তালা ভেঙে জাবি শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলের ভেতরে প্রবেশ

মহামারি করোনা ভাইরাসের উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ১০ হলের তালা ভেঙেছে।

এর আগে, সকাল ১০ টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর তাদের দু’টি দাবি মানার ঘোষণা দিলেও রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত ছাড়া আবাসিক হল খোলা সম্ভব নয় বলে জানান। পরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হলগুলোর তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে।

তালা ভেঙে হলে প্রবেশের চেষ্টা করছেন শিক্ষার্থীরা।

তাদের অন্য দু’টি দাবি হলো-স্থানীয়দের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বহন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে গেরুয়ার সংযোগস্থলে স্থায়ী গেইট নির্মাণ ও হামলাকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী গেরুয়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করে। গতকাল রাতে গেরুয়ার লোকজন যেভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, আবার হামলা চালাবে না তার নিশ্চয়তা কি?

তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়াসহ তিন দফা দাবি জানাই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল খুলে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। তাই আমরা নিজেরাই হল খুলে ভেতরে প্রবেশ করছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘স্থানীয়দের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করছে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে গেরুয়ার সংযোগস্থলে স্থায়ী গেইট নির্মাণের ব্যাপারেও কথা চলছে। তবে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিটি রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত ছাড়া মানা সম্ভব নয়। হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করার সিদ্ধান্তটি অমানবিক।’

শুক্রবার রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গেরুয়া এলাকায় ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে মসজিদে মাইকিং করে স্থানীয়রা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।