ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

আছিয়া আক্তার

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এক শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দেওয়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বুধবার দিবাগত রাতে আছিয়া আক্তার নামের ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে।

নিহত আছিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বগুড়ার সদর থানার মঠুরা গ্রামের মো. জালাল উদ্দীনের মেয়ে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে আছিয়া দ্বিতীয়।

আছিয়ার ভাই আল-আমীন জানান, আমি প্রায় রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বারান্দায় বসে পড়াশোনা করে রাত ১টার দিকে রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।

পরে মা ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে জেগে দেখেন আছিয়া বাড়ির বারান্দায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পরে আমরা তাকে নামিয়ে থানায় যাই। প্রেমজনিত কারণে তার বোন আছিয়া আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছেন তিনি।

এদিকে মৃত্যুর আগে আছিয়া তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমার ব্যবহারে কেউ কোনোদিন কষ্ট পেলে দয়া করে আমায় মাফ করবেন।

কারণ, মৃত্যু কার কখন দুয়ারে আসে আমরা কেউ বলতে পারি না; আল্লাহ পাক সবাইকে ভালো রাখবেন।’

শাবির বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আশ্রাফুল করিম বলেন, এই মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নেবার মতো না। আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।

শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে এবিষয়ে তিনি মন্তব্য করেননি।

বগুড়ার সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনা আমরা জেনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশকে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট শাবির বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তোরাবি বিনতে হক মায়ের সঙ্গে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে তার নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন।

তথ্য ও ছবিঃ সমকাল