ঢাবির প্রাক্তন ভিসি মনিরুজ্জামান মিঞা স্যারের চিরকুমার থাকার রহস্য

মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞা স্যার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ তম ভিসি ছিলেন। ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি ভিসির দায়িত্ব পালন করেন। মনিরুজ্জামান মিঞা স্যার তাঁর প্রেমিকাকে ভালোবেসে কোনদিন বিয়ে করেননি। প্রেমিকার একটি ভুল ধারণার হেতু মনিরুজ্জামান মিঞা স্যার আজীবন অকৃতদার ছিলেন।

মনিরুজ্জামান মিঞা স্যার যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন তখন সহপাঠিনী এক মেয়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সখ্যতা গড়ে উঠে।কিন্তু তাঁরা উভয়ে বিয়ে করতে চাইলে দুই পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি।এজন্য বিকল্পভাবে বিয়ে করার জন্য মনিরুজ্জামান মিঞা স্যার এবং তাঁর প্রেমিকা একটি পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনাটি ছিল অমুকদিন অমুক সময় তাঁরা আলাদা আলাদা ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় রেল স্টেশনে আসবেন,এরপর তাঁরা ট্রেনে করে পালাবেন।

পরিকল্পনানুযায়ী মেয়েটি স্টেশনে যথাসময়ে চলে এসেছিল।কিন্তু মনিরুজ্জামান স্যার যে পথ দিয়ে আসেন সে পথে আসতে ২/৩ ঘন্টা দেরী করে ফেলেন।এরমাঝে ট্রেন চলে এসেছিল স্টেশনে।

প্রেমিকের একটু দেরী করার ফলে প্রেমিকা মেয়েটি মনে করেছিল মনিরুজ্জামান তাঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।এরপর ঘটে যায় সে করুণ বিয়োগাত্মক ঘটনা…..😥।

প্রেমিককে ভুল বুঝে মেয়েটি চলন্ত ট্রেনের নিচে আত্মাহুতি দেয়।

মনিরুজ্জামান মিঞা স্যার ছুটতে ছুটতে স্টেশনে এসে লোকজনের গোলাকৃতি দেখেন!ভিড় ঠেলে দেখেন সব শেষ….!!!
তিনি দেখেন তাঁর প্রেমিকার সদ্য ছুটে চলা ট্রেনে কাটা রক্তাক্ত লাশ….!!
এই ঘটনাটি স্যারের জীবনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।জীবনে আর কখনো বিয়েই করেন নি মনিরুজ্জামান মিঞা স্যার!!

তাঁর প্রেমিকা বিড়াল পোষতে ভালোবাসতেন।প্রেমিকার স্মৃতি ধরে রাখতেই বিড়াল পোষা শুরু করেন মনিরুজ্জামান মিঞা স্যার।তিনি যখন ঢাবি ভিসি হন,তখনও তাঁর ভিসির বাসভবনে অনেকগুলো পোষা বিড়াল ছিলো।এই বিড়ালগুলোই ছিল তাঁর নিহত প্রেমিকার স্মৃতি!!

মনিরুজ্জামান মিঞা স্যার ২০১৬ সালের জুন মাসে ৮১ বছর বয়সে স্মৃতিবিভ্রম রোগে মৃত্যুবরণ করেন।
©মোঃ হাফিজুর রহমান (ফাহিম)।