চবি স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা হবে ঈদের পর

চবি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় cu Chittagong university

আগামী ঈদের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় ঈদের পর পরীক্ষা আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পবিত্র ঈদুল ফিতর আগামী ১৩ বা ১৪ মে উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য শিরীণ আখতার। সভায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন এস এম সালামত উল্যা ভূঁইয়া বলেন, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে রমজান শুরু হতে পারে। আর ১৩ কিংবা ১৪ মে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ২০ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের ছুটি।

এরপর মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঠিক কোন তারিখে শুরু হবে, তা জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য পর্ষদের সভা শেষে।

সভা সূত্র জানায়, করোনার প্রকোপ না কমলেও সরাসরি পরীক্ষা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা ক্যাম্পাসেই হবে। গতবার ছিল ১২০ নম্বরের পরীক্ষা। যার ১০০ নম্বর নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন, আর ২০ নম্বর যোগ হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ থেকে।

তবে এবার ২০ নম্বর ঠিক কীভাবে যোগ হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অবশ্য বাকি ২০ নম্বর কীভাবে যুক্ত হবে, পরীক্ষা কত দিনে হবে, আবেদনের যোগ্যতা কী হবে—এসব বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ছাড়া এবার আসন বাড়বে বা কমবে কি না, সে সিদ্ধান্তও আসবে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায়।

গত বছর ৪টি ইউনিট ও ২টি উপ-ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম হয়েছে। ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটে ৪ হাজার ৯২৬টি আসনে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হন। প্রতি আসনে আবেদন করেছিলেন ৫২ জন শিক্ষার্থী। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষদ আছে ৯টি, বিভাগ ৪৮টি ও ইনস্টিটিউট রয়েছে ৬টি।

বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মোহাম্মদ নাসিম হাসান বলেন, ঈদের আগে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না, ঈদের পরেই হবে। ডিনস কমিটির সভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ ছাড়া ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ঈদের আগেই এ প্রস্তুতি শেষ হয়ে যাবে। আর পরীক্ষার তারিখ ঠিক হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য পর্ষদের সভায়।