নারী নির্যাতন আইনে মামলা, অভিযুক্ত ফারদিনকে আদালতে তোলা হবে আজ

রাজধানীর কলাবাগানে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টারমাইন্ডের “ও” লেভেলের এক শিক্ষার্থীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে আরেক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ম্যাপল লিফের শিক্ষার্থী ফারদিনকে। পুলিশ জানিয়েছে, আটক ফারদিন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আরও তিনজনকে। আর এ ঘটনায় ফারদিনকে আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করা হয়েছে কলাবাগান থানায়।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে পূর্ব পরিচিত ফারদিন ইফতেখার দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন আনুশকা নূর অর্পা। এরপর কিশোরীকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান।

নিহত অর্পার স্বজনরা জানায়, দিহানই ফোন করে অর্পার অসুস্থতার কথা জানায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আনুশকাহ’র পরিবার

অর্পার মা বলেন, ‘আমার মনের মধ্যে খুব খারাপ লাগছিলো। কেন জানি আমি টেবিলে মাথা নিচু করে শুয়ে আছি তখনই ফোনটা আসে। আমাকে ছেলেটা ফোন করে। দিহান নামের একজন। ওদের আমি চিনিনা, ওদের আমি কখনো দেখিনি।’

অর্পার মামা জানান, ‘আমি এসে যখন দেখি তখন রক্ত প্রচুর পরিমাণে ঝড়ছিলো। হাতে ও সাইডে একটি দাগ পাওয়া গেছে।’

ঘটনার পর খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে ফারদিনকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ফারদিনের আরো তিন বন্ধুকে।

ফারদিনের দাবি নিহত অর্পার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তবে নিহতের পরিবার জানায় এ বিষয়টি তাদের কিছু জানা নেই।

ডিএমপির রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার (নিউ মার্কেট জোন) আবুল হাসান জানান, ‘লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করে ঢাকা মেডিক্যাল মর্গে প্রেরণ করেছি। তারপর পোস্ট মর্টেম হবে। তারপর ডাক্তার যে সনদপত্র প্রদান করবেন সেখানে মৃত্যুর কারণ লেখা থাকবে। তখন বোঝা যাবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। মামলার পর জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য বের হয়ে আসবে।’

আসামি ফারদিনকে আজ শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ডিএমপির নিউ মার্কেট জোনের এডিসি এহসানুল ফেরদৌস বলেন, ‘মেয়ের বাবা বাদী হয়ে অভিযোগ করেছেন এবং নারী নির্যাতন আইন ২০০৩ এর সংশোধিত আইনের ২ ধারায় মামলাটা রুজু হয়েছে। মূল সাসপেক্ট যে ছেলেটা আমাদের হেফাজতে আছে। আমরা তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করবো।’

নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার ও কঠোর শস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।