NAME, BUET এর প্রিয় রফিকুল ইসলাম স্যার IUT এর নতুন উপাচার্য

Professor Dr.Rafiqul Islam
Vice Chancellor, IUT
Former,
Professor, Naval architecture and marine engineering department , BUET
Director, Khulna Shipyard Ltd.
Director, Institutional Quality Assurance Cell(IQAC),BUET

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনেই একজন হ্যাংলা পাতলা ভদ্রলোক বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের উদ্দেশ্য, কেনো আসছি, জীবনে কোথায় যেতে হবে,যাওয়ার পথটা কেমন সবকিছু অনেকটা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেছিলেন সেই লোকটাই এখন আই ইউ টির উপাচার্য হিসেবে গত কয়েকদিন আগে নিয়োগ পেয়েছেন।

অসম্ভব মেধাবী ও সময়ানুবর্তিতা সম্পন্ন এই ভদ্রলোকটির নাম প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম স্যার,নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বুয়েট ।

এতো ডিসিপ্লিন একটা লাইফ লীড করা যায় সেটা স্যারকে না দেখলে বুঝা অসম্ভব। স্যার এক মূহুর্তের জন্যেও অবসর সময় কাটান না।কোনো না কোনো প্রোডাকটিভ কাজে লেগেই থাকেন।

বাংলাদেশের মতো একটি স্বল্পোন্নত দেশে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ও বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।কিন্তু স্যার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন কোনো শিক্ষার্থী যেনো হতাশ না হয়ে যায়।

স্যারের একটাই বিশ্বাস ছিলো ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় তুমি দুই বছর অন্তুত কষ্ট করো। এরপর সুদিন চলে আসবেই।স্যার হতাশ হয়ে বসে থাকা বা প্রফেশন সুইচ করা কে সবসময়ই নিরুৎসাহিত করতেন।

উনার সাবেক ছাত্রদের স্যালারিও মাঝেমধ্যে আমাদের কাছে ফাঁস করে দিতেন হতাশা কাটানোর জন্যে।

স্যার অন্তত সাদাসিধে,মিষ্টিভাষী এবং প্রচন্ড ভালো মনের একজন মানুষ। একবার এক ছাত্র পরিবারের সমস্যা দেখে লাস্ট টার্ম শেষ না করেই চাকরিতে জয়েন করে ফেলেছিলো।

স্যার এইটা জানতে পেরে ঐ কোম্পানি কে বাধ্য করে ঐ ভাইয়াকে আবার পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসেছিল।উনি এখন বিশাল জব করেন এবং অনেক ভালো আছেন।

সকল শিক্ষার্থীদের কাছে স্যার ছিলেন পিতৃতুল্য। স্যার ডিপার্ট্মেন্টের উন্নয়নের জন্যে সার্বক্ষণিক চেষ্টা করতেন।

শিক্ষার্থীদের চাকরি-বাকরী থেকে শুরু করে বিদেশে যাওয়ার রিকমেন্ডেশনের জন্যেও কোনোদিন অনীহা প্রকাশ করেন নাই।

মাঝেমধ্যে ছাত্রদের বাসা থেকে ডেকে এনে চাকরী দিতেন।এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে।

ডিপার্টমেন্টের কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের স্পন্সর ম্যানেজ করে দিতে সবসময়ই স্যারকে নিজে থেকেই এগিয়ে আসতে দেখেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনে এমন শিক্ষার্থী-বান্ধব শিক্ষক এখন অনেক বিরল।

চট্টগ্রাম পোর্টের সম্প্রসারিত ডিজাইন, পাংগা পোর্ট থেকে শুরু করে বাংলাদেশ সরকারের অনেক বড় বড় প্রজেক্টের সাথে স্যার সম্পৃক্ত ছিলেন।

খুলনা শিপইয়ার্ডের ডিরেক্টর ও ছিলেন।বুয়েটের Institutional Quality Assurance Cell(IQAC) এর পরিচালক ছিলেন।

সর্বপরি আগাগোড়ায় একজন প্রশাসনিক লোক হয়েও একদিন ও ক্লাসে দেরী করে আসতেন না।ঠিক ৮ টায় ক্লাসে উপস্থিত থাকতেন।

শিক্ষার্থীদের সাথে ড. রফিকুল ইসলাম
শিক্ষার্থীদের সাথে ড. রফিকুল ইসলাম (সবার ডানে, কোট পরা)

নিজের পড়াশোনায় ও ছিলেন স্যার অনেক বেশি মেধাবী। বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় অনেক সামনের সারিতে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

পরবর্তীতে ডিপার্ট্মেন্টে রেকর্ড সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে ফার্স্ট হয়েছিলেন এবং বুয়েটের শিক্ষক হিসেবে চাকরীজীবন শুরু করেন।

বুয়েটে মাস্টার্স শেষ করে ২০০১ সালে জাপানের Yokohama National University থেকে পিএইচডি অর্জন করেন।