‘সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক, সম্পর্ক ভাঙলেই বলে ধর্ষণ’

‘সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক, সম্পর্ক ভাঙলেই বলে ধর্ষণ’

ভারতের ছত্তিশগড়ের নারী কমিশনের প্রধান কিরন্ময়ী নায়েকের শারীরিক সম্পর্ক ও ধর্ষণ নিয়ে একটি বক্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশটিতে। কিরন্ময়ী নায়েক বলেছিলেন, ‘প্রথমে মেয়েদের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর সম্পর্কে ভাঙন দেখা দিলে সেই মেয়েরাও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।’

শুক্রবার ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে কিরন্ময়ী নায়েক বলেন, ‘যদি কোনো বিবাহিত পুরুষ কোনো মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়, তাহলে মেয়েটিকেই বুঝতে হবে যে, লোকটি তাকে মিথ্যা কথা বলছে। যদি সম্পর্কটি ঠিকঠাক চলে তবে কোনো সমস্যা হয় না। সেটি না হলেই মেয়েরা অভিযোগ দায়ের করে।’

নারী কমিশনের প্রধানের ভাষায়, ‘বেশিরভাগ সময়ই মেয়েদের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। লিভ-ইন সম্পর্কেও থাকে। তারপর সম্পর্ক ভেঙে গেলেও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে মেয়েরা।

কমিশন এমন বহু গার্হস্থ্য সমস্যার সমাধান করে থাকে। আমরা অনেক সময় মেয়ে ও ছেলেদের বকাবকিও করি। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টাও করি।’

মেয়েদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি নাবালিকা হও, তাহলে ফিল্মি রোম্যান্সের চক্করে পড়তে যেও না। তোমার পরিবার, বন্ধু এমনকী গোটা জীবন এতে ধ্বংস হতে পারে। আজকাল ট্রেন্ড হয়েছে মেয়েরা ১৮ বছরে বিয়ে করে ফেলছে। এরপর সন্তানের জন্মের পরই একসঙ্গে থাকাটা তাদের কাছে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।’

ভারতের মতো দেশে যেখানে প্রতিদিন প্রতিটি রাজ্যেই প্রায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়। আবার বহু ঘটনা প্রকাশ্যেই আসে না দীর্ঘদিন।

ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে প্রতিদিন ৮৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। বছরজুড়ে নারীদের বিরুদ্ধে প্রায় চার লাখ নির্যাতনের অভিযোগ জমা পড়েছে। ২০১৮ সাল থেকে এর পরিমাণ প্রায় ৭ শতাংশ বেড়ে গেছে।