বিএসএমএমইউর নতুন ভিসি অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ

শারফুদ্দিন আহমেদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সাবেক মহাসচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), বর্তমানে কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ (Prof. Dr. Sharfuddin Ahmed)।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ আব্দুল হামিদ তাঁকে এই নিয়োগ দেন। আজ ২৯ মার্চ ২০২১ইং তারিখ, সোমবার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব জনাব মোহাম্মদ আবদুল কাদের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে (নং-৫৯.০০.০০০০.১৪০.১৯.০০৩.২১.১৯৫) বলা হয়, “মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এঁর অনুমোদনক্রমে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ এর ১২ ধারা অনুসারে অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়-কে ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ করা হলো।

ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে তাঁর নিযুক্তির মেয়াদ হবে ০৩ (তিন) বছর । জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।” নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, আজ ২৯ মার্চ ২০২১ইং তারিখ, সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর-এর দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।

দায়িত্বভার গ্রহণের পর নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ও পরবর্তীতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

দায়িত্বভার গ্রহণের পর নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, বিভিন্ন অফিসের অফিস প্রধানগণ, সম্মানিত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

মেডিক্যাল শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিটে প্রধাণের দায়িত্ব প্রাপ্তিতে অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আমি এখানে কাজ করছি।

মেডিক্যাল শিক্ষাকে সর্বোচ্চ শিখরে নেওয়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহায়তার পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। দেশের বাইরে যাতে রোগী না যায় এবং এখানকার ছাত্ররা যেন সর্বোচ্চ শিক্ষা পায় এ ব্যাপারে ভূমিকা নেবো।

একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান উন্নত করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, উন্নত ও উচ্চমান সম্পন্ন মেডিকেল শিক্ষা চিকিৎসা সেবা ও গবেষণা লব্ধ জ্ঞান অর্জন করা।

স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট দক্ষ জনবল তৈরী করা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ। অন্যান্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান থেকে রেফার করা রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করে জাতীয় পর্য্যায়ে জনগণের চিকিৎসা প্রত্যাশা পূরন করা হবে। রোগী যাতে বিদেশ না যায় তেমন চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, নষ্ট হতে যাওয়া কনভেনশন সেন্টারকে চালু করা ও উন্নত শিক্ষা, সেমিনার সিম্পোজিযামের মাধ্যমে পোষ্ট গ্রাজুয়েট ছাত্রদের প্রশিক্ষন জোরদার করা; জরুরি বিভাগ চালু করা ও ছাত্রদের প্রশিক্ষণ হালনাগাদ করা; বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অপশনের ভিত্তিতে ইনস্টিটিউশনাল প্রাকটিসের ব্যবস্থা করা; অপশন প্রদানকারী শিক্ষকদের ননপ্রাকটিসিং প্রণোদনা ভাতা প্রদান করা; নষ্ট হতে যাওয়া চালু না হওয়া ডরমিটরিকে ছাত্রদের থাকার উপযোগী করা; বেতার ভবনকে উন্নত পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ লাগানো ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাদুঘর নির্মণ করা; আউটডোরের লিফটগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ আছে, বয়স্ক বা হাঁটতে অক্ষম রোগীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সেবা নেওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে, তাই অতি দ্রুত লিফটগুলো সচল করা; বৃষ্টিতে অনেক যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে, আউটডোরে পর্যাপ্ত হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, যেন বয়স্ক বা হাঁটতে অক্ষম রোগীরা সহজে সেবা নিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা, কেবিন ব্লকে করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে, ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব ধরনের অপারেশন বন্ধ আছে দীর্ঘদিন যাবৎ এ কারনে অপারেশনজনিত রোগীরা অনেক ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন, করোনা ইউনিট কেবিন ব্লকে না করে বেতার বা কনভেনশন সেন্টারে করা হলে ভালো হয় বিধায় সেটা বাস্তবায়ন করা; নতুন কোন রোগী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেবা নিতে আসলে অনেক সমস্যায় পড়েন, কোথায় কোন টেস্ট হয় তা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে ইনডিকেটর করে দেওয়া যায় তাহলে সমস্যা কম হয় তাই সেটা বাস্তবায়ন করা; আউটডোর -০১ এবং আউটডোর-০২ এর মাঝের রাস্তা রিকশা এবং সিএনজি মুক্ত করা যাতে রোগীদের ক্যান্সার ভবনে যাওয়ার পথে ভোগান্তি কম হয়; ডে কেয়ার সেন্টার পুণরায় চালু করা; টিএসসি চালু করে আবার ছাত্র শিক্ষকদের সমস্যা দূর করা; নিয়মিত ডীন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা; নিয়মিত শিক্ষক সমিতি নির্বাচন দরকার ও শূন্যপদ পূরনসহ সময়মত পদোন্নতি প্রদান করা; আরো স্বচ্ছতার সাথে শিক্ষক ও চিকিৎসক নিয়োগের ব্যবস্থা করা; সিলিং (ছাদ) এর অভাবে বর্ষার সময়ে রোগীদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়, বি- ব্লক থেকে ডি ব্লক এবং মসজিদের গেট থেকে ক্যান্সার ভবন পর্যন্ত সিলিং (ছাদ) এর ব্যবস্থা করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফদের হেলথ কার্ড এখনো চালু করা হয় নাই, সেটা চালু করা; উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান, উন্নত চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সংযুক্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করা হবে।

অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিভেনটিভ এন্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন।

অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার খায়েরহাটে।

চোখের রোগসমূহের চিকিৎসা, প্রতিরোধসহ কমিউনিটি অফথালমোলজিতে অসামান্য অবদান রাখায় বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডে সার্ক একাডেমি অফ অফথালমোলজির ১৪তম সম্মেলনে পিভিপি (Pokharel-Venkatswamy-Parajsekharam-PVPAward For extraordinary work in community ophthalmology) পুরস্কার লাভ করেন।

তিনি চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। চক্ষু বিজ্ঞানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে ওই বিভাগের ব্যাপক উন্নয়ন ও বিকাশ হয়েছে।

অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, কমিউনিটি অফথালমোলজী বিভাগ ও সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫৬ সালের ৭ই অক্টোবর গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার খারহাট গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তার পিতা মরহুম আলহাজ শামসুদ্দিন আহমেদ, মাতা মিসেস আলহাজ হোসনে আরা বেগম। ব্যক্তি জীবনে তিনি তিন পুত্র সন্তানের জনক। বড় ছেলে ডা. তাজবীর আহমেদ (চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও পিএইচডি অধ্যয়নরত, টোকিও জাপান), মেজো ছেলে ডা. তানভীর আহমেদ (এম. ও ঢাকা শিশু হাসপাতাল), ছোট ছেলে তাহমিদ আহমেদ সাদাত (প্রকৌশল ছাত্র), সহধর্মিনী ডা. নাফিজা আহমেদ, অধ্যাপক, ডার্মাটোলজি (অবসরপ্রাপ্ত), সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ।

তিনি ১৯৭২ সালে কাশিয়ানী জি, সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ থেকে কৃতিত্বের সাথে এস এস সি এবং সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর থেকে ১৯৭৪ সালে এইচ এস সি ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হতে এম বি বি এস ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ১৯৮২ সালে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ ও হসপিটালে সহকারী সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আই পি জি এম আর থেকে ডিপ্লোমা ইন অফথালমোলজী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এস (চক্ষু) ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিশেষ বিসিএস এর মাধ্যমে সরকারী চাকুরীতে যোগদানের পর সহকারী সার্জন, মেডিক্যাল অফিসার, রেজিস্ট্রার, রেসিডেন্ট সার্জন, ১৯৯১ সাল থেকে সহকারী অধ্যাপক (চক্ষু) হিসাবে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

১৯৯৮ সালের ২৪ শে মার্চ তিনি সহকারী অধ্যাপক (চক্ষু) হিসাবে তৎকালীন আই পি জি এম আর এ যোগদান করেন। পরবর্তীতে ৩০শে এপ্রিল ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০০১ সালে সহযোগী অধ্যাপক ও ২০০৯ সালে তিনি অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান (২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত) এবং বর্তমানে কমিউনিটি অফথালমোলজী বিভাগের চেয়ারম্যান হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। ০৪/০৭/২০১৯ ইং তারিখে তিনি প্রথম গ্রেড প্রাপ্ত হন।

প্রায় ১০০ টি’র মত বি এম ডি সি স্বীকৃত জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক প্রকাশনা রয়েছে ২০১৩ থেকে ২০২১ পর্যন্ত। বাংলায় চক্ষু বিষয়ক ৩টি ও ইংরেজীতে ২টি বই রয়েছে। বই গুলো হল- চোখের যত অসুখ, চোখের সমস্যা ও সমাধান, শিশুদের চোখের রোগ, MCQ in Ophthalmology & Community Ophthalmology Ges Examination Techniques & Short Cases For Post-Graduate Students of Ophthalmology & Community Ophthalmology. তিনি গ্রামেগঞ্জে কমিউনিটি চক্ষু শিবিরে প্রায় ১ লক্ষ চোখের অপারেশন করেছেন।

তিনি ২৭তম APAO কংগ্রেস, বুসান, কোরিয়া ডিষ্টিংগুইসড (Distinguished) সার্ভিস এ্যাওয়ার্ড ২০১২‘ অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন জাতীয় পুরস্কারেও ভুষিত হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার একজন স্বনামধন্য কলামিষ্ট। পাশাপাশি তিনি চক্ষু বিষয়ক বিভিন্ন টিভি ও রেডিও টকশোর আলোচনায় অংশগ্রহণ করে থাকেন।

পেশাগত বিভিন্ন সংস্থার সাংগঠনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সম্মাননার মধ্যে রয়েছে বিশিষ্ট পরিসেবা পুরস্কার (২৭তম এপিএও কংগ্রেসে উপস্থাপিত, বুশান ২০১২), অন্ধত্ব প্রতিরোধ সম্মাননা (এপিএও এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমি অফ অফথালমোলজী ২০১৬), পোখারেল ভেস্কটস্বামী পাড়া রাজাসাগরাম (পিভিপি), নেপালর কমিউনিটি চক্ষুবিদ্যায় অসাধারণ কাজের জন্য পুরস্কার (এসএও) ২০১৮, স্বর্ণ পুরস্কার সিসিসি কলকাতা ২০১৯ এআইওসি অ্যাওয়ার্ড গুরুগ্রাম ২০২০।

তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫ থেকে ২০১৮ ইং সাল পর্যন্ত প্রো-ভিসি (প্রশাসন), সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ বরিশাল ১৯৭৮-১৯৭৯, সদস্য কার্যকরী পরিষদ বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল ও সাবেক মহাসচিব বিএমএ ২০০৯-২০১২, তিনি এই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন।

তিনি প্রথম ভিসি অধ্যাপক এম, এ কাদেরীর সময় প্রথমে ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) (ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার) হিসাবে এ দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি পরিচালক হাসপাতাল হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পাবলিক হেলথ ফ্যাকাল্টির ডীনের দায়িত্ব ও পালন করেন।

দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক কাউন্সিলের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর পরপর তিনবার নির্বাচিত সভাপতি হিসাবে দায়িত্বপালনরত। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বড় দুই ভাই মুক্তিযোদ্ধার সাথে তিনিও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন।

১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সালে দপ্তর সম্পাদক, কেন্দ্রীয় বিএমএ, ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সালে সাংগঠনিক সম্পাদক, বিএমএ, ১৯৯৬ থেকে ২০০২ সালে কোষাধ্যক্ষ, ১৯৯৬ সালে ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলনে কর্মকর্তা সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয় নেতা, ১৯৯৩ সালে সেন্ট্রাল স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-এর প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। তিনি বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ এর ইসি সদস্য।

এরআগে গত মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) অবসরে যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ১০ম ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ২০১৮ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদের আদেশপ্রাপ্ত হয়ে ৩ বছরের জন্য দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সেই হিসাবে মঙ্গলবার ছিল তার শেষ কর্মদিবস।‌