বিভাগ প্রতি এক ব্যাচ করে আসবেন পরীক্ষা দিতে। মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর ২০% এরও কম। তাঁরা আসবেন ২ মাসেরও কম সময়ের জন্য। শুধু পরীক্ষা দিতে।
এর চেয়ে ঢের বেশি শিক্ষার্থীর আবাসিক অবকাঠামো আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। প্রভোস্টরা আছেন, প্রক্টররা আছেন, শিক্ষক চালিত প্রশাসন আছে। ডজনেরও বেশি ডাক্তারও আছেন একটা মেডিকেল সেন্টারে।
কিন্তু তারপরও নাকি নিজের এই ২০% শিক্ষার্থীর জন্য হলে থাকার
স্বাস্থ্য-সম্মত ব্যবস্থা করতে অক্ষম বিশ্ববিদ্যালয়!
ফলে পরীক্ষা দিতে চাইলে শিক্ষার্থীদের রাজশাহী এসে থাকার জায়গা ম্যানেজ করতে হবে, খাওয়ার জায়গা ম্যানেজ করতে হবে, পড়ার জায়গা ম্যানেজ করতে হবে। স্রেফ দুই মাসের জন্য। ক্যাম্পাসের বাইরে। এই করোনা দূর্গত রাজশাহী শহরে।
আর এদিকে বিশাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার আর ক্যাপাসিটি ফাঁকা আর আনইউজড পড়ে থাকবে প্রশাসনের ম্যানেজমেন্ট আর গভার্নেন্স ফেইলিওরের জন্য। হয়তো প্রশাসনিক পদাধিকারীদের আরাম-আয়েশে থাকার জন্যও।
অথচ এই প্রতিষ্ঠান আবার শিক্ষার্থীদের ম্যানেজমেন্ট আর গভার্নেন্সও নাকি পড়ায়।
কতটা নির্মম আর নির্লজ্জ হলে নিজের শিক্ষার্থীদের এরকম নির্দয় পরিস্থিতিতে ঠেলে দিতে পারে একটা ‘শিক্ষক’ চালিত প্রশাসন, স্রেফ নিজের দুর্বলতা আর অক্ষমতা ঢাকার জন্য।
হোয়াট আ শেইম।
লেখকঃ বখতিয়ার আহমেদ
শিক্ষক
এনথ্রোপলজি বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়