আমি চাই ৫ বছরে না হোক, অনন্ত ১০ বছরে কেউ যেন আমার রেকর্ড ভাঙে: জেসি হক

জেসি হক

আমাকে দেখতেই বলে উঠলেন , ” ভাই কেমন আছেন ? আপনার ছবি পেপারে দেখেছি । আমি দেখলাম আপনি এত নম্বর পেয়েছেন ইংল্যান্ডের একটি এক্সামে । কিন্তু আমি একটুও অবাক হই নাই । কারন আমি ২০ বছর ধরে নিউমার্কেট এবং পরমা পাবলিশার্সে বই বিক্রির সাথে জড়িত ।

কিন্তু গত ২০ বছরের সব রেকর্ড আমাদের কাছে আছে । গত ২০ বছরে কেউ আপনার মত এত বই কিনে পড়ে নাই। আপনার মনে আছে কিনা জানি না। একবার আপনি ইনফেক্সিয়াস ডিজিস এর উপর একটা বই নিয়ে গেসিলেন ২৮০০০ টাকা দিয়ে । আপনি তখন ৪ অথবা ৫ ম বর্ষে পড়েন ।

আমি চিন্তা করতেসিলাম , এতটুক একটা ছেলে এত বড় বই দিয়ে কি করবে ? আপনি আমাকে বলসিলেন যে , ভাই , আমার এই বই থেকে নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস ব্যাকটেরিয়া পড়ে অনেক ভাল লাগছে ।

আমি এই বইটা নিবোই । আপনি সেই ৮ বছর আগে এই ২৮০০০ টাকা দামের বই কিনে নিয়ে গেলেন। এরকম কত কত বই আপনার কাছে বিক্রি করেছি তার হিসাব নাই। তখনি আমি বুঝতে পেরেছিলাম । তাই আপনার ছবি পেপারে দেখে আমি মোটেও অবাক হই নাই। ”

উনি বললেন যে, “আগামি ১০ বছরে কেউ আর এরকম নম্বর পাবে না। আমি বললাম কেন ভাই? কেন , এরকম মনে হলো ? উনি বললেন , ভাই , গত ৫ বছর ধরে মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই কেনার হার খুবই কম । বই কেনার জন্য আসে খুব অল্প কয়েকজন ।

আর যারা আসে , তারাও ওই ২-১ টা বই নিয়ে চলে যায় । আপনার মত একটা ভাল বই কেনার জন্য এত ঘন্টার পর ঘন্টা কাউকে বসে প্রতিটা বই এনালাইসিস করতে কাউকে দেখি নাই।

এনালাইসিস তো দূরের কথা , বই কেনার আগ্রহও দেখি নাই । সেই জন্য এরকম মনে হল । ” এগুলো যিনি ২০ বছর ধরে বই বিক্রির সাথে জড়িত তার কথা । আমার কথা না ।

তবে আমি মনে প্রানে চাই, উনার ধারনা ভুল প্রমান হোক । আমাদের মেডিকেল এর শিক্ষার্থীরা আবার বই পড়ায় মনোযোগ দিক । আমি চাই, আগামি ৫ বছরে না হোক, এট লিস্ট ১০ বছরে কেউ যেন বাংলাদেশ থেকে ৯০০ নম্বর ক্রস করে । এটাই প্রত্যাশা । মনে প্রানে চাই, ওই ভাইয়ের ধারনা ভুল হোক ।

এমন যেন না হয় মেডিসিনে ভুড়ি ভুড়ি Honours মার্ক । কিন্তু আন্তর্জাতিক লেভেল এর এক্সামে গিয়ে ফেইল অথবা কোন মতে পাস । এরকম হলে আমাদের দেশের শিক্ষার মান নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাবে ।

– Dr. Jessy Hoque

একজন ডাঃ জেসি হক হয়ে উঠার গল্প