ইভ্যালি ক্রাইসিস: প্রয়োজন দ্রুত পদক্ষেপ এবং উপযুক্ত সমাধান

Evaly Tahsan

একটা সময় পর্যন্ত যে প্রশ্নটা সবচেয়ে বেশি বাতাসে উড়তো সেটা হচ্ছে ইভ্যালি কিভাবে অস্বাভিক ডিসকাউন্ট দিচ্ছিল? আপাতত এই রহস্যের উদঘাটন হয়েছে।
সেন্ট্রাল ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী কাস্টোমার এবং মার্চেন্টদের কাছে প্রোডাক্ট এবং পেমেন্ট বাবদ ইভ্যালির দায় 403.80 কোটি টাকা, যেখানে এসেট রয়েছে 65.17 কোটি টাকা।

আমরা ধারণা করতে পারি এই অর্থের অনেকখানি গিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত ডিসকাউন্ট দিতে, বিভিন্ন ইভেন্ট যেমন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট ম্যাচ, প্রোগ্রাম স্পনসরশীপে, ফ্লাইট এক্সপোর্ট টাইপ ইনভেস্টমেন্ট ইত্যাদিতে। কোন খাতে ঠিক কত টাকা গিয়েছে এটা সহ অন্যান্য বিভিন্ন দিক তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে দুদক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (BFII) এর মতো সংস্থা।

প্রশ্ন হচ্ছে, গ্রাহক এবং মার্চেন্টের টাকায় রিস্ক নিয়ে কোন কোম্পানির কি এই অস্বাভাবিক ডিসকাউন্ট দেয়া উচিত?
উত্তর হচ্ছে – অবশ্যই না।

কাস্টোমার একিউজিশন, ইনফ্রাস্ট্র্যাকচার তৈরি, মার্কেটিং, এডভার্টাইজিং, ব্র্যান্ড বিল্ডিং, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বা এক্সপানশন এসবের জন্য পুরোপুরি রিস্ক নিয়ে ইনভেস্টমেন্ট করবে কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডাররা, Angel, Venture Capitalist, ব্যাংক ইত্যাদি।

বিজনেস হাজার গুণ প্রফিট করলে তারা লাভবান হবে। বিজনেস পুরোপুরি লস খেলে তারা সেই লস বহন করবে।

মার্চেন্ট চাইলে কোম্পানিকে ক্রেডিটে প্রোডাক্ট দিতে পারে।

কিন্তু কাস্টোমার টাকা দেবে এবং তার পরিবর্তে সময়মতো প্রতিশ্রুত প্রোডাক্ট বা সার্ভিস পাবে। কোম্পানির সাথে কাস্টোমারের সম্পর্ক এটাই।
হ্যাঁ কাস্টোমারদের কাছে থেকে পাওয়া প্রফিট কোম্পানি গ্রো করার জন্য কাজে লাগাতে পারে, শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ট দিতে পারে।

কিন্তু কাস্টোমারকে প্রমিজড প্রোডাক্ট বা সার্ভিস না দিয়ে সেই টাকা অন্যত্র খরচ করা যাবে না। কোন কোম্পানির রিস্ক লাভ লোকসান ভাগিদার সাধারণ কাস্টোমার হবে না। এটাই হাজার বছরের বিজনেস প্র্যাক্টিস, এটাই আইন, এটাই সাস্টেইনেবল বিজনেস তৈরির পূর্বশর্ত।

দেশে ডিজিটাল কমার্স আইন না থাকার কারণে মাসের পর মাস লেইট প্রোডাক্ট ডেলিভারি, ক্যান্সেল হওয়া, রিফান্ড ঠিকমতো না করা এই ধরণের ঘটনাগুলো এতদিন ঘটেছে বিভিন্ন ইকমার্স মার্কেটপ্লেসে। ভবিষ্যতে এগুলোকে প্রতিহত করার জন্যই “ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১” অনুমোদন করেছে সরকার (ইক্যাবকে সাধুবাদ পদক্ষেপ নেবার জন্য)।

এই নির্দেশিকাতে বেশ কিছু ভাল দিকের একটি পদক্ষেপের একটি হচ্ছে Escrow পদ্ধতি। এর ফলে ক্রেতা সুরক্ষিত থাকে কারণ পণ্য পেয়ে গ্রীন সিগনাল দেবার আগ পর্যন্ত সেলার পেমেন্ট পায় না। গ্লোবাল জায়ান্ট Aliexpress নিজেও এই এসক্রো সিস্টেম ব্যবহার করে।

আমাদের এখানে যেহেতু মার্কেটপ্লেসকে নিয়েই প্রশ্ন উঠছে, সো এই এসক্রো সার্ভিসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংককে। একটা feasible implentation প্ল্যান তৈরির জন্য হয়তো কিছুটা সময় প্রয়োজন।

এই পর্যন্ত অনেকেরই জানা, এবার মূল পয়েন্টে আসি, ভবিষ্যতের সুরক্ষার তো একটা ব্যবস্থা হলো, কিন্তু ইভ্যালিতে পেন্ডিং প্রোডাক্ট এবং পেমেন্ট গুলোর কি হবে?

ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা আসার সাথে সাথেই ইভ্যালি সেগুলোর সাথে compliance থাকার জন্য তাদের সাইক্লোন, earthquake অফার থেকে সরে এসে priority store জাতীয় আইডিয়া নিয়ে এসেছে (যদিও এটা মিনিমাম আরো ১০ মাস আগেই হওয়া উচিৎ ছিল)।

কিন্তু নতুন প্ল্যান কতটুকু কাজে করবে সেটা বোঝার আগেই সরকারী নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো বেশ কিছু আর্থিক অসংগতি নিয়ে ইভ্যালির বিরুদ্ধে জোরেসোরে তদন্তে নেমেছে।

সুতরাং নেক্সট কোশ্চেন হচ্ছে – সরকারের তদন্ত, মিডিয়ার নেগিটিভ নিউজ, মার্চেন্টদের অসহযোগিতা, অসংখ্য পেন্ডিং প্রোডাক্ট, কাস্টোমারদের আশংকা, ফান্ড ক্রাইসিস এতগুলো প্রব্লেম ইভ্যালি একসাথে কিভাবে সলভ করবে?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর এক কথায় দেয়া খুবই কঠিন, কারণ এখানে অনেকগুলো ভ্যারিয়েবল চলে আসছে। সব ভ্যারিয়েবল নিয়ে একটা সঠিক ইকুয়েশন দাঁড় করানোটা সহজ হবে না।

তাছাড়া ইভ্যালি ইস্যুটা বিভিন্ন দিক থেকে অত্যন্ত সেনসিটিভ।

একদিকে আটকে থাকা হাজারো মানুষের কষ্টের টাকার প্রোডাক্ট, শতশত এমপ্লয়ীর জীবিকা, মার্চেন্টদের আটকে থাকা টাকা…আরেকদিকে ইকমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি হওয়া সংকট, ইভ্যালির প্রতিদ্বন্ধী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।

তাই ইভ্যালি নিয়ে লিখলেই কারো না কারো ইমোশনে আঘাত লাগে। কনস্ট্রাকটিভ ডিসকাসনের বাইরে গিয়ে কিছু ব্যক্তি আক্রমণের অপচেষ্টা চালাবে কমেন্টের ঘরে। সেই রিস্ক মাথায় নিয়েই তারপরও লিখছি, যদি সার্বিকভাবে কোন উপকার হয়।

যে কোন ডেভলপিং কান্ট্রিতে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে সবার আগে যে ইন্ডাস্ট্রিটা যাত্রা শুরু করে সেটা হচ্ছে ইকমার্স। প্রথমদিকের বিভিন্ন বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে এই ইন্ডাস্ট্রি সঠিক ভাবে গড়ে ওঠা তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ অন্য সেক্টরগুলোর জন্যও।

তাই শুধু সমস্যার দিকে ফোকাস না করে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই সংকটকে কাটিয়ে ওঠার জন্য নিচে কিছু সাজেশন দিলাম। এগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত অভিমত, কারো ভিন্ন অভিমত থাকতেই পারে। আর মানা না মানার দ্বায়িত্ব তো সংশ্লিস্টদের।

ইভ্যালি এই সংকট মূহুর্তে যে পদক্ষেপগুলো নিতে পারে-

– ঠান্ডা মাথায় সব ধরণের সম্ভাবনা বিবেচনা করে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এর মধ্যে শর্ট টার্ম এবং লংটার্ম প্ল্যান থাকবে। সরকারের যে কোন সম্ভাব্য পদক্ষেপ; মার্চেন্ট – কাস্টোমার, মিডিয়া; ইনভেস্টমেন্ট ইত্যাদি মাথায় রেখে বিভিন্ন ব্যাকআপ প্ল্যান তৈরি করতে হবে।

– প্ল্যানিং করার জন্য কোম্পানির বাইরের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিতে হবে। এজন্য বিজনেসে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যাক্তি, একাডেমিকস, ফিনান্স এক্সপার্ট, স্ট্র্যাটেজিস্ট, সংগঠন প্রতিনিধি এবং অন্যান্যদের সমন্বয়ে তৈরি এডভাইজার প্যানেল গঠন করা যেতে পারে।

– ম্যানেজমেন্ট এবং লিডারশীপ টিম ঢেলে সাজাতে হবে। সিস্টেমের ভিতরে থেকে এতদিন ধরে চলে আসা ভুল সিস্টেমটা যারা ধরতে পারেনি, শুধরানোর চেষ্টা করে নি, তারা দ্বায়িত্ব পালনে পুরোপুরি ব্যর্থ। সেলিব্রিটিদের দিয়ে কখনো বিজনেস রান করা যায় না, প্রয়োজন সুদক্ষ এবং শক্তিশালী নেতৃত্ব।

– ফেইসবুকে মিডিয়ার সাথে বিন্দুমাত্র কনফ্রন্টেশনে যাওয়া যাবে না। নিজেদের কাজ এর পাশাপাশি কন্টিনিউয়াসলি PR করে যেতে হবে। বাংলাদেশের টপ মিডিয়াতে নিউজের কারণে এর আগেও বহু কোম্পানি এবং ব্যক্তির পতন হয়েছে।

– সকল ধরণের excessive money burn করা এই মূহুর্তে বন্ধ করতে হবে। পুরোপুরি Lean মডেলে চলে গিয়ে মিনিমাম রিসোর্স দিয়ে অপারেশন চালাতে হবে। নাহলে অদূর ভবিষ্যতে ফান্ড এর অভাবে ম্যাস ডাউনসাইজিং এর মতো ক্রাইসিস তৈরি হতে পারে। এর আগে আমরা এই ধরনের ঘটনা এদেশে ঘটতে দেখেছি, এই প্যান্ডেমিক সিচুয়েশনে যেটা খুবই দুঃখজনক হবে।

– এই ধরণের সিচুয়েশন যে জিনিসটা অনেক বেশি কাজ করে সেটা হচ্ছে – ক্লিয়ার কমিউনিকেশন। নিজেদের কার্যক্রম, সমস্যা সমাধানে কি ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে সেগুলো অনেস্টলি কমিউনিকেট করতে হবে নিজের এমপ্লয়ী এবং কাস্টোমারদের কাছে।
ইনভেস্টমেন্ট – এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাই বিস্তারিত লিখছি।

আমার জানা তথ্যমতে এই মূহুর্তে ইভ্যালির সিইও ফান্ড রেইজ করে কোম্পানিকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, বিভিন্ন গ্রুপের কাছে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে কয়েকশো কোটি টাকা ইনভেস্ট করার মতো গ্রুপ এবং ব্যক্তি যথেষ্ট আছে, প্রব্লেমটা হচ্ছে ইভ্যালি বিজনেসের যেই নাযুক অবস্থায় আছে তাতে তারা আগ্রহী হবেন কিনা।

বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইনভেস্টমেন্ট ইকোসিস্টেম সম্পর্কে যাদের খুব ভাল ধারণা আছে তারা জানে যে Angel এবং VC কেউই বাংলাদেশে ইকমার্স ইনভেস্টমেন্ট পারতপক্ষে আগ্রহী হয় না। (এমনকি দেশের কিছু নামকরা শার্ক ইনভেস্টর তো বলেই দিয়েছেন ইকমার্সে ইনভেস্ট করবেন না)।

VC ফান্ডের লাইফ সাধারণত 7 বছর, এবং VC রা চায় মাল্টিপল টাইমস রিটার্ন। বাংলাদেশের মোটামুটি ইকমার্সগুলো সাত বছরে এমনকি ব্রেকইভেনে যেতে পারবে এমন অবস্থান দেখা যাচ্ছে না (Bikroy ব্রেক ইভেনে গিয়েছে কিন্তু সেটা exception). অন্যদিকে এঞ্জেলরা চায় তাদের ইনভেস্টমেন্টের 2-3 বছরের মাথায় VC রা টেকওভার করবে এবং তারা এক্সিট করবে। VC রা আগ্রহী না হলে এঞ্জেল রাও রিস্ক নিতে চায় না, কারণ ইকমার্স ছাড়াও অন্যান্য আকর্ষনীয় স্টার্টআপ সেক্টর আছে।

ইভ্যালির ফান্ড রেইজ করা আরো অনেক বেশি কঠিন হয়ে গেছে। কারণ তাদের প্রায় পাঁচশো কোটি টাকার দেনা যেটা কাস্টোমারের এবং মার্চেন্টের টাকা লস দিয়ে, প্রোডাক্ট বাকী দিয়ে। এই টাকা ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরিতে ব্যবহার হলে, প্রোডাক্টের পিছনে খরচ হলে বোঝা যেতে।

যেখানে গ্লোবাল জায়ান্ট আলীবাবা ব্যাকড দারাজের মতো পাওয়ারফুল প্লেয়ার আছে সেখানে তো নরমাল সিচুয়েশনেই ইনভেস্টর পাওয়া কঠিন।

(আগেও অনেকবার বলেছি, আবারো বলি – নতুন যারা ইকমার্স করতে চান, আলীবাবা-এমাজন টাইপ লেভেলের ব্যাকাপ না থাকলে Niche ইকমার্স ট্রাই করুন, এক্ষেত্রে ইনভেস্টমেন্ট পাবার এবং সাকসেস হবার চান্স কিছুটা বাড়বে)।

ফান্ড রেইজিং এর জন্য ক্রাইড সোর্সিং এবং merger / acquisition অপশন মাথায় রাখতে হবে। এই মূহুর্তে যদি কেউ ইভ্যালিকে রক্ষার্থে এগিয়ে এসে merger / aquistion অফার দেয় সেটাকে সিরিয়াসলি কনসিডার করতে হবে।
এছাড়াও ইভ্যালির অনেক কাস্টোমার দাবী করছে তারা ইভ্যালির পাশে আছে এবং থাকবে। যদি আসলেই তাই হয়ে থাকে তাহলে

crowsfunding মডেল চিন্তা করা যেতে পারে। তবে দেশের বিদ্যমান আইন এটাকে কতটা সাপোর্ট করে, ইভেন এই ফান্ডের যথাযথ মনিটরিং এর দ্বায়িত্ব কে নেবে সেটা ঠিক করতে হবে।
আর শুধুমাত্র ফান্ড পাওয়াই না, ফান্ড ম্যানেজমেন্ট, সঠিক ভাবে ফান্ডের ব্যবহার ফিনান্সিয়াল সাইড মনিটরিংও কেই সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।

ইভ্যালির কাস্টোমারদের করণীয়ঃ

জেনে শুনেও অতিরিক্ত ডিসকাউন্টের লোভে বিভিন্ন ইকমার্স থেকে বারবার কেনাকাটা করে এখন হাহাকার করছেন তারা ভবিষ্যতের জন্য চিরতরে সতর্ক হন।

– অনলাইন শপিং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাকে convenience এর দেয়া; শপিং এ যাবার এনার্জি, সময় এবং ট্রাফিক জ্যাম থেকে বাঁচানো; সোশ্যাল আইসোলেশন মেইন্টেইন করার সুযোগ। ইকমার্স মানেই ডিসকাউন্ট না। এই মাইন্ডসেট থেকে বের হয়ে আসুন।

– আপনার প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট ইভ্যালি থেকে অর্ডার করতে চাইলে আপাতত ফুল ক্যাশ অন ডেলিভারি মেথড বেছে নিন। কোম্পানির প্রতি লয়্যাল থাকা আপনার সিদ্ধান্ত কিন্তু অবশ্যই নিজের কষ্ট অর্জিত টাকা প্রটেক্ট করে।

সরকারী সংস্থাগুলোর কাছে আমাদের প্রত্যাশাঃ

– ইভ্যালি সংক্রান্ত চলমান সকল তদন্ত দ্রুত পূর্ণাংগরূপে শেষ করে তার উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হোক। ২০২০ এর আগস্টে প্রথম যখন সরকার ইভ্যালির ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করে, সেই সময়ই চারিদিক তলিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে আজকের এত টাকার দেনা তৈরি হতো না। এই ইস্যুটা যত দিন অনিশ্চিত ভাবে ঝুলে থাকবে ততদিন গ্রাহক, মার্চেন্ট, কোম্পানি, ইন্ডাস্ট্রি সবার ক্ষতি।

– বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় এই ধরণের বিভিন্ন ইস্যুতে যারা আল্টিমেটলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তারা হচ্ছে কাস্টোমার। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই এমনভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে যেন কাস্টোমারদের যতটা সম্ভব প্রটেক্ট করা যায়।

– প্রয়োজনে ইকমার্সের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ থেকে রিপ্রেজেন্টেটিভ নিয়ে এক্সপেরিয়েন্সড মনিটরিং এন্ড সাপোর্টিং কমিটি তৈরি করে দেয়া যেতে পারে যারা ইভ্যালির কার্যক্রম তদারকি করবে, প্রয়োজনে এডভাইস দেবে।
পরিসমাপ্তি

শেষে একটা কথাই বলবো – বাংলাদেশে ইকমার্স ইন্ডাস্ট্রি সবে আঁতুড়ঘর থেকে বের হয়ে হাঁটি হাঁটি পা পা করছে। পুরোপুরি ম্যাচিউর হবার আগেই Coronacrisis এর কারণে এই অমিত সম্ভাবনাময় ইন্ডাস্ট্রির গুরুত্ব এখন অনেক বেশি।
তাই আমাদের সবাইকেই progressively এগিয়ে আসতে হবে এই ইন্ডাস্ট্রিতে জড়িত সবাইকেই সাপোর্ট দিয়ে, ভুলগুলোকে শুধরে দিয়ে, ভাল কাজগুলোর প্রশংসা করে ওভারঅল ইকোনমিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য।

মনে প্রাণে আশা করি সব সমস্যাগুলোর সুষ্ঠ সমাধান হোক, বিশেষ করে কাস্টোমাররা যেন আবারো কোন ভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য আমন্ত্রণ রইলো 🙂