উপাচার্যের টিকা নেয়ার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচীর সূচনা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার টিকা নেয়ার মধ্য দিয়ে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচীর শুভ সূচনা।
গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে সংশয় কাটিয়ে টিকা নেয়ার আহ্বান জানালেন মাননীয় উপাচার্য মহোদয়: ১৯৮ জনের টিকা গ্রহণ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া স্যার এর টিকা নেয়ার মধ্য দিয়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচীর শুভ সূচনা হয়।

আজ বৃস্পতিবার ২৮ জানুয়ারি ২০২১ইং তারিখ সকাল ৯টা ১০ মিনিটে মিন্টু রোডে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে (পুরাতন শেরাটন হোটেলের উত্তর দিকে) ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা নেন মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া স্যার।

মাননীয় উপাচার্য মহোদয় টিকা নেয়ার পরপরই টিকা নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ও বক্ষব্যাধি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, শিশু অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, ডেন্টাল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. গাজী শামীম হাসান, নার্সিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ জুলফিকার আহমেদ আমিন, নিউরোসার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এটিএম মোশারেফ হোসেন, ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান, লিভার (হেপাটোলজি) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, শিশু কিডনী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রনজিত রঞ্জণ রায়, সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক ডা. এএইচএম জহুরুল হক সাচ্চু, সহকারী প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. কে এম তারিকুল ইসলাম, সেবা তত্ত্বাবধায়ক সন্ধ্যা রানী সমাদ্দার প্রমুখ।

টিকা নেয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া স্যার কোনোপ্রকার গুজবে বিভ্রান্ত না মনের সকল সংশয় কাটিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে দেশবাসীর প্রতি কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নেয়ার আহ্বান জানান।

এসময় মাননীয় উপাচার্য উপিস্থিত সম্মানিত সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ও সফল কূটনৈতিক নেতৃত্বের কারণেই দ্রুততম সময়ে দেশবাসীর জন্য কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে, এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, টিকা নেওয়াটা আমার সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত দায়িত্ব। মানুষ আমাকে দেখে আস্থা ও সাহস পাবে। মানুষের সংশয় ইতোমধ্যে কাটতে শুরু করেছে।

আমরা চাই, আমাদেরকে দেখে মানুষ আস্থা পাক এবং টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ হোক। মাননীয় উপাচার্য আরো জানান, টিকা নেওয়ার পর তিনি আগের মতই সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থা অনুভব করছেন। কোনো ধরণের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া অনুভব করছেন না।

প্রথম দিনে ৪টি বুথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্য থেকে ১৯৮ জন করোনার টিকা নেন।

কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচীর বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে তথ্যকেন্দ্র, ওয়েটিং রুম, ৮টি বুথ, পোস্ট কোভিড অপেক্ষাগার, ৮ শয্যার সিকবে, ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ২টি চিকিৎসক টিম, ৪টি এইচডিইউ, কেবিন ব্লকে ৪টি শয্যা ও ২টি এ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে টিকা গ্রহণ করেন মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক। টিকা গ্রহণের পর তিনিও অপপ্রচারে বিভান্ত না হয়ে দেশবাসীকে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচী সফল করার আহ্বান জানান।

সকাল সোয়ার ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারের কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচী পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক, এমপি।

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের উপস্থিতিতে টিকা নেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মাননীয় সচিব মোঃ আব্দুল মান্নান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে মাননীয় তথ্য সচিব জনাব খাজা মিয়া, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ কোভিড-১৯ এর টিকা নেন।

পরিদর্শন শেষে মাননীয় মন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক, এমপি নির্ভয়ে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পৃথিবীতে যত টিকা আবিষ্কার হয়েছে, এর মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা সবচাইতে নিরাপদ।

এই টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। নির্ভয়ে এই টিকা নিতে পারেন। টিকা নেওয়া পরবর্তী যা যা করণীয় তা করা হচ্ছে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মন্ত্রিপরিষদের একজন সচিব, স্বাস্থ্য সচিবও টিকা নিয়েছেন।

যারা টিকা নিয়েছেন তারা ভালো আছেন এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
এদিকে আজ বৃস্পতিবার ২৮ জানুয়ারি ২০২১ইং তারিখ, সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লকের ২য় তলা অডিটোরিয়ামে ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন: আশার আলো ও প্রাসঙ্গিক কথা (ঈড়ারফ-১৯ ঠধপপরহব: ঐড়ঢ়ব অহফ ইবুড়হফ)’ শীর্ষক একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল সেমিনার সাব-কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া স্যার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ও বক্ষব্যাধি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

সভাপতিত্ব করেন ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান। কীনোট স্পিকার হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারনাল মেডিসিনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত।

প্যানেল এক্সপার্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডীন ও ন্যাশনাল টেকনিক্যাল এডভাইজার কমিটির মেম্বার অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউনেটলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও কোভিড-১৯ ন্যাশনাল টেকনিক্যাল এডভাইজার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিভেনটিভ অফ সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডীন ও পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী, পপুলার মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালের অধ্যাপক ও কোভিড-১৯ ন্যাশনাল টেকনিক্যাল এডভাইজার কমিটির মেম্বার অধ্যাপক ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. একেএম মোশারফ হোসেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. চঞ্চল কুমার ঘোষ। ছবি: মোঃ আরিফ খান। নিউজ: প্রশান্ত মজুমদার।