঁচু মানের গবেষণাপত্র থাকলেই কেবল একজন বিবেচিত হতে পারে ফ্যাকাল্টি পদের জন্যে। প্রার্থীকে দেখাতে হয় তার গবেষণাপত্র কোন কোন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জার্নালটির সুনাম আছে কি না, এবং জার্নালটির ইমপ্যাক্ট-ফ্যাক্টর কেমন।

এখানেই শেষ নয়, সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরও হাওয়ায় গা ভাসানোর সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার নিয়োগটি হবে চুক্তিভিত্তিক, এবং প্রতি বছর শ্রেণীকক্ষে ও গবেষণায় আপনার পারফর্ম্যান্স পর্যালোচনা করে তারা আপনার চাকুরিটিকে নবায়ন করবে। চাইলেই ঝরাপাতা কলাপাতায় গবেষণাপত্র প্রকাশ করে আপনি চাকুরি নবায়ন করতে পারবেন না। আপনার পারফর্ম্যান্স হতে হবে সত্যিকার অর্থেই সন্তোষজনক। পদোন্নতির জন্য যা খুশি তা লিখে কোনো জার্গন জার্নালে ছাপিয়ে তা দাখিল করলে আপনার ধ্বংস আসন্ন। আর প্লেইজারিজাম? নকল গবেষণাপত্র? অন্যের লেখা চুরি করে দুএকটি ইট এদিক সেদিক করে নিজের স্থাপনা তৈরি? এটি ওখানে কল্পনাও করা যায় না।

‘প্রার্থীকে তাইওয়ানের নাগরিক হতে হবে’ এই ভূতুরে নিয়মও ওখানে নেই। তারা বিশ্বাস করে— গুণীজন দুশমন রাষ্ট্রের হলেও ক্ষতি নেই। কে কোনকালে মেট্রিক পরীক্ষায় কী ফল করেছিলো তা নিয়েও এখানে মাথা ঘামানো হয় না। প্রার্থীর বর্তমান এবং সর্বশেষ একাডেমিক পারফর্ম্যান্সকেই ভাইটাল ফ্যাক্টর হিশেবে বিবেচনা করা হয়। মেট্রিকে হাতি অর্জন করে পিএইচডিতে বকরি প্রসব করা প্রার্থীর সুযোগ ওখানে সীমিত হতে পারে, কিন্তু মেট্রিকে বকরি অর্জন করে পিএইচডিতে হাতি প্রসব করা প্রার্থীর সুযোগ ওখানে অসীম।

ছাত্রদের ক্যান্টিনে খাবার খেতে গিয়ে দেখলাম পরিবেশন করা হচ্ছে ৫৪ রকমের পুষ্টিকর খাবার। খাবারের দামও অল্প, এবং মান, আমাদের তারকা হোটেলগুলোর চেয়ে ভালো ও স্বাস্থ্যকর। আমি খেয়েছিলাম আট পদ দিয়ে।

কোথাও কোনো শ্লোগান নেই, লিখা নেই প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের নাম, কোনো স্থাপনায় ও বাসে। মাননীয় অমুকের উপহার, এমনটি কোথাও চোখে পড়লো না। ডরমেটরিগুলোতে খালি পড়ে আছে প্রচুর আসন। কোনো পোস্টার নেই, তবে ছোট বিলবোর্ড আছে অনেক। বিলবোর্ডে নোটিশ দেয়া আছে কোথায় কখন জ্ঞানের কোন শাখাটি নিয়ে আলোচনা হবে বিশদ। কোনো বড় ভাই নেই, দেখামাত্রই ‘স্লামালাইকুম’ নেই। র‍্যাগিং ওখানে ফৌজদারী অপরাধ।

গ্রন্থাগার খোলা থাকছে সারাক্ষণ, গ্রন্থাগার কখনো বন্ধ হয় না। ঈদের ছুটি, পূজোর ছুটি, শবে বরাতের ছুটি, শবে কদরের ছুটি, বোশেখের ছুটি, জন্মের ছুটি, মরণের ছুটি, শোকের ছুটির নামে কেউ ফাঁকি দিচ্ছে না কাজে। ফলের জন্যে, মার্কশীটের জন্যে ছাত্রদের দৌড়োতে হচ্ছে না কোনো অলস ভবনে। অনলাইন পোর্টালে তারা লগ-ইন করেই পেয়ে যাচ্ছে সবকিছু। ছাত্র-শিক্ষক সবাই একই বাসে যান ও আসেন; কেউ নষ্ট করেন না একটি মিনিটও।

কোনো অধ্যাপক মুখিয়ে থাকেন না কখন কৃপা পাবেন আসমানি শক্তির, আর নিয়োগ পাবেন একটি বড় পদে। বিশ্ববিদ্যালয়টির পুরো এলাকাটিই হয়ে উঠেছে জ্ঞানের এলাকা, কোথাও কোনো নেতার আওয়াজ নেই। কেউ লিপ্ত হচ্ছে না অসৎ ও সুবিধাবাদী রাজনীতিতে, সবাই মেরুদন্ডটিকে রাখছে সোজা ও পাঠযোগ্য।

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জার্নালগুলোতে বের হচ্ছে তাদের গবেষণাপত্র। কোনো আমলা ও জেনারেল এখানে দেন-দরবার করতে আসে না, ভুঁইফোঁড় পিএইচডির জন্য।

সবাই মত-ভিন্নমত প্রকাশ করছে নির্ভয়ে, ও নিরুপদ্রবে। প্রতিটি ভবন চকচক করছে তারকা হোটেলগুলোর মতো। শৌচাগারগুলো থেকে আলো বেরোয়, নাক চাপতে হয় না দুর্গন্ধে। পোকার মতো কিলবিল করে না মানুষ, পুরো ক্যাম্পাস ঢেকে দেয়া হয়েছে সবুজ বৃক্ষে। প্রেম এখানে বিকৃত নয়, সাবলীল; অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়টি পাচ্ছে তার যা যা দরকার তার সবকিছু, এবং উৎপাদন করছে বিশুদ্ধ জ্ঞান।

আর দ্বিজেন্দ্রলালের ধনধান্যের দেশে? যে-দেশের নামের প্রতিটি অক্ষর আমরা উচ্চারণ করি অত্যন্ত গর্বের সাথে, যে-দেশকে আমরা বিখ্যাত করে তুলেছি মুখে মুখে, সোনা-ফলা ভূখন্ড হিশেবে, সে-দেশে?

সে-দেশে ছাত্ররা যাপন করছে মানবেতর জীবন। যৌবনের তীব্র শক্তি নিয়ে তারা লাফিয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় নামক একটি বস্তিতে, আর মুক্তি মিলছে না ওখান থেকে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজ করছে এ চিত্র। যে-সময়ে তাদের দরকার শ্রেষ্ট খাদ্য, মগজ ও শরীরের; শ্রেষ্ঠ স্থান, বিচরণের; শ্রেষ্ঠ আবহাওয়া, পড়াশুনোর; সে-সময়টি তারা পার করছে অত্যন্ত করুণভাবে।

তারা শিকার হয়ে উঠেছে অসৎ ও ভন্ড রাজনীতিকদের। সরকারি গুন্ডারা তাদের জোর করে ভিড়োচ্ছে নিজ নিজ দলে। যাদের করার কথা ধ্যান, জ্ঞানের; যাদের মাতামাতি করার কথা নতুন উদ্ভাবন ও সৃষ্টি নিয়ে, তারা রাস্তায় হানাহানি করছে অসৎ শ্লোগান নিয়ে। তারা ব্যবহৃত হচ্ছে নির্মমভাবে।

তাদের অনেকেরই কেড়ে নেয়া হয়েছে ভবিষ্যৎ, যদিও গুন্ডারা স্বপ্ন দেখিয়েছিলো সূর্যের চেয়েও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের; কিন্তু তাদের ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে অন্ধকারে। প্রতিটি হলে পরিবেশন করা হচ্ছে পশুখাদ্য। গেস্টরুমের নামে ভূয়া ছাত্রনেতারা তাদের উপর চালাচ্ছে সীমাহীন মানসিক অত্যাচার। কোনো হলেই আসন নেই পর্যাপ্ত।

ছাত্ররা গণরুমে আসন ভাগাভাগি করছে ট্রেন না পেয়ে স্টেশনে রাত কাটানো যাত্রীর মতো। প্রেমিকারা তাদের শরীর পায় নি, কিন্তু পেয়েছে ছারপোকারা। মেধা নামক সোনালী অর্ঘ্যের জোরে ঢাকায় আসা গরিব কৃষক-মানিক, মায়ের একমাত্র যাদুধন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে খাদ্য হয়েছে ছারপোকার— এর চেয়ে নির্মম ঘটনা একুশ শতকে আর কী হতে পারে? দ্বিজেন্দ্রলাল বলেছিলেন— এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি। তাঁর জন্যে আমার দুঃখ হয়।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সম্পদ বিশ্ববিয়দালয়টির ছাত্ররা। ছাত্ররাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুগন্ধ। সারাবিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলো সর্বস্ব ঢেলে দেয় ছাত্রদের কল্যাণে। ছাত্ররা গোল্লায় গেলে গোল্লায় যাবে বিশ্ববিদ্যালয়, এটি সর্বজনবিদিত। কিন্তু সোনা-ফলা দেশে সবসময়ই ঘটে থাকে এর উল্টোটা।

এখানে উপাচার্যের কক্ষে, শিক্ষকদের গল্পখানায়, ডিনের অফিসে শীতাতপের উৎপাতে কাঁপতে হয় থরথর করে, আর ছাত্ররা সিদ্ধ হয় গ্রন্থাগারে আলুর মতো। শিক্ষকেরা যাতায়াত করেন মনোরম মাইক্রোবাসে, আর ছাত্ররা আল্লার নামে বাঁদুরের মতো ঝুলতে থাকে বাসে। বাসেও কমিটি আছে, কমিটির সভাপতি সবাইকে নিয়ে ঝুলতে থাকে, দুলতে থাকে অনেক উঁচু তালগাছের আগায় বাবুই পাখির বাসার মতো।

ছাত্রদের আহার নিশ্চিত না করেই খেতে বসেন শিক্ষকেরা। শিক্ষকেরা যখন মোকাররম ভবনের ক্যাফেটেরিয়ায় বসে খান মোটামুটি ভালো খাবার, ছাত্ররা তখন কোথাও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খায় পোড়া তেলের তেহারি, ডিমের এক থালা খিচুড়ি, অথবা চা দিয়ে বনরুটি। আমার এক বন্ধু প্রায় এক বছর দুপুরে ভাত খায় নি, শুধু বনরুটি খেয়ে কাটিয়ে দিয়েছে।

একটি সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে আমরা খরচ করেছি চল্লিশ হাজার কোটি টাকা! কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য এক থালা ভালো ভাত, ও একটি ভালো কক্ষের ব্যবস্থা আমরা করতে পারছি না, এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু আমি কল্পনা করতে পারি না। এর ফলাফলও আমরা পাচ্ছি। ওই সেতুটি বানিয়েছে চীন দেশের ছাত্ররা। কিন্তু আমাদেরও সুযোগ ছিলো, আমাদের ছাত্রদের, একটি সেতু বানানোর উপযোগী করে গড়ে তোলার। আমরা তা পারি নি, এবং পারার কোনো চেষ্টাও করি নি।

— মহিউদ্দিন মোহাম্মদ