বশেমুমেবি’তে শেখ মুজিবের চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ডাক্তারদের স্মৃতি রোমন্থন

বশেমুমেবিতে শেখ মুজিবের চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ডাক্তারদের স্মৃতি রোমন্থন

মুজিব শতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বরেণ্য চিকিৎসকবৃন্দের স্মৃতি রোমন্থন।

বঙ্গবন্ধুই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলেছিলেন: স্মৃতিচারণে বরেণ্য চিকিৎসকবৃন্দ

বঙ্গবন্ধুর হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু: মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ইং তারিখ, সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের ডা. মিল্টন হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বরেণ্য চিকিৎসকবৃন্দের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণমূলক সভায় স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সম্মানিত সভাপতির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য মহোদয় একথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বরেণ্য চিকিৎসকবৃন্দ তাঁদের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা, যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করে শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলেছিলেন।

অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও স্বাস্থ্যসহ মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার শুভ সূচনা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে, শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।

বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিক যদি নিঃস্বার্থপরভাবে নির্মল মনে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে পালন করে সোনার বাংলা গড়তে অবদান রাখেন সেটাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা নিবেদন।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত স্মৃতিচারণ সভায় তারা এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) ডা. আব্দুল মালিক, প্রখ্যাত সার্জন, প্রবীণ শিক্ষক ও গুণী চিকিৎসক অধ্যাপক এস আলী আশরাফ, বরেণ্য চিকিৎসক ও শিক্ষক অধ্যাপক এ এইচ এম টি এ চৌধুরী, গুণী শিক্ষক ও চিকিৎসক অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিএমএ-এর সম্মানিত সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান।

মহতী এই আয়োজনে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সম্মানিত সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্য ও বিএমএ এর সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, সম্মানিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বিএম আব্দুল হান্নানের সঞ্চালনায় অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক এই স্মৃতিচারণ সভায় সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীম, শিশু অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, নার্সিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ জুলফিকার আহমেদ আমিন, শিশু কিডনী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রণজিত রঞ্জন রায়, অবস এ্যান্ড গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ডা. শিউলী চৌধুরী, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. কে এম তারিকুল ইসলাম প্রমুখসহ সম্মানিত শিক্ষক, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, অফিস প্রধানগণ ও চিকিৎসকবৃন্দ স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপস্থিত ছিলেন।

ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গ্রন্থাগারিক ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ হারিসুল হক।
জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) ডা. আব্দুল মালিক বলেন, বাংলাদেশে হৃদরোগসহ আধুনিক চিকিৎসার শুভ সূচনা বঙ্গবন্ধুর সময়েই হয়েছে। বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত বিনয়ী ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। বর্তমানে জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্যকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

আমারা যেনো নিঃস্বার্থপরভাবে নির্মল মনে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কতর্ব্য সঠিকভাবে পালন করি।
প্রখ্যাত সার্জন ও প্রবীণ শিক্ষক, গুণী চিকিৎসক অধ্যাপক এস আলী আশরাফ বঙ্গবন্ধুকে, বঙ্গমাতাকে চিকিৎসাসেবা দেয়ার মহতী স্মৃতির কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন তৎকালীন আপিজিএমএন্ডআরসহ দেশেই যেনো সকল রোগের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হয়; যাতে করে রোগীদেরকে বিদেশে যেতে না হয়।

বরেণ্য চিকিৎসক ও শিক্ষক অধ্যাপক এ এইচ এম টি এ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু সব বাঙালিকেই আপন মনে করতেন। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিশক্তিও ছিল অত্যন্ত প্রখর।

বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করতে পারতাম না।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু কত বড় মাপের মানুষ ছিলেন তাকে যারা দেখেন নাই তাঁদের বুঝানো যাবে না।

সবার জন্য দরদী এই মহান নেতার কাছে আমরা সকলেই চির ঋণী। বাঙালির সকল পরাধীনতা থেকে মুক্তির মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু।

গুণী শিক্ষক ও চিকিৎসক অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতেই এদেশে পাবলিক-প্রাইভেট পাটনারশিপের শুভ সূচনা হয়েছিল।

বারডেমও বঙ্গবন্ধুরই অবদান। মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন সংবেদনশীল মনের অধিকারী।
সম্মানিত আলোচক বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সম্মানিত সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ১৯৬৯ সালের গণঅভুত্থান, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতিচারণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু সব বাঙালির অনুভূতিকে ধারণ করেছিলেন বলেই একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

তিনি তাঁর বক্তব্যে অভীষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছানোসহ দেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্য ও বিএমএ এর সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত কবিতা পাঠ করে শোনান।

সভাপতির বক্তব্যে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, মহাকালের মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু ছিলেন উদার, দয়াপরবশ, প্রজ্ঞাময়, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এক মহান নেতা।

বঙ্গবন্ধুর হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও বঙ্গবন্ধু বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

স্বাস্থ্যকে সংবিধানের মূল অধিকারের অংশ হিসেবে সংযোজন, প্রথম পঞ্চবাষির্কী পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যকে গুরুত্বদান, গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা প্রদান, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ গঠনসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশের স¦াস্থ্য খাতে গবেষণার জন্য তৎকালীন আইপিজিএম এন্ড আর-কে গবেষণা করার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেন এবং এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৩০০ থেকে ৫০০ বেডে উন্নীত করেন।

গবেষণার জন্য তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেন। জাতির পিতা ১৯৭২ সালে একটা প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স অব সার্জন্স (বিসিপিএস) প্রতিষ্ঠা করেন।

বিসিপিএস প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বলেই এফসিপিএস ডিগ্রী অর্জন করে বর্তমানে ৬০০০ মত ফেলো দেশে ও বিদেশে কাজ করছেন। ৩০০০ হাজারের মত চিকিৎসক এমসিপিএস ডিগ্রী অর্জন করে দেশে কাজ করেছেন।

এটা দেশের পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল শিক্ষার ক্ষেত্রে জাতির পিতার অনন্য অবদান বলে আমি মনে করি। স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ডাঃ আর জে গার্ষ্ট কে আমন্ত্রণ জানান এবং অর্থপেডিক সার্জারি বিষয়ে ট্রেনিং এর জন্য একটি টিমকে পূর্বজার্মানী প্রেরণ করেন।

উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়াসহ পঙ্গু হাসপাতালে অর্থোপেডিক সার্জারির উপরে এমএস ডিগ্রী চালু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এভাবে দেশে তিনি অর্থোপেডিক সার্জারির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি করেন।

তাছাড়া পোস্ট গ্রাজুয়েট শিক্ষার ক্ষেত্রে আইপিজিএম এন্ড আর-কে (বর্তমানে শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) যখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে শাহবাগে শিফট করা হয় তখন শয্যা সংখ্যা ছিল ৩০০টা। জাতির পিতা এটা আরো বৃদ্ধি করে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করেন।

মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, জাতির পিতার চিন্তা-চেতনা, আমাদের চিন্তা চেতনার চাইতে বহুগুণে এ্যাডভান্স ছিল। বঙ্গবন্ধু তখন একটা রেফারেল সিস্টেম-এর কথা বলেছিলেন। প্রতিটি গ্রাম বা ওয়ার্ডে একজন স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন।

যে স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিটি বাড়ি ঘুরে ঘুরে মানুষের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিবেন। অসুস্থ লোক থাকলে তাকে চিহ্নিত করে ইউনিয়ন সাব সেন্টারে নিয়ে যাবেন।

সেই ইউনিয়ন সাব সেন্টারে একজন ডাক্তার থাকবেন, একজন নার্স থাকবেন, একজন প্যারামেডিক থাকবেন এবং সেখানে রোগীকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করতে না পারলে রোগীকে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাবেন।

থানা কমপ্লেক্সে রোগী সুস্থ না হলে তাকে মহকুমা হাসপাতালে বা জেলা হাসপাতালে বা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এভাবে একটি রেফারেল সিষ্টেমের কথা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন। জাতির পিতা বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে বিভিন্ন সাবজেক্ট, সাবস্পেশালিস্ট সাবজেক্ট পর্যন্ত তিনি চালু করেছেন।

প্রফেসরের পদ তৈরি করেছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি কার্ডিও ফিজিওলজি ল্যাব প্রতিষ্ঠার কথাও বলেছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর আমলে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ইউনিয়নে সাব সেন্টারসমূহ ও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহ যাতে নির্ধারিত সময়ের (১৯৭৮) মধ্যেই তৈরি হয় সেভাবেই পরিকল্পনা করেছিলেন।

কারণ ইউনিয়নে সাব সেন্টারসমূহ ও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহ যথাসময়ে তৈরি হলে দেশের সকল মানুষকে চিকিৎসাসেবার আওতায় আনা সম্ভব হবে।

বঙ্গবন্ধু ১ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ১৯৭৮ সালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন।

মাননীয় উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই করোনা মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীবন ও জীবিকার অপূর্ব সমন্বয় করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে স্বপ্নের পদ্মাসেতুকে বাস্তবে পরিণত করেছেন।

সম্মানিত উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বরেণ্য চিকিৎসকবৃন্দের স্মৃতি রোমন্থনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক না জানা কথা জানা সম্ভব হলো।

এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান আরো ঋদ্ধ ও সমৃদ্ধ হলো।

সম্মানিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তার একটি দুর্লভ স্মৃতির কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, আমি তখন ছাত্র ছিলাম।

১৯৭০ সালের নির্বাচনের আগে একটি জনসভায় বঙ্গবন্ধুকে ফুলের তোড়া উপহার দেয়া ও কদমবুসি করার সৌভাগ্য হয়েছিল।

সেদিন বঙ্গবন্ধু রাত সাড়ে ১১টায় সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু হ্যাজাক লাইটের আলোয় ভাষণ দিয়েছিলেন।

সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তার একটি বিরল স্মৃতির কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের সময় আমি নবম শ্রেণীতে পড়ি।

বরিশালের গৌরনদীর একটি জনসভায় বঙ্গবন্ধুকে প্রথমবারের মতো দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল।

সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজধানীর শাহবাগে অনেকবার এসেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু তৎকালীন আইপিজিএমএন্ডআর (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

এই হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যবর্গ চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন এবং শয্যাসংখ্যা ৫০০ তে উন্নীত করেছিলেন।

ছবি: জয় সরকার।

CC/ প্রশান্ত মজুমদার।