ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের পরিবর্তে আল্লাহর ৯৯ নামখচিত স্মৃতিস্তম্ভ করুন

ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের পরিবর্তে আল্লাহর ৯৯ নামখচিত স্মৃতিস্তম্ভ করুন

ভাস্কার্যের নামে মূর্তি স্থাপনের পরিবর্তে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় আল্লাহর ৯৯ নাম অঙ্কিত স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের দাবিতে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা ধুপখোলা মাঠে গণসমাবেশ করেছে তৌহিদি জনতা ঐক্য পরিষদ।

মূর্তিবিরোধী এ গণসমাবেশে তৌহিদি জনতা ঐক্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন রুখে দিবো।

তিনি বলেন, যে দেশের মানুষেরা রিকশা চালিয়ে রোজগার করে, এখনো যে দেশের মানুষেরা খোলা আকাশের নিচে ঘুমায়, যে দেশের মানুষ এখনও অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটায়, যে দেশের মানুষেরা এখনো চিকিৎসাহীনতা ভুগছে, যে দেশের মানুষেরা ডাস্টবিনে খাদ্য সন্ধান করছে, সে দেশের মানুষের টাকা দিয়ে মূর্তি স্থাপন করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, যদি এ দেশের টাকা দিয়ে মূর্তি স্থাপন করা হয় তাহলে কঠোর আন্দোলন হবে, সংগ্রাম চলছে।

সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি আপনাদের মূর্তি স্থাপন করতে ইচ্ছে হয়, মূর্তি স্থাপনের জায়গা আছে, মন্দির আছে, সেখানে মূর্তি স্থাপন করেন। তবে মানুষের টাকায় রাজপথে মূর্তি স্থাপন করতে দিবো না।

তিনি বলেন, আমরা রক্ত দিতে চাই। মুসলমান যদি একবার রক্ত দিতে শুরু করে তাহলে আর বন্ধ করতে জানে না।

আমরা খালিদ বিন ওয়ালিদের উত্তরসূরি, আমরা আবু বকরের উত্তরসূরি, আমরা ওমরের উত্তরসূরি, আমরা হযরত আলীর উত্তরসূরি। এসময় তিনি স্লোগান দেন, ওহুদ বদরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার।

তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করবো, আমরা মারামারি করতে চাই না, রক্ত দিতে চাই না, বিচ্ছেদ করতে চাই না, শুধু চাই সুন্দর একটা ব্যবস্থা করা হোক। এমন ব্যবস্থা যে, কিয়ামত পর্যন্ত মানুষ তার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের) জন্য দোয়া করে।

মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা না হলে ভয়াবহ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি তার বক্তব্য সমাপ্ত করেন।

এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, তৌহিদি জনতা ঐক্য পরিষদের সকল নেতাকর্মীসহ কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও আমজনাতা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গণসমাবেশ ধোলাইপাড়ে হওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসনের বাধার কারণে ধুপখোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, চরমোনাই কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শাহ আব্দুল আউয়াল, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বাইতুন নূর মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মনিরুজ্জামান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম প্রমুখ।

গণসমাবেশ পরিচালনা করেন মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মুফতি মোস্তফা কামাল, মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম।

সমাবেশ থেকে ভাস্কর্য স্থাপন না করে কোরআন খচিত স্তম্ভ, মিনার খচিত স্তম্ভ, আল্লাহর নিরানব্বই নাম সম্বলিত মিনার ইত্যাদি স্থাপনের দাবি জানান বক্তারা।